Better Life With Steem || The Diary game || 11 January 2025
Hello Everyone,,,
কেমন আছেন সবাই.? আশা করি সবাই অনেক বেশি ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে আমার কাটানো আরেকটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করতে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক...
ঘড়িতে তখন ৬ টা বেজে ৪৫ মিনিট। অন্যান্য দিনের থেকে আজ একটু সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
সকাল মানে আরেকটি নতুন দিনের শুরু। এক নতুন দিনের আশা, নতুন সম্ভাবনার সূচনা। সূর্যের প্রথম আলো, পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ, হাওয়ায় মিশে আসা তাজা ফুলের গন্ধ – সকালের এই সব কিছু মিলে মনে এক অন্যরকম প্রশান্তি দেয়।
সকালের প্রকৃতি অত্যন্ত সুন্দর। সূর্যের আলোতে পাতাগুলো ঝলমল করে, ফুলগুলো মুখ খুলে হাসে। এই সুন্দর পরিবেশ মানুষকে প্রশান্তি দেয় এবং মনকে ভালো রাখে।
কোনো কোনো মানুষ এই শীতের সকালে খুব তাড়াতাড়ি উঠে যায়। তারা কেউ সকালের ঠান্ডা হাওয়ায় হাঁটতে যায়, কেউ আবার বাগানে কাজ করে, কিংবা নিজের জন্য একটু সময় বের করে নেয়।
আবার কেউ কেউ সকালে ঘুম থেকে উঠতেই চায় না। বিশেষ করে শীতের সকালে। তারা দেরিতে ঘুম থেকে উঠে, এবং এক কাপ চা খেয়ে দিনের কাজ শুরু করে। আমিও তাদের ভিতর একজন। কিন্তু আজ সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় আমিও হাঁটতে বের হলাম। এবং প্রকৃতির সাথে বেশ কিছুটা সময় পার করলাম।
তারপর বাড়ি চলে আসলাম। বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। শীতের সকালে মায়ের হাতে রান্না করা গরম গরম খাবার সারাদিনের কাজ করার শক্তি যোগায়। সকালের খাওয়া দাওয়া শেষ করে চলে গেলাম আমার শখের কবুতরের ঘরে। অনেক দিন হলো কবুতরের ঘরে যাওয়া হয় না।
আপনাদের আগের এক পোস্টে বলেছিলাম আমার কবুতরের বাচ্চা ফুটিছে এবং বেশ বড়ও হয়ে গেছে। আজ কবুতরের ঘরে যেয়ে দেখি তারা সব গুলা উড়তে শিখে গেছে। এখন বিলে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার থাকায় সকাল বেলা কবুতর গুলো সব বিলে চলে গেছে। এই জন্য তাদের আর ছবি দিতে পারলাম না। পরবর্তী কোন এক পোস্টে সব গুলোর ছবি দেওয়ার চেষ্টা করবো।
যাই হোক, অনেক দিন কবুতরের ঘরে না যাওয়ার কারণে কবুতরের ঘর গুলো পরিষ্কার করা হয় না। ঘর গুলো বেশ নোংরা হয়ে গেছে। কিছু দিন পর পর ঘর গুলো পরিষ্কার না করে দিলে কবুতরের অসুখ হতে পারে। অসুখ এর কারণে তখন কবুতর গুলো মারা যেতে পারে। আমার মনে হয় শখের জিনিস হারানোর মত কষ্ট আর কোন কিছুতে হয়। তাই ঘর গুলো ভালো ভাবে পরিষ্কার করে দিলাম।
ঘর গুলো পরিষ্কার করতে করতে বিকালবেলা পড়ে গেছে। কিন্তু তখনও রোদ কিছুটা দেখা যাচ্ছে। তাই আর দেরি না করে স্নান করে নিলাম। স্নান করার সময় হালকা রোদ থাকায় স্নান করতে বেশি একটা কষ্ট হলো না। স্নান করে এসে গা গরম করার জন্য রোদে কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করলাম।
সন্ধ্যার সময় মা রান্না করতে বসলে, ছোট ভাই ঘর থেকে মুড়ি আর খই বের করে আনে। খই গুলো হালকা নরম হয়ে গিয়েছিল। তাই সেগুলো মাকে ভাজি করে দিতে বলে। নরম খই মুড়ি কাঁচা মরিচ আর পিঁয়াজ দিয়ে ভাঁজি করে খেতে সেই মজা লাগে।
তাই মা একটা পিঁয়াজ আর দুই তিনটা কাঁচা মরিচ কুঁচি কুঁচি করে কেঁটে খই আর মুড়ির সঙ্গে দিয়ে ভাঁজি করে দেয় সাথে স্বাদ মত লবনও দেয়। ভাজি করা হয়ে গেলে সেগুলো নিয়ে আমরা এক জায়গায় বসে মুভি দেখি আর খাই।
কাঁচা মরিচ আর পিঁয়াজ দিয়ে ভাজি করা খই মুড়ি খেতে এতো সুস্বাদু হয় যে না খেলে বুঝতে পারবেন না। এই রকম খই মুড়ি ভাজি আমি এর আগেও অনেক বার খেয়েছি। কিন্তু অন্যান্য দিনের থেকে আজকে বেশি ভালো লাগিছে। তাই যারা খাননি তারা একবার হলেও বাসায় ট্রাই করবেন।
সমাপ্ত |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 4/6) Get profit votes with @tipU :)