আসসালামু আলাইকুম
আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি হাজির হলাম আমার গতকালের ডাইরি নিয়ে । তো চলুন বেশী দেরি না করে শুরু করা যাক আমার গতকালের ডাইরি। |
ক্যানভা দিয়া তৈরি করা হয়েছে
গতকাল ঘুম থেকে উঠেছিলাম সকাল ৯টার পরে। ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের মতো গতকালও মোবাইলটা হাতে নিয়ে স্টিমিট এ প্রবেশ করে নোটিফিকেশন চেক করলাম। নোটিফিকেশন চেক করার পর আমি অনেক খুশী হলাম। কেননা গতকালও আমি বুমিং সাপোর্ট পেয়েছিলাম। খুশীমনে স্টিমিটে কয়েকজনের পোস্টে আপভোট দিলাম ও কিছু সময় সেখানে ব্যায় করলাম। এরপর মোবাইলে কিছুক্ষন রিলস ভিডিও দেখলাম ও আগেরদিন রাতে আমার বন্ধুদের দেয়া মেসেজের রিপ্লে দিলাম। তারপর বিছানা থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে আসলাম। এরপর একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসলাম এবং বাইরে থেকে আসার পর আমার সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে আমার বন্ধু সামিউলকে কল দিয়ে বাইক নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনের দোকানে আসতে বললাম।
খোলাহাটি ডিগ্রি কলেজের বিল্ডিং ও আমার সেলফি
এরপর আমিও রেডি হয়ে চলে গেলাম সেই দোকানে এবং বসে আমার বন্ধু সামিউলের জন্য অপেক্ষা করলাম। কিছুক্ষনের মধ্যেই সামিউল চলে আসলো এবং সে আমাকে বাইক চালাতে দিলো। আমি অতো ভালো করে বাইক চালাতে পারি না কিন্তু সামিউল পিছনে ছিলো তাই একটু সাহস পেলাম। এরপর ধীরে ধীরে বাইক চালিয়ে চলে গেলাম খোলাহাটি ডিগ্রি কলেজে। আমার ভাবি ডিগ্রি ১ম বর্ষের পরীক্ষায় ১ বিষয়ে ফেইল করেছিলো আর সেই বিষয়ে তিনি আবারো পরীক্ষা দিবেন। আর সেই পরীক্ষার প্রবেশ পত্র নেয়ার জন্যই আমি গতকাল কলেজে গিয়েছিলাম। অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করে আমি আমার ভাবির প্রবেশ পত্র নিলাম। তারপর কলেজের মাঠে এসে কলেজের একটা ছবি তুললাম ও আমি একটা সেলফি তুললাম।
জাতীয় পরিচয়পত্র বের করতে গিয়ে তোলা দোকানের ছবি ও আমার সেলফি
এরপরে চলে গেলাম খোলাহাটি বাজারে আমার জাতীয় পরিচয়পত্র বের করার জন্য। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকার কারনে কাজটা করতে পারছিলাম না। হঠাৎ আমার মনে পড়লো যে সেনা কমপ্লেক্সে হয়তো বিদ্যুৎ থাকতে পারে। সেখানে গিয়ে দেখলাম যে বিদ্যুৎ আছে আর সেখানেই আমার জাতীয় পরিচপত্র বের করে নিলাম ও সেটা লিমিনেটিং করে নিলাম। আমার কাছে এটার দাম নিলো মাত্র ৩০ টাকা যা প্রায় ১.৪ স্টিম এর সমান। এরপর সেখান থেকে আমরা একটি হোটেলে চলে যাই ও নাস্তা করি। নাস্তা করার পর আমার বন্ধু সামিউল আমাকে আবারো বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে গেলো। বাড়িতে এসে পোশাক পরিবর্তন করে ফ্রেস হয়ে নিলাম। তারপর মোবাইলে স্টিমিট এ একটু ঘাটাঘাটি করলাম ও লার্নিং চ্যালেঞ্জে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর সে অনুযায়ী কাজ করলাম।
ফুফুর বাড়ি যাওয়ার সময় সাইকেল থেকে তোলা সেলফি ও ক্ষেতের ছবি
এরপর দুপুরে গোসলখানায় গিয়ে গোসলটা সেরে নিলাম। তারপর গায়ে সরিষার তেল মেখে রোদে কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকলাম। এরপর আমার দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিলাম। তারপর বসে বসে একটা আর্ট করতে শুরু করলাম। আর্ট করার মাঝে আমার ভাতিজি ঘুম থেকে উঠে কান্না শুরু করলো আর তখন বাড়িতে কেউ ছিলো না। তাই আর্ট করা বাদ দিয়ে ভাতিজিকে কোলে নিয়ে বাইরে গেলাম। কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করার পর আমার ভাবি আসলো এবং ভাতিজিকে নিলো। তারপর আমি আবারো আর্ট করা শুরু করলাম। আর্ট শেষ করে মোবাইলটা একটু চার্জে দিলাম। তারপর আমার আম্মুও চলে আসলো এবং আমাকে আমার ফুফুর বাড়িতে গিয়ে নেট নিয়ে আসতে বললো। আমি সাইকেল নিয়ে গেলাম এবং যাওয়ার সময় ছবি তুললাম ও সেলফি তুললাম।
ফুফু বাড়ির এলাকার আলুক্ষেত ও আমার সেলফি
