"শাসন করে নয়, ভালোবাসা দিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন..........!"

in Incredible India2 months ago
pexels-photo-7269604.jpeg

আপনার কিংবা আমার সন্তান যেমনই হোক না কেন? আমরা তাদেরকে হাজার বার বারণ করার পরেও তারা কিন্তু মোবাইল স্ক্রিন থেকে বেশিক্ষণ দূরে রাখতে পারি না। এরকম পরিস্থিতিতে আমার কাছে মনে হয় তাদের জন্য মজাদার কিছু পদক্ষেপ, আমাদের সকলের গ্রহণ করা অনেক বেশি প্রয়োজন। এতে করে আমরা কিছুটা হলেও তাদেরকে মোবাইল স্ক্রিন থেকে দূরে রাখতে পারবো। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে মোবাইল কিংবা ট্যাব ছোট বাচ্চাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে। যার কারণে আমাদের মতো যারা বাবা-মা রয়েছে, তাদের কপালে ভাজ পড়ে যায় চিন্তায় তারা অস্থির। কি করলে তাদের কাছ থেকে আমরা মোবাইল কিংবা ট্যাব বা এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারব।

অনেক বকাবকি বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দেয়ার পরেও কিন্তু আমরা তাদেরকে এই মোবাইল স্ক্রিন দেখা থেকে বিরত রাখতে পারি না। তখন দেখা যায় আমাদের সাথে বিপরীত কিছু হয়ে যায়, হয়তোবা দেখা যায় বাচ্চারা আমাদের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। কিংবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু বাবা-মা রয়েছে বাচ্চাদের কাছে এবং তাদের জেদের কাছে নত শিকার হয়ে, তাদের হাতে মোবাইল দিতে বাধ্য হয়। এই বিষয়টা গত কয়েকদিন আমার কাছে অনেক বেশি ভয়ংকর মনে হয়েছে। কারণ আমি হাজার বার চেষ্টা করেও আমার ছেলেদেরকে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের সামনে থেকে সরাতে পারছি না।

pexels-photo-7114121.jpeg

যদি আমি গত দুই দিনের কথা বলি, তাহলে আমার বড় ছেলে অসুস্থ হওয়ার সত্বেও অতিরিক্ত জ্বর বমি হওয়া সত্ত্বেও কিন্তু সে ল্যাপটপের সামনে বসে আছে, ঘন্টার পর ঘন্টা কার্টুন দেখতেছে। এতে করে কিন্তু তার আরো বেশি সমস্যা হচ্ছে, বিশেষ করে তার মাথা ঘোরানো টা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। গতকালকে যখন আমি তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। তখন ডাক্তারকে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে বলেছিলাম। তখন ডাক্তার আমাকে প্রথমত বলল তার স্কুলে যে বিজ্ঞান বই আছে, সেখানে নাকি বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার বিভিন্ন জিনিস রয়েছে। তিনি আমাকে প্রথমত সাজেশন দিলেন যে আমি যেন বাড়িতে এই পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে তাদের সাথে কথা বলি এবং জিনিসপত্র কিনে দেই। এতে করে তারা যখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে, তখন তাদের মোবাইলের প্রতি আকর্ষণটা কিছুটা কমে যাবে।

এরপর উনি আমাকে বললেন ছোট বাচ্চারা কিন্তু গোয়েন্দাগিরি করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। তারপর বিভিন্ন ধরনের গল্পের মধ্যে যে গোয়েন্দা গুলো রয়েছে। তারা কিন্তু তাদের পার্ট বা অভিনয় করতে পছন্দ করে। বিভিন্ন সময় যখন তাদের স্কুল বন্ধ থাকে তখন তারা ২-৩ জন একসাথে মিলে এই ধরনের গোয়েন্দা খেলার মধ্যে অংশগ্রহণ করলেও কিন্তু, কিছুটা মোবাইল থেকে দূরে থাকাটা সম্ভব। এরপর যদি মেয়ে হয়ে থাকে তাহলে ছুটির দিনে তাকে রান্নাঘরে রান্না করার জন্য উৎসাহ দেয়া এবং বড়রা যখন রান্না করতে যায়, তখন তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া। ছেলেদের ক্ষেত্রে তাদেরকে ফুটবল কিংবা ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ দেখানো, বাড়ির মধ্যে বাগান তৈরি করার প্রতি আগ্রহ দেখানো। এতে করে যখন তারা মোবাইল থেকে অন্যদিকে সময় বেশি দেয়ার চেষ্টা করবে। তখন কিন্তু তারা এই মোবাইল স্ক্রিন থেকে অনেকটাই দূরে সরে যাবে।

pexels-photo-5063442.jpeg

পাঁচ বছরের নিচে যে সন্তানগুলো রয়েছে তাদেরকে বই পড়তে দেয়া, বইয়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু রয়েছে, যাদের ছবি দেখিয়ে তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। এতে করে কিন্তু ছোট বাচ্চারাও বইয়ের প্রতি অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং মোবাইল থেকে অনেকটা দূরে থাকবে। আমার কাছে ডাক্তার সাহেবের সাজেশন অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে আমার কাছে মনে হয়েছে এই বিষয়গুলো যদি আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের বাচ্চাদের সাথে করতে থাকি। তাহলে আমরা কিন্তু কিছুটা হলেও মোবাইল কিংবা ট্যাব স্ক্রিন থেকে আমাদের বাচ্চাদেরকে দূরে রাখতে পারবো। তো বিষয়গুলো যেহেতু আমার কাছে ভালো লেগেছে, তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে বিষয়গুলো তুলে ধরলাম। সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Image source

Image source

Image source

Sort:  
Loading...