Better Life With Steem || The Diary game || 18 February 2025 ||
![]() |
---|
![]() |
---|
আমরা মানুষ আমাদের মধ্যে একটা বদ অভ্যাস আছে। সেটা হচ্ছে আমরা অজুহাত দিতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমাদের এডমিন ম্যাম একটা কথা আমাদেরকে সবসময় বলে থাকেন। আমাদের তিনটা হাত দুইটা হচ্ছে আমাদের নিজের কাজ করার হাত আর একটা হচ্ছে আমাদের অজুহাত। যেটা আমরা খুব সহজেই দিয়ে ফেলি। আমার কাছে মনে হয় অজুহাত দেয়াটা যতটা সহজ কাজ সম্পূর্ণ করা তার চাইতেও কঠিন। অজুহাত না দিয়ে আপনি যদি আপনার প্রতিটা কাজ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করতে পারেন। তাহলে খুব বেশি সমস্যা হয় বলে আমার মনে হয় না।
চেষ্টা শব্দটা আমরা করতে চাই না, আমরা এটা ভুলে যাই যে আমাদের জীবনের সমস্যা যা আছে সেগুলো আমরা অবশ্যই সমাধান করতে পারব। কিন্তু তার জন্য আমাদেরকে একটু পরিশ্রম অবশ্যই করতে হবে। সে পরিশ্রম আমরা করতে চাই না। আমরা মনে করি ঘুমিয়ে থাকলেই আমাদের সব স্বপ্ন পূরণ হয়ে যাবে। এটা মোটেও সম্ভব না। গত সপ্তাহে আমার কার্যক্রম অনেকটাই এলোমেলো ছিল। যার ফলাফল আমি এই সপ্তাহে এসে বেশ ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছি। ওই যে কথায় বলে না আপনি যে জায়গায় যত বেশি নিজেকে নিযুক্ত রাখতে পারবেন। সেই জায়গা থেকে সুফল ঠিক ততটাই পাবেন। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে।
আর তাই আমি মনে করি অজুহাত দেয়া বন্ধ করে, নিজের কাজের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। আমি আমার কাজ যত সঠিকভাবে করতে পারব, সেখান থেকে সুফলটা ঠিক সেভাবেই পাব। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করব নিজের এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করে এখানে টিকে থাকার। কারণ এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করলে কি কি হয় সেটা আমি বেশ ভালোভাবেই জানি। তাই চলুন আর অজুহাত নয় নিজের কাজের প্রতি অবহেলা নয়। প্রতিনিয়ত কাজকে সম্মান করে এগিয়ে চলার চেষ্টা করুন। ইনশাল্লাহ ভালো কিছু আপনিও করতে পারবেন।
আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়েছি। বাহিরে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করে ঠান্ডা বাতাসটা যখন গায়ে লাগছিল তখন বেশ ভালই লাগছিল। চারপাশের পরিবেশটা নিস্তব্ধ তেমন কোন মানুষের কোলাহল এই সময়ে আমি কখনো পাইনি। রাস্তায় গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম কোন মানুষ দেখতে পেলাম না। এরপরে বাড়িতে চলে আসলাম ঘরের কাজগুলো এক এক করে সম্পন্ন করা শুরু করেছিলাম। কিছু কাজ ছিল আমি ভেবেছিলাম এগুলো আমাকে দিয়ে হবে না, কিন্তু আমি চেষ্টা করিনি তাই হয়তোবা এই কাজগুলো এতদিন পড়ে ছিল।
![]() |
---|
এরপরে সবার জন্য সকালের খাবার তৈরি করেছিলাম। তারপর দেখলাম শাশুড়ি নিজেই আজকে তরকারি কেটে নিয়েছে। আমাকে বলল যে কাজগুলো পড়ে আছে সেগুলো সম্পূর্ণ করে নাও। আমি আজকে রান্নাবান্নাটা করে নেব একটু স্বস্তি পেয়েছিলাম। কেননা ঐ কাজগুলো করতে গেলে ওখানে আমার প্রায় দুই তিন ঘন্টা সময় লেগে যাবে। রান্নাবান্না করতে অনেকটা লেট হয়ে যাবে, তবে উনি রান্না করবেন শুনতে পেরে ভালো লাগছিল। তারপর আমি আমার কাজে লেগে পড়লাম। একটা একটা করে যখন কাজগুলো সম্পন্ন করছিলাম, তখন আমার মনে অনেক বেশি আনন্দ লাগছিল। কেন জানেন কারণ আমি কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারছি এর চাইতে বড় পাওয়ার কি হতে পারে।
