𝓑𝓮𝓽𝓽𝓮𝓻 𝓛𝓲𝓯𝓮 𝓦𝓲𝓽𝓱 𝓢𝓽𝓮𝓮𝓶 || 𝓣𝓱𝓮 𝓓𝓲𝓪𝓻𝔂 𝓰𝓪𝓶𝓮 || 30/ 𝓙𝓪𝓷𝓾𝓪𝓻𝔂 / 𝟚𝟘𝟚𝟝
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৩০শে জানুয়ারি, বৃহঃস্পতিবার ।
হ্যালো ইনক্রেটেবল ইন্ডিয়াবাসী। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
আজকে আবার হাজির হলাম আপনাদের সাথে আমার নতুন দিনের নতুন একটা ব্লগের সাথে, কি লিখব ভাবতে ভাবতে মনে হল আজকের সারাদিনের ঘটনা টাই উপস্থাপন করি। আজকে একটু বেলা করে ঘুম থেকে উঠলাম, ঘুম ভেঙেছে দুইজনের ফোনে বন্ধু ফোন করেছে সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে বের হয়েছে দুজনে একসাথে চা খাব, এদিকে আমার @mdsuhagmia মামা ফোন করেছে, আজকে তাকে একটু সময় দিতে হবে এই প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে একটা কাজের জন্য, যেহেতু মামা রাতের বেলায় আমাকে বলেছিল তাই প্রথমে বন্ধুর সাথে এক কাপ চা খেয়ে সাথে সাথেই মামাকে ফোন করলাম এবং আমরা একসাথে দেখা করলাম।
আমাদের মধ্যে কাজ নিয়ে অনেক কথা হলো এবং তারপর মামাকে বললাম চলেন আজকে আপনাকে সাথে নিয়ে ফটোগ্রাফি করতে যাব। যেই ভাবা সেই কাজ আমার পছন্দের কিছু জায়গা রয়েছে সেখানে চলে গেলাম। প্রথমবারের মতো মামা আমার বাইকে উঠলেন।
কথায় আছে মামা ভাগিনা যেখানে আপদ নাই সেখানে যদিও ছোট থেকে তার সাথে আমার পরিচয় কিন্তু কাজের মাধ্যমে যেন অল্প কয়েক দিনে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে গেলাম, দুজনে মিলে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম তারপর মামা জিজ্ঞেস করল কি খাবে খেতে না চাইলেও তিনি জোর করেই লাচ্ছি কিনে দিলেন। আরো কিছু নিতে চাইলেও আমি না করলাম, পরবর্তীতে লাচ্ছি খেতে খেতে দুই মামা ভাগিনা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
ভেবেছিলাম আজকের সেলুনে যাব কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠল না বাসায় গিয়ে গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে আবার বের হলাম। আমার জন্মদিনে আমার এক বান্ধবী ট্রিট চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম ঠিক আছে তবে আমার এলাকায় আসতে হবে। বেচারী সেদিন অসুস্থ হয়ে যায় এবং তাদের এখন পরীক্ষা চলছে তাই অনেকটাই ব্যস্ত আজকে বিকেলে ফ্রি থাকায় বলল ট্রিপটা যেন আজকে দেই।
কি আর করার তার কিছু কেনাকাটা ছিল সেগুলো শেষ করে এলাকারই একটা রেস্টুরেন্টে তাকে ট্রিট দিলাম, বান্ধবীর সামনে ছিল তাই রেস্টুরেন্টের ছবিগুলো তুললাম না, কিন্তু তারা তো জানে না এই ছবি দিয়ে আমি লেখালেখি করব হাহাহ।
যাইহোক এবার তাকে আমি hoodie কিনে দিবা বলেছিলাম, অনেক আগেই কিনে রেখেছিলাম শীত প্রায় শেষ কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততায় আর সেভাবে দেখা হয় না, যেহেতু আমার ইউনিভার্সিটি শেষ তাই দূরত্বটা বেড়ে গেছে। যাই হোক ২ টা hoodie বিদায় বেলায় তাকে বুঝিয়ে দিলাম তার পছন্দ হয়েছে। দেখলাম তার হাতে একটা ব্যাগ, আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল এটা আমার জন্য জিজ্ঞাসা করলাম এটা কি বলল আমার জন্য কেক বানিয়েছিল।
যাই হোক জন্মদিনের কেক তিনদিন পরে পেলাম, অভিযোগ করলাম না কারণ অসুস্থ ছিল, যখন শুনলাম নিজে তৈরি করেছে তখন আসলে কিছু বলার থাকে না কেননা ভালোবেসে কষ্ট করেই এটা তৈরি করেছে । যাই হোক তারপর বিদায় জানালাম এবং আমি আমার এলাকার দিকে চলে আসলাম।
এলাকার বন্ধুদের সাথে আর দেখা করলাম না কারণ আড্ডা দিলে বাসায় আসলে আসতে দেরি হয়ে যাবে এবং সাথে কেক আছে, বন্ধুরা এটা দেখলে এটার বাসায় নিয়ে যাওয়ার উপায় থাকবে না।
এখনো খেয়ে দেখিনি এটা কেমন হয়েছে, পোস্ট করা শেষ হলে এটা খেতে খেতে অন্য সবার আজকের পোস্টগুলো দেখব আর মন্তব্য করব, যেহেতু রাত জেগে মুভি দেখি আজকে মধ্য রাতের নাস্তা হয়ে যাবে, চিন্তা করেছি বাসার আর কাউকে দিতে দিব না একাই খেয়ে ফেলবো😁😁😁
আপনার উপরের এই কথাটুকু কিছুটা হলেও সত্য আছে। আজকে প্রায় অনেকটাই সময় ঘোরাঘুরি করলাম মামা ভাগিনা মিলে! আমারও স্মরণ হয়ে থাকবে এই দিনটি, ইনশাল্লাহ আবারো কোনদিন দুইজনে মিলে! দূরে কোথাও ঘুরতে চলে যাব। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ,আল্লাহ হাফেজ।
ঠিক আছে কোন একদিন আবার বের হওয়া হবে অবশ্যই, ততদিন ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার দিনটা বেশ সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর ছিল। মামার সাথে একসাথে সময় কাটানো এবং ফটোগ্রাফি করা, তারপর বন্ধুর জন্য ট্রিট এবং কেকের উপহার এসব মুহূর্ত সত্যিই মনের গভীরে এক প্রকার আনন্দ রেখে যায়। আপনার বান্ধবী থেকে পাওয়া কেকের পেছনের অনুভূতি এবং তা তৈরি করার ভালোবাসা, সবকিছুই বেশ স্পেশাল। সেইসাথে আপনার খাওয়ার পরিকল্পনা এবং মুভি দেখা, সব মিলিয়ে একটি ভালো ও শান্তিপূর্ণ দিন কাটানো হয়েছে। সব কিছুই সত্যি মধুর এবং আপনাকে ধন্যবাদ এই সুন্দর দিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।