আমাদের সবার জীবনেই মাথা ভর্তি টেনশন কখন কি করব। কখন কি হবে আদৌ এই কাজটা ভালো হবে কিনা। এমন ধরনের চিন্তাভাবনা আমরা প্রতিনিয়ত করতেছি। নামাজ পড়ার খাওয়া-দাওয়া করা সবার সাথে বসে আড্ডা দেওয়া, মোবাইলের বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখা। এভাবেই আমাদের জীবনটা পার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু চোখ বন্ধ করে কি কখনো চিন্তা করেছেন। আমাদের এই জীবনের শেষ কোথায়? জানিনা কেন গতকালকে মাগরিবের নামাজ পড়ার পরে হঠাৎ করেই মনে হলো। আসলে আমাদের এই জীবনের শেষ কোথায়? আমরা মৃত্যুবরণ করবো এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে মাটির ঘরে চলে যাব। এমন একটা ঘরে আমাদেরকে দিয়ে আসবে, সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে। যেখান থেকে আর ফিরে আসার কোন অপশন থাকবে না!
কারণ যারা চলে গেছে তারা আজ পর্যন্ত ফিরে আসেনি। আমি আর আপনি যখন চলে যাব তখন আর কখনো ফিরে আসবো না। তার পরেও আমাদের মধ্যে এত অহংকার কেন? একজন ফকির যে কিনা না প্রতিনিয়ত কুঁড়ে ঘরে থেকে, মাটির থালায় ভাত খেয়ে জীবন যাপন করছে। সেও কিন্তু সেই সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে যাচ্ছে। ঠিক তেমনি একজন বড়লোক ধনী মানুষ, যে কিনা রাজার হালে বসবাস করছে। সেও কিন্তু মৃত্যুর পরে একই ঘরে যাচ্ছে। তার পরেও আমাদের অহংকারের শেষ নেই। অহংকার ছেড়ে দিয়ে এই পৃথিবীতে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলেই, আসল শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়।
 |
সেহরি খেয়ে ঘুমানোর পরে ঘুমটা আসলে সঠিকভাবে হয় না। কখন সকাল হবে কখন কাজগুলো কমপ্লিট করব এটা নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা থাকে। তাই এপাশ ওপাশ করে উঠে পড়া ছাড়া আর কোন কিছুই করতে পারি না। সকালে উঠেই দেখলাম বাগানের মধ্যে দেখা যাচ্ছে সূর্য মামা উঠছে। তারপর উঠে গিয়ে সংসারে যাবতীয় কাজগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। রোদের প্রখরতা এতটাই বেশি বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু কিছুই করার নেই। কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। মোটামুটি সব কিছু সম্পূর্ণ করে নিয়ে এসে ছেলেদেরকে সকালের খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর আমি আমার কবুতর গুলোকে খাবার দিয়ে, পানি দিয়ে নিচে নেমে এসে আমার পোস্ট লেখা শুরু করলাম।
 |
 |
পোস্ট লেখা শেষ হতে অনেকটা সময় লাগলো। যাইহোক তারপরেও পোস্ট সাবমিট করে দিয়ে আমি আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। আগের দিন আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমার রুমের ফ্যান নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে ঘরে থাকাটাও এখন মুশকিল। কি করব বুঝতে পারছিলাম না। তারপর বাজারে চলে গেলাম। ওখানে গিয়ে একটা ক্যাপাসিটার এক গজ তার সেই সাথে নিয়েছিলাম একটা রাবার। এরপর বাড়িতে এসে প্যান ঠিক করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। ফ্যান ঠিক করতে আমার দীর্ঘ দুই ঘন্টা লাগলো। মোটামুটি ঠিক হয়েছে বলে আবারো ফ্যান জায়গায় বসিয়ে দিলাম। মোটামুটি ফ্যান চলছে, তারপরে গিয়ে গোসল করে নিয়েছিলাম, ঘামে আমার অবস্থা দ্বিগুণ খারাপ হয়ে গেছে।
 |
 |
এরপরে গোসল করে এসে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম, তারপর একটু শুয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু সকাল থেকে কোন কমেন্ট করা হয়নি তাই কিছু পোস্টে কমেন্ট করে নিয়েছিলাম। তারপর উঠে গিয়ে বিকেলবেলা রান্না বান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে, রান্না বান্না শুরু করে নিলাম। রান্নাবান্না শেষ হলো মোটামুটি মাগরিবের একটু আগে। এরপর প্রথম অবস্থায় গিয়ে কবুতর গুলোকে তাদের ঘরে রেখে দিলাম। তারপর মুরগি গুলোকে খাবার দিয়েছিলাম। এরপর ঘরে এসে ইফতারের জন্য সবকিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। তারপর সবাই মিলে ইফতার করে নিলাম। এরপর কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে ওযু করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম।
 |
ছেলেদেরকে নিয়ে একটু পড়তে বসলাম, ওদের পড়া শেষ হলে আমি অজু করে এসে তারাবির নামাজ পড়ার জন্য দাঁড়িয়ে গেলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই ফ্যানটা বন্ধ হয়ে গেল। কোন রকমে চার রাকাত নামাজ শেষ করেছিলাম, তারপর উঠে দেখলাম ফ্যান আর চলছে না। কি সমস্যা কিছুই বুঝতে পারছি না। তারপর ঘরে নতুন একটা ফ্যান ছিল সেটা আবার ফিট করে, পুরনো ফ্যানের জায়গায় লাগিয়ে দিলাম। পুরনো ফ্যান নষ্ট হয়ে গেছে বুঝতে পারলাম কিছুই করার নেই। এই গরমে তো আর থাকা যাবে না, কি করব ফ্যান ফিটিং করতে আমার প্রায় আধা ঘন্টা সময় লাগলো। এদিকে ঘামে আমার অবস্থা আরো খারাপ বারবার পানি খাচ্ছিলাম। মোটামুটি যাই হোক ফ্যান ফিটিং করে নিয়েছি এটাই হচ্ছে সবচাইতে বড় কথা। তারপরে নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। শরীরে অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।