টি-শার্টের ডিজাইন প্রিন্ট
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
১৬ই ফেব্রুয়ারি, রবিবার।
১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, ১৭ শাবান ১৪৪৬ হিজরি
হ্যালো ইনক্রেটেবল ইন্ডিয়াবাসী। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
জন্মদিনের উপহার
বর্তমান সময়ে ছেলে-মেয়ে, শিশু বৃদ্ধ যুবক সবাই টি শার্ট পড়ে। এটা খুবই কমফোর্টেবল এবং বেশি সময় ধরে পড়ে। কখনো কি এই সুন্দর সুন্দর টি-শার্টগুলোর ডিজাইন কিভাবে প্রিন্ট করা হয় খুব কাছ থেকে দেখেছেন? লাস্ট কয়েক দিন আমি খুবই দ্বিধারনদের মধ্যে ছিলাম এবং অনেক সিদ্ধান্তের পর করলাম কি কি ডিজাইন তৈরি করা যায় এবং কিভাবে সে প্রসেস গুলো আমি তৈরি করব। টি-শার্টে সহজে দুইটি স্টাইলে ডিজাইন করা যায় একটি হল স্কিন প্রিন্ট দ্বিতীয়টি হল ডিটিএফ।
যেহেতু আমি খুব কম সংখ্যক দিয়ে শুরু করছি তাই খুব বেশি আমার জন্য ভালো হবে না। তাই আমি এই দুটি অবলম্বন করব। যে ডিজাইনগুলো আমার মনে হয়েছে এগুলো চলবে সেগুলো স্ক্রিন প্রিন্ট হয়ে গেছে, এবং যে কয়েকটি ডিজাইন নিয়ে আমি এক্সপেরিমেন্ট করব সেগুলো আমি স্টিকার বানিয়ে নিয়ে এসেছি যেটাকে টেক্সটাইলের প্রিন্টিং এর ডিপিএফ নামে পরিচিত।
যাইহোক আশপাশের খবর নেয়ার পর বেশ কয়েকটি পরিচিত জায়গা পেলাম এখান থেকে আমরা এগুলো তৈরি করতে পারব। এগুলো তৈরি করতে খরচের পরিমাণটা অনেক বেশি হয়ে যায় কিন্তু যেহেতু এক্সপেরিমেন্ট করা যায় সেজন্য মানুষ বেশি এটা ব্যবহার করে থাকে। আমিও তাদের দলেরই একজন এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য বেশি টাকা দিয়ে হলেও এই প্রিন্ট গুলো আমি তৈরি করছি।
আমি যেই ডিজাইনগুলো দিয়েছিলাম সেগুলো তারা খুব সহজেই এডোবি লাস্টোরে কাজ করতে পারছে। কারণ আমি খুব সুন্দর করে আমার ফাইল গুলো নিয়ে গিয়েছিলাম। শুধুমাত্র স্টিকার গুলো কিভাবে বসাতে হবে এগুলি ঠিক করল এবং স্টিকার গুলো ঠিক কতটুকু বড় হবে সেই মাপটুকু তাদেরকে বলে দিতে হলো।
এবার খুব সহজেই এগুলো প্রিন্ট হতে থাকলো এই প্রিন্টারের মধ্যে, এই প্রিন্টার গুলো বেশ অনেক দাম এবং এর কালিগুলিও বেশ দামী। একটা ছোট ছোট পার্ট লাখ টাকার মত তাই এই মেশিনগুলো মেটেনেন্স করা অনেক বেশি ব্যয়বহুল্য। যাই হোক এটা প্রিন্ট হওয়ার পর একটা স্পেশাল পাউডারের মধ্যে দিয়ে স্টিকারগুলোকে নিয়ে যাওয়া হয়।
মূলত সেই পাউডারটি গরম হয়ে কাপড়ের সাথে লেগে যেতে সহায়তা করে। এই প্রিন্টগুলো হতে বেশ অনেক সময় লাগে খুব ধীরে ধীরে এই প্রচেষ্টা হতে থাকে। বেশ অনেকটা সময় আমাদের অপেক্ষা করতে হলো, আমার ভালো লাগছে যখন দেখছি নিজের তৈরি করা ডিজাইনগুলো এত বড় আকারে প্রিন্ট হচ্ছে। নিজের কাজগুলো যখন ফুটে ওঠে তখন ভালই লাগে।
আমি বন্ধুদের জন্য, ইউনিভার্সিটির জন্য, এবং পরিচিত অনেক মানুষের ট্যুরে যাওয়ার জন্য গেঞ্জিগুলো ডিজাইন করে দিতাম আগে, এই প্রথম নিজেদের জন্য তৈরি করছি। এক অন্যরকম অনুভূতি, এগুলো প্রিন্ট করে আমি বাসায় আসতে আসতে বেশ অনেক রাত হয়ে যায়, লাস্ট কয়েকদিন বেশ অনেক দেরি করেই বাসায় যাওয়া হচ্ছে, তাই আমি ঠিকঠাক সময়ও দিতে পারছি না।
আমি সবসময় রাতের বেলা আমার অনলাইনে সব কাজগুলো করে থাকি, তবে কিছু মেডিকেল ইস্যুর জন্য আমার রাত জাগা বারণ, যাইহোক সবকিছু সামনে নিয়ে আপনাদের সামনে নতুন কিছু নিয়ে আসার চেষ্টা করব। পরবর্তীতে এই জিনিসগুলো কিভাবে টি-শার্টের উপর ফুটিয়ে তোলা যায় সেই প্রক্রিয়াটি তুলে ধরার চেষ্টা করব।
আশা করি এই বিষয়গুলো আপনাদের ভালো লাগবে, এগুলো খুব মজার একটা কাজ। খুব সুন্দর ভাবে এবং সহজভাবে পরবর্তী ধাপে পুরো বিষয়টা আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।
ডিজাইন এবং প্রিন্টিংয়ের প্রক্রিয়াটি খুবই অস্থির ছিল। আপনি যেভাবে এই কাজগুলো করছেন, ভবিষ্যতে আপনার এই উদ্যোগে সফলতা আসবে। এমনটাই আশা করছি। এগিয়ে যান! আপনার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আরে বাহ টি-শার্ট এর মধ্যে কিভাবে ডিজাইন করতে হয় আপনি চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আসলে প্রতিটা বিষয় একটু কষ্টকর যদি চেষ্টা করা হয় তাহলে খুব সম্ভব হয়ে ওঠে সেই কাজ সহজভাবে করার জন্য আপনি সেই কাজ করে দেখিয়েছেন অসাধারণ হয়েছে আপনার টি-শার্টের মধ্যে করা ডিজাইন গুলো ধন্যবাদ নতুন কিছু দেখার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।