হাসপাতাল যেন পিছু ছাড়ে না।(The hospital should not be left behind.)..
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
পৃথিবীতে কোন মানুষই যেন সুখি নয়। সবাই কোন না কোন দিক দিয়ে অসুস্থ৷ হয় শারীরিক না হয়, মানসিক। হাসপাতালগুলোতে গেলে মনে হয়, আল্লাহ তায়ালা আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন। যদিও আমিও নিজেও নানা ধরনের অসুস্থতার মধ্যে থাকি। বিশেষ করে আমার মাইগ্রেনের সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি। তারপর গত ঈদের দুই দিন আগ থেকে ঠান্ডা লেগেছে এখনও কমে নাই। আসলে আমার এই শারীরিক অসুস্থতার জন্যই আমি কোন জায়গায় গিয়ে স্থির হতে পারি না। এতো ঔষুধ খায় তবুও যেন সুস্থ হয় না। এক দিন একটু সুস্থতা বোধ করলে পরের দিনই আবারও মাথা ব্যাথা বেড়ে যায়। বার বার খালি ছুটে যেতে হয় ডাক্তারের কাছে। গত ২/৩ মাস আগেও মাথার সিটি স্ক্যান করায়েও কোন সমস্যা ধরা পরে নাই। কিন্তু তারপরও মাথা ব্যাথা কমে না। আবারও গত ১২ তারিখ কুষ্টিয়া মেডিকেলে গেলাম, মাথার জন্য ডাক্তার দেখাতে। আমাী বর্তমানে মূলত যে সমস্যা গুলো হয় তা হলো:-
১. মাথার মধ্যে ব্যাথায় কম, কিন্তু সব সময় মাথার মধ্যে এলোমেলো লাগে। কেমন অনুভূতি হয়, আমি নিজেও বুঝতে পারি না।
২. কোন কাজে মনোযোগ থাকে না।
৩. টেবিলে পড়তে বসলে ২০/৩০ মিনিট পরলেই আর ভালো লাগে না। তখন টেবিল থেকে উঠে পরি।
৪. শরীরের মধ্যে সব সময় যেন একটা ক্লান্তি কাজ করে।
৫. বেশির ভাগ সময়, কোন কারণ ছাড়াই শুয়ে থাকি।
৬. নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সব সময় টেনশনে থাকি।
মূলত এসব কারণে আমার শরীর আরও বেশি খারাপ হয়। শারীরিক অসুস্থতা বেশি হওয়ায় আবারও ভাবলাম, একটু ডাক্তার দেখায়ে আসি। এই উদ্দেশ্যে সকাল ৯ টার দিকে রেডি হয়ে বের হলাম মেডিকেলে যাওয়ার জন্য। গত কয়েক মাস আগেই নতুন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল চালু হয়েছে। বহির্বিভাগে রোগী দেখা শুরু হয়েছে। একটা অটোতে করে আমি চলপ গেলাম, মেডিকেলে।
গিয়ে আগে লাইনে দাড়িয়ে একটি ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে নিলাম। এরপর আমাকে একটা রুম নাম্বার দিলো, সেই রুমের ডাক্তারকে দেখাতে হবে। আমি টিকিটটা নিয়ে চলে গেলাম। ডাক্তারের কাছে, দেখি আমার আগে আরও ৩ জন লাইনে দাড়িয়ে আছে। মানে তিন জনের পর আমাকে ডাক্তার দেখাতে হবে। যাই হোক, অনেক ক্ষণ দাড়িয়ে থেকে আমি ভিতরে গেলাম। এরপর আমার সকল সমস্যা খুলে বললাম। তারপর, ডাক্তার আমাকে কিছু ঔষুধ লিখে দিলো, এবং আমাকে একটা প্রসাব পরিক্ষা করতে দিলো। আমি রিপোর্ট করার জন্য মেডিকেল থেকে কিছুটা দূরে, একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে আমার পরিক্ষা করতে দিলাম।
রিপোর্ট নেওয়ার জন্য আমাকে সেখানে বসে প্রায় দেড় ঘন্টা মতো অপেক্ষা করতে হলো। যাই হোক, অনেক অপেক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে আবারও মেডিকেলে চলে গেলাম, রিপোর্ট ডাক্তার দেখানোর জন্য। রিপোর্ট দেখার পর জানতে পারলাম আমার প্রসাবে সামান্য ইনফেকশন ধরা পরেছে। ডাক্তার বললেন চিন্তার কিছু নাই, পানি বেশি বেশি খান আর ঔষুধ গুলো খান সব ঠিক হয়ে যাবে। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আমি একটা ফার্মেসীতে চলে আসি ঔষুধ কেনার জন্য। আমি সাত দিনের ঔষুধ কিনে নিয়ে আমার রুমে চলে আসি।
সত্যি কথা বলতে, এই ডাক্তার খানায় যেতে যেত আমার আর মন চায় না ডাক্তার দেখাতে। তবুও যেহেতু নিজে অসুস্থ এজন্য যাওয়াই লাগে। প্রতিদিন তো এমন অবস্থা খাবারের থেকে ঔষুধ বেশি খাওয়া লাগে। আশা করি আল্লাহ তায়ালা আমাকে খুব তারাতারি সুস্থ করে দিবেন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন,। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাইগ্রেন ুর সমস্যা মানুষকে অনেক ভোগায়।আমার ছেলেও এই সমস্যায় ভোগে ।ওর সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় রোদে বের হলে।
অদুখ হলে না চাইলেও ডাক্তার এর কাছে যেতেই হবে।দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই দোয়া করি ।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।