ফুফুর বাড়িতে গিয়ে দেখি কেউ বাড়িতে নেই। শুধু ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে আছে। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বললো যে সবাই আলু তুলতে গেছে। আমি হাটতে হাটতে ক্ষেতে গেলাম এবং দেখলাম যে চারদিকে শুধু আলু ক্ষেত আর আলু ক্ষেত। সেখানে সেলফি তুললাম ও কয়েকটা ছবি তুললাম। এরপর আমার ফুফু আমার সাথে তাদের বাড়ি আসলো এবং আমাকে নেট বের করে দিলো। এরপর নাস্তা করার পর আসার সময় ফুফু আমাকে কিছু টাকা দিলো। সেটা নিয়ে আমি সাইকেলে করে আবারো বাড়িতে ফিরে আসলাম। বাড়িতে এসে সাইকেলটা রেখে মোবাইলটা আবারো চার্জে দিলাম। মোবাইল চার্জে দিয়ে বাইরে দোকানে গেলাম এবং দেখলাম যে পাড়ার ছেলেরা সেখানে ফ্রি ফায়ার গেম খেলছে। কিছুক্ষন ফ্রি ফায়ার খেলা দেখে বাড়ি ফিরে আসলাম।
মাঠে খেলা দেখার দৃশ্য
বাড়িতে এসে দেখি যে আমার বন্ধু তাজউদ্দীন দুইবার কল দিয়েছিলো। তাজউদ্দীনের কল ব্যাক করলে সে আমাকে জমির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে যেতে বললো। এরপর আমিও রেডি হয়ে চলে গেলাম জমির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। মাঠে না গিয়ে আগে আমার বন্ধু সাইদের দোকানে গেলাম ও ছোলা ভূনা খেলাম কারন আমার অনেক ক্ষিদা লেগেছিলো। তারপর মাঠে প্রবেশ করে দেখলাম যে মাঠে খেলা হচ্ছে। মাঠের এক প্রান্তে বসে বসে খেলা দেখা শুরু করলাম। এটা ছিলো ফ্রেন্ডলি প্রাকটিস ম্যাচ। খেলাটা বেশ উপভোগ করলাম। কিছুক্ষনের মধ্যেই আমার বন্ধু তাজউদ্দীন চলে আসলো মাঠে। এরপর আমরা দুজনে একসাথে বসে খেলা দেখলাম ও আড্ডা দিলাম।
খেলা শেষে আবারো চলে গেলাম সাইদুলের দোকানে। সাইদুলের দোকানে গিয়ে আবারো ছোলা ভূনা ও চা খেলাম। তারপর আবারো মাঠে গিয়ে বসলাম। মাঠে গিয়ে নারিকেল গাছের ফটোগ্রাফি করলাম। তারপর কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম ও আড্ডা দিতে দিতে একটা পোস্ট করে ফেললাম। তারপর আরো কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরলাম। বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে মোবাইলে বন্ধুদের সাথে একটু চ্যাটিং করলাম। আমার ফুফাতো ভাই জিলাপি এনেছিলো সেই জিলাপি খেলাম। এরপর আমার রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে স্টিমিট এ আরো একটা পোস্ট করে ফেললাম। এরপর আমার ভাই কল দিলো তার সাথে কথা বললাম। টিভিতে পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচ দেখলাম। খেলা দেখা শেষে কিছুক্ষন মোবাইল টিপলাম। তারপর শুয়ে পড়লাম।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে । ভূল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন । আবারো দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টে । |
ধন্যবাদ সবাইকে
সবগুলো ছবিই আমার আইফোন ১২ মোবাইল দিয়ে তোলা হয়েছে
X promotion : https://x.com/saikat01718/status/1892514479927136509?s=46
আপনার দিনলিপিটা আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সারা দিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন। আপনাদের এলাকাতে আলু চাষ হয়,।
আমাদের এলাকাতে আবার আলু চাষ হয় না৷ বেশির ভাগ ধান, কলা আরও অন্যান্য ফসল চাষ হয়।
ধন্যবাদ এতো সুন্দর ভাবে পোষ্টটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপনার মুহূর্ত গুলোকে অনেক বেশি উপভোগ করছেন খুব সুন্দরভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র বর্তমান সময়ে বের করাটা অনেক বেশি টাফ হয়ে গেছে কারণ অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হয় এখন থেকে আপনি আবার আপনার ফুফুর বাড়িতে গিয়েছেন ফুফুর বাড়িতে আলু হাতের মধ্যে অনেকটা সময় পার করেছেন আসলে বর্তমান সময়ে চারপাশে বিভিন্ন শাকসবজি দেখা যায় যার কারণেই হয়তো বা শাকসবজির দাম অনেক কম অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার উপভোগ করা আনন্দঘন দিনটা আমাদের সাথে আবারো উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।