Better Life With Steem || The Diary game || 26 July 2025 ||
![]() |
---|
আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত ছিলাম। আসলে চারপাশের পরিবেশের বা অনেক ধরনের বিপদ আপদ রয়েছে। তার পরেও সবকিছু মিলিয়ে আমি যেমন আছি আল্লাহ তাআলার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আমার চাইতে অনেক খারাপ অবস্থানে অনেক মানুষ রয়েছে। আমি হয়তোবা তাদের চাইতে অনেক ভালো আছি। নামাজ পড়ে কিছুটা সময়ের জন্য শুয়ে পড়েছিলাম। কেননা রাতে ঘুমাতে অনেকটা দেরি হয়েছে, ঘুম ভেঙে গেল সকাল সাতটার সময়। তারপর তাড়াতাড়ি উঠে ঘরে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। এরপর রান্না বসিয়ে দিয়েছিলাম কেননা একটু পরেই বেরিয়ে যেতে হবে।
মোটামুটি রান্নাবান্না শেষ করতেই সকাল সাড়ে নয়টা বেজে গেল। তারপর তাড়াতাড়ি করে গোসল করে নিয়েছিলাম, গোসল করে রেডি হয়ে বের হয়ে গিয়েছিলাম মার্কেটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আজকে। মূলত মেয়ের বাড়িতে আম কাঁঠাল দেয়া হবে। তাই আমার ননদ আমাকে বলেছে আমি যেন এখান থেকে বের হয়ে যাই ও ওর বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবে। মোটামুটি দশটার সময় মার্কেটে গিয়ে পৌছালাম। তারপর এক এক করে প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস নিতে গিয়ে, আমাদের দুপুর বারোটা বেজে গেল। প্রতিটা জিনিস সঠিকভাবে গাড়িতে উঠিয়ে সোজা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এরপর বাড়িতে এসে সবকিছু ঠিক আছে কিনা আবারো দেখে নিয়েছিলাম।
আমাদের কিছু মেহমান যাবে আজকে মেয়েকে নিয়ে আসার জন্য। তাই তাদের সাথে আজকে আম কাঁঠাল আনারস মুড়ি দুধ দেয়া হচ্ছে। তারপর সমস্ত জিনিস গাড়িতে তুলে আমি ঘরে চলে আসলাম। তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুটা সময় শুয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু শ্বশুর অসুস্থ থাকার কারণে বারবার উনাকে দেখতে হচ্ছিল। এরপর উনি আবার খাবার খাবে তাই ওনার জন্য পায়েস রান্না করেছিলাম। এরপর আপনাকে খাবার দিয়ে আমি আবার এসে শুয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু ঘুম আসছিল না তাই কিছুক্ষণ মোবাইলের ঘাটাঘাটি করলাম।
একটু পরেই আসরের আযান দিলো নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর দেখলাম আমাদের মেহমানরা চলে এসেছে তবে আজকে তারা মেয়েকে দেয়নি। আগামীকাল সকালে তারা মেয়ে এবং মেয়ের জামাইকে পাঠিয়ে দেবে। এরপর আমি আমার কবুতর গুলোকে তাদের ঘরে রেখে দরজায় তালা দিয়ে দিয়েছিল। তারপর হাঁস মুরগি গুলোকে তাদের ঘরে রেখে দিয়েছিলাম। একটু পরেই মাগরিবের আযান দিলো তাড়াতাড়ি করে ওযু করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম। তারপর ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসেছিলাম ওদের পড়া শেষ হলে ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম।
অতিরিক্ত ব্যস্ততার কারণে আসলে কোন কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। যার কারণে নিজের লেখাও সঠিকভাবে সাবমিট করতে পারছি না। তাই কিছুটা লেখা লিখে রেখেছিলাম, এরপর মোবাইলে কিছুক্ষণ ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখলাম। একটু পরেই কারেন্ট চলে গেল অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে ঘুমাতেও পারছিলাম না। এরপর আমি এবং আমার ভাগিনা, ভাগিনার ছেলে, ভাগিনা বউ সবাই মিলে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। কখন যে রাত বারোটা বেজে গেল বুঝতেই পারলাম না। একটু পরেই কারেন্ট আসলো তারপর ঘুমিয়ে পড়লাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।