Better Life With Steem || The Diary game || 20 March 2025 ||
![]() |
---|
সবকিছু আমাদের মন মত সব সময় হবে এমনটা কখনো হয় না। প্রতিদিন আমাদেরকে নতুন কিছু বার্তা দিয়ে যায় আমরা কেউ সেটাতে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আবার কেউ সেটাতে গুরুত্ব দেই না। আমরা বুঝতে চেষ্টা করি না আমাদের আগামী দিনে কি হতে চলেছে। প্রতিদিনের বার্তা গুলোকে যদি আমরা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে পারতাম। তাহলে আমার মনে হয় যে কোন সমস্যা খুব সহজেই মোকাবেলা করতে পারতাম। তবে আমরা সেটা করি না। আমরা সমস্যা গুলোকে এড়িয়ে চলতে অনেক বেশি পছন্দ করি। অজুহাত দিতে অনেক বেশি পছন্দ করি। এই অজুহাত আর এড়িয়ে চলা দিনশেষে আপনাকে শুধুমাত্র আফসোসের পাতায় রেখে দেবে। সফলতার পাতায় কখনোই উড়তে দেবে না।
অনেকেই বলে থাকে জীবন যেহেতু আছে সমস্যা সেখানে থাকবে। সুখের পরে দুঃখ অবশ্যই আসবে। আবার দুঃখের পরে সুখ অবশ্যই পাওয়া যাবে। তবে আমরা সুখের পেছনে দৌড়াতে গিয়ে নিজেদের মূল্যবান সময় গুলো পার করে ফেলি। পরিবারের সাথে ঠিকমত কথা বলার সময় থাকে না কিছু মানুষের। পরিবারের ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করার সময় থাকে না। শুধুমাত্র মাথার মধ্যে একটা টেনশন থাকে অর্থ উপার্জন করতে হবে। একটা কথা বলি একটা পরিবারের দায়িত্ব নিলে হয় না। সে দায়িত্বটাও সঠিকভাবে পালন করা খুব প্রয়োজন। দিনশেষে হয়তোবা আপনি তাদেরকে অর্থ দিয়ে খুশি করতে পারবেন, অনেকেই খুশি হবে। কিন্তু অনেকে আপনার প্রতি অভিযোগ থেকে যাবে মরণের আগ পর্যন্ত। কারণ আপনি তাদেরকে সঠিকভাবে সময় দিতে পারেননি।
![]() |
---|
![]() |
---|
আলহামদুলিল্লাহ সেহরির সময় উঠে নিজের ঘরের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে, সবাইকে ডেকে দিয়েছিলাম সেহরি খাওয়ার জন্য উঠতে। এর পরে তরকারি গরম করে সবাইকে সেহেরির খাবার দিলাম। আমি নিজেও খেয়ে নিলাম। সেহরি খেয়ে দুই রাকাত তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর দুই তিনটা পোস্টে কমেন্ট করলাম। একটু পরেই দেখলাম ফজরের আজান দিয়ে দিল তারপর নামাজ পড়ে শুয়ে পড়েছিলাম। আসলে ঘুম হয় ১০ মিনিট ৫ মিনিট এরপর আবার ঘুম ভেঙে যায়। আমাদের পাশেই একটা বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে, ওনারা মনে হয় রাতেও ঘুমায় না দিনেও ঘুমায় না। সারাক্ষণ শুধু কাজ করে। সকালবেলা উঠেই মেশিন চালু দেয়। যার কারণে আরো খুব তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে যায়।
![]() |
---|
আকাশটা একেবারেই মেঘলা ভেবে নিয়েছিলাম হয়তোবা একটু বৃষ্টি অবশ্যই হবে। তার পাশে মেঘের গর্জন শোনা যাচ্ছে। তাই তাড়াতাড়ি করে বাহিরের কাজগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। তারপর ঘরে এসেছিলাম একটু পরে দেখলাম বৃষ্টির দেখা নেই কিন্তু রোদ উঠেছে অনেক প্রখর ভাবে। কিছু করার নেই সবকিছু আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা। তার যখন ইচ্ছা হবে তিনি অবশ্যই বৃষ্টি দিবেন। এরপরে নিজের লেখা শুরু করেছিলাম। লেখা শেষ করে সাবমিট করতে অনেকটা সময় ব্যয় হল। তারপর আরো কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম। কমেন্ট করা শেষ করে বাহিরে আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম।
