স্বরচিত কবিতা - পথ
বিখ্যাত বাংলা কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ বলেছেন,
মানুষ ও কবিতা অবিচ্ছেদ্য। মানুষ থাকলে বুঝতে হবে কবিতা আছে : কবিতা থাকলে বুঝতে হবে মানুষ আছে।
কবিতা চর্চার ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। আমাদের উপমহাদেশের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, বেশির রাজারই একজন কবি থাকতো মন্ত্রীসভায়। যার খুব আদুরে নাম ছিলো, সভাকবি। কবিতার ভাষা অনন্য। কবিতার মাধ্যমে সব কিছুই দারুণ ভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ কবিতাচর্চা করছে। কবিতার মাধ্যমেই আমরা প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারি।

Device | TECNO SPARK 6 |
---|---|
Model | KE 7 |
Location | Raipur, Laxmipur, Bangladesh |

যাক সে কথা, কোন এক অজানা কারনে কবিতা লেখার প্রতি আমি আকর্ষণ বোধ করি। প্রিয় Incredible India কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, আজ আপনাদের সাথে আমি একটি কবিতা শেয়ার করবো। যার নাম হচ্ছে পথ।
এই পথ ধরে কত মানুষ যায়!
কেউ হেঁটে যায় শান্ত ভাবে,
কেউ যায় খুব ঝড়ের গতিতে।
কেউ আছে, যেন যেতে চায় না,
তবুও তার যেতে হচ্ছে অনেক দূরে।
পথ অবশ্য এসব মনে রাখেনা।
আর কত পথ মনে রাখতে যাবে?
গরুর গাড়িতে চড়ে আনা খাঁ বউ এনেছিল।
সেই বউয়ের ঘরে সাতটা সন্তান হল।
তিনটি মেয়ে, এ গ্রাম-সে গ্রামে বিয়ে হল।
ছোট ছেলেটি বাদে বাকিরা সব শহরে গেল।
বুড়ো বুড়িও অনেকদিন হয় মারা গেল।
যেবার বৃষ্টি হয়েছিল মাসের পর মাস,
পথের মনে পড়ে যায় সে সময়ের কথা।
কলিমউদ্দিনের বাড়ি তলিয়ে গেছে পানিতে।
আনু মিয়ার দুধের বাচ্চাটাকে সাপে কেটেছে।
জলায় জলায় মাছের দাপটে থাকা দায়!
পানি নেমে গেলে অনেকেই মরে ডায়রিয়ায়।
পথটি ভাবছিল বয়স হয়ে গেছে তার।
হয়তো শীঘ্রই অকেজো হয়ে যাবে।
যেভাবে মারা গেছে শতবর্ষপূর্ব কারিগররা।
কিন্তু সেদিন এক শ্বেত-শুভ্র দাড়িওয়ালা এসেছিল।
বলল, পথ তো মরে না। মরে কেবল দুর্বলরা।
এ পথ-তো শ্বাশত, চিরন্তন। রয়ে যাবে আজীবন।

কবিতায় আমি একটি পথের স্মৃতিচারণ করার চেষ্টা করেছি। যে পথের রয়েছে অনেক স্মৃতি, ইতিহাস। পথিকের সুখ, দুঃখের এক নিশ্চুপ সঙ্গী। দীর্ঘ ইতিহাসের স্বাক্ষী থাকে পথ। বলার সুযোগ থাকলে হয়ত সে উগড়ে দিতো সবকিছু। কিন্তু তা পথ করতে পারেনা। আমরা জানতে পারিনা অজানা অনেক ইতিহাস। পথিকেরও হয়ত মনে পড়েনা সেই ঘটনাগুলো।
