সমুদ্রের জন্ম

in Incredible India2 months ago

আসলামু আলাইকুম আশাকরি আপনারা অনেক ভালো আছেন চলুন নতুন গল্প নিয়ে আজ একটু নতুন কিছু জানবো।

pexels-photo-189349.jpegsource

সমুদ্র তো সবাই চিনি সমুদ্র সৈকত সবারই ভালো লাগে তাই না। ব্যক্তিগত ভাবে আমার ও অনেক ভালো লাগে। সমুদ্রের সেই ঢেউ চারিদিকের ঠান্ডা পরিবেশ কে না পছন্দ করে সবাই অনেক পছন্দ করে। সমুদ্রের যে ঢেউ রয়েছে তার শব্দ শুনতে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু পৃথিবীতে এই সমুদ্র এসেছে কিভাবে কতদিন আগে জন্ম নিলো কিভাবে তা আমরা সব কিছুই আজ গল্পের মাধ্যমে জানবো।

সরাসরি বলি সমুদ্র তৈরি হয়েছে ৪.৪ বিলিয়ন বছর আগে এই সময় পৃথিবীর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে এবং জলীয় বাষ্প হয়ে তা সমুদ্রের আকার ধারণ করে। কিন্তু বর্তমান সমুদ্রের রূপে আসতে আরও কোটি কোটি বছর লেগেছে। এর মধ্যে আরো অনেক কিছু কারনে সমুদ্র সৃষ্টি হয়েছে শুধু যে জ্বলীয় বাস্পের কারনে সৃষ্টি হয়েছে তা কিন্তু না। আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের কারনে ভূমি আলাদা হয়ে যায় বা ফেটে যায় সেইখান থেকে ও সৃষ্টি হয়েছে এই সমুদ্র।

pexels-photo-1210273.jpegsource

সমুদ্র যতটা দেখতে ভালো এর কার্যকলাপ আবার এর থেকে ও বেশি খারাপ বলা যায়। কারন প্রতিদিন বিশ্বে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয় সমুদ্র শুধু মাত্র ঘুরতে এসে আনন্দ করার জন্য। পৃথিবীতে যতগুলো সমুদ্র রয়েছে সবগুলোই একটি আর একটির সাথে সংযুক্ত রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি সমুদ্র রয়েছে যা নাম করা সমুদ্র আর এই সমুদ্র গুলো সবচেয়ে বড় বা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র বলা হয়।

যেমন রয়েছে ভারত মহাসাগর এশিয়ার বৃহত্তম মহাসাগর বলা হয়, এরপর রয়েছে প্যাসিফিক সমুদ্র বা মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, এই গুলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র বা মহাসাগর বলা হয়। সমুদ্র কিভাবে জন্ম হয়েছে তা তো আমরা সকলেই বুঝতে পেরেছি কিন্তু এই সাগর এর পানি খাওয়া সম্ভব না। কারন সমুদ্র পানিতে রয়েছে লবণ যেটি লবনাক্ত পানি নামে পরিচিত। কেনো এই পানি লবণাক্ত আর কেনোই বা এই পানি খাওয়ার অযোগ্য সেটিও জানবো।

pexels-photo-994605.jpegsource

যখন বৃষ্টির পানা উৎপত্তি হয় তখন সেই বৃষ্টির পানিতে খনিজ লবণ থাকে। আর সেই লবণ নদী হয়ে সমুদ্রে প্রবাহিত হয় যার ফলে সমুদ্রের পানি লবণাক্ত হয়। তাহলে এমন টাও হতে পারে বৃষ্টির পানিতে লবণ রয়েছে আর পানি খাওয়া সম্ভব না । কিন্তু না বৃষ্টির পানিতে খনিজ লবণ হলেও এই পানি সমুদ্রে না পরে যদি নদী নালা বা অন্য কোনও পরে সেই পানি সংগ্রহ করে খাওয়া যেতে পারে।

কারন এই বৃষ্টির পানি মাটিতে পরা কালিন জ্বলীয় বাস্পের কারনে লবনাক্ততা থাকে না । আর সমুদ্রের পানি লবণাক্ত থাকার কারনে সেই সমুদ্রে পুনরায় আবার বৃষ্টি পড়লে তাতে করে লবনাক্ত আরো বেশি বৃদ্ধি পায় যার ফলে লবনাক্ত পানি হয়ে যায়। আর এই সমুদ্রের পানির লবণ কিনারায় এক হয় যা পরে ওই লবণ সংগ্রহ করা হয় বা চাষ করা হয়।

TQ.png

Sort:  
Loading...