একটু পরেই দেখলাম আমার শাশুড়ি অনেকগুলো মাছ নিয়ে এসেছে। আমাদের পুরনো বাড়িতে পুকুরের মধ্যে জাল ফেলেছে। তাই আমাদের ভাগের মাছ আমার শাশুড়ি নিয়ে এসেছে। তারপর ওনার সাথে মাছ কেটে নিয়েছিলাম। তারপর ধুয়ে পরিষ্কার করে নিজেও গোসল করে নিয়েছিলাম। মাছ কাটার পর শরীর থেকে অন্যরকম একটা গন্ধ বের হয়। গোসল করে এসে আরও কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম। একটু পরেই যোহরের আজান দিল তারপর নামাজ পড়ে শুয়ে পড়েছিলাম। ভেবেছিলাম ঘুমিয়ে পড়বো কিন্তু ঘুম আসছে না কোন কিছুই ভালো লাগছে না।
![]() |
---|
![]() |
---|
এরপর উঠে গিয়ে ছেলেদেরকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম। আবার এসে শুয়ে পড়লাম, মোবাইলে একটা ভিডিও সামনে আসলো। যেখানে একজন ব্যক্তি তরমুজ বিক্রি করছে। উনি ওনার অঙ্গভঙ্গি দিয়ে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছে ওনার তরমুজ অনেক বেশি মিষ্টি। কিন্তু মানুষ এটা নিয়ে অনেক বেশি মজা নিচ্ছে। ওনার বলা ডায়ালগ আমি যখন ইউটিউবে সার্চ করলাম। তখন দেখলাম অনেকেই উনার বলা ডায়লগ দিয়ে ভিডিও বানিয়ে ভাইরাল হয়ে গেছে। কি আর বলবো বাংলাদেশের এই একটা অবস্থা। কে কখন ভাইরাল হয়ে যায় কেউ জানে না। লোকটা কান্না করতে করতে কিছু কথা বলেছিল। প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়া মানুষগুলো তাকে ভিডিও করার মাধ্যমে ব্যস্ত রাখে। তাদের সাথে কথা বলার মাধ্যমে ব্যস্ত রাখে কিন্তু লোকটা তার ব্যবসা ঠিকমতো করতে পারছে না।
![]() |
---|
ছবিটা youtube থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে!
![]() |
---|
বিষয়টা শোনার পর আসলে খুব খারাপ লাগলো। আমার মনে হয় সে তার রিজিকের জন্য চেষ্টা করছে, অথচ কিছু মানুষ ভিডিও বানিয়ে তাকে বিরক্ত করছে। এটা না করলেও হয়। যাইহোক কিছুক্ষণ ভিডিও দেখে তারপর উঠে চলে গেলাম রান্না করার জন্য। রান্নাবান্না করতে মোটামুটি প্রায় অনেকটা সময় ব্যয় হলো। তারপর কবুতর গুলোকে তাদের ঘরে রেখে দরজা লাগিয়ে দিলাম। এরপর আমি নিচে এসে ইফতারের জন্য সবকিছু রেডি করে নিলাম। এরপর সবাই মিলে ইফতার করে নিয়েছিলাম। এরপর নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসলাম। ওদের পড়া শেষ হলে আবারো তারাবির নামাজ পড়ার জন্য রেডি হয়ে, নামাজ পড়ে নিলাম। আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
We support quality posts and good comments Published in any community and any tag.
Curated by : artist1111
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য আপনাদের সাপোর্ট আমাদেরকে নতুন করে কাজ করতে অনেক বেশি উৎসাহ জাগিয়ে থাকে ভালো থাকবেন।