এজন্যই হয়তোবা অনেকেই বলে থাকে, সমস্যা দেখে পালিয়ে যাওয়ার চাইতে সমস্যা মোকাবেলা করাটা অনেক বেশি প্রয়োজন। কিছু কাজ মোটামুটি সম্পন্ন করে ফেলেছি আর বাকিগুলো কালকে করব। কারণ হাতে প্রচন্ড ব্যথা পেয়েছি, তাই এখন আর কাজ করা সম্ভব হবে না। ঘরে এসে ঘর মুছে নিয়েছিলাম তারপর শাশুড়ি রান্না করেছে সবকিছু গুছিয়ে ঘরে নিয়ে আসলাম। এরপরে গোসল করে নামাজ পড়ে প্রথমত দুপুরের খাবার ছেলেকে খাইয়ে দিয়ে, আমি নিজেও খাবার খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিয়েছিলাম। হাতের ব্যথা প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছে, তারপর শুয়ে পড়েছিলাম কিন্তু ঘুম আসছিলো না তাই কিছু পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম।
![]() |
---|
কমেন্ট করতে করতে আসরের আযান দিয়ে দিল। উঠে নামাজ পড়ে প্রথমত হাঁস মুরগি গুলোকে খাবার দিয়েছিলাম। তাদের পেছনে কিছুটা সময় না দিলে নিজের কাছেও খুব খারাপ লাগে। একটা মুরগির বাচ্চা মারা গিয়েছে, আসলে সবকিছু যে আমাদের ইচ্ছামত হবে এমনটা নয়। সৃষ্টিকর্তা যেটা রেখেছেন সেটা অবশ্যই হবে। মুরগির বাচ্চা মারা যাওয়ার কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে কারণ আমার অনেক কষ্টের টাকা দিয়ে এই মুরগির বাচ্চা কেনা। ওখান থেকে একটা বাচ্চা মারা গেছে, তারপরেও শুকরিয়া আদায় করছি আল্লাহর কাছে যেগুলো আছে সেগুলো যেন ভালো থাকে।
![]() |
---|
বাকি মুরগির বাচ্চা গুলোকে ঔষধ খাইয়ে দিলাম। হাঁসের বাচ্চাগুলোকে ঘরে রেখে মুরগির বাচ্চা গুলো কেও ঘরে রেখে দিলাম, রাতের জন্য খাবার দিয়ে আমি দরজা বন্ধ করে দিলাম। তারপর মাগরিবের নামাজের অজু করে আসলাম। ওযু করে এসে নামাজ পড়ে ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসেছিলাম। তবে আমার কাছে বারবার একটা কথাই মনে হচ্ছিল, যে কোন কাজ করার জন্য আপনাকে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। আমি এই কাজ করব আমাকে দিয়ে হবে। এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে যদি আপনি এগিয়ে চলতে পারেন। তাহলে মনে হয় না আপনি কোন কাজে বিফল হবেন চেষ্টা করলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব।
![]() |
---|
ছেলেদের পড়াশোনা শেষ করে আমি ওদেরকে প্রথম অবস্থায় রাতের খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম। তারপর দেখলাম আমার বড় ননসের ছেলে এসেছে। তার জন্য আবার ডিম ভাজা তৈরি করলাম। এরপরে ওকে ও রাতের খাবার দিলাম, আমি নিজেও হালকা পরিমাণে খেয়ে নিয়েছিলাম কারণ ঔষধ খেতে হবে। ঔষধ খেয়ে অজু করে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। ছেলেদেরকে ঘুম পাড়িয়ে আমি আরো কিছু পোস্টে কমেন্ট করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবে আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
এটা আপনি একদম সত্যি কথা বলেছেন যে আমাদের সবথেকে বড় সমস্যা হল অজুহাত দেওয়া। আমরা যখনই কোন কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ না করি তখনই অজুহাত দিয়ে সেই কাজটিকে বাতিল করার চেষ্টা
করি। যে কাজটি হয়তো আমাদের জন্য মঙ্গলকরও হতে পারে। কিন্তু আমরা অনিশ্চিত ভয়ে বা নিজের গাফিলতির কারণে এমন কিছু অজুহাত অবলম্বন করে থাকি যার কারণে আমরা অনেক সময় পিছিয়ে
পরি। আজ আপনার লেখাটি পড়ে খুব ভালোলাগলো। একটি সঠিক কথা আপনি আপনার লেখার মধ্যে দিয়ে আজ প্রকাশ করেছেন যে। যেটি আমাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়।
আমার কাছে মনে হয় অজুহাত দেওয়া মোটেও ঠিক না আপনার চেষ্টা আপনার ইচ্ছাশক্তি সবকিছুই আপনাকে নতুন করে কাজ করার ইচ্ছাটা আরো নষ্ট করে দেয় আপনি কোন কাজের প্রতি কখনোই অনীহা প্রকাশ করবেন না সে কাজ করার ইচ্ছা আপনার যদি থাকে সেটা হয়তোবা অনেকটা কষ্ট হবে ভুল হবে তারপরেও যদি আপনি চেষ্টা করেন সেই কাজ আপনি অবশ্যই করতে পারবেন।
জীবনে আমরা হোচট খেয়ে অনেকবার পিছিয়ে যাই কিন্তু চেষ্টা করলে সেই পথ আমরা আবারো পাড়ি দিতে পারি আপনি আমি হয়তো বা অনেক কিছু করতেই অনীহা প্রকাশ করি এটা করা মোটেও ঠিক না অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পরিদর্শন করে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।