বুয়েট ক্যাম্পাসে কাটানো কিছু সময়।(Spending some time on the BUET campus.)..
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
জীবনে নিদিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে কত জায়গাতেই না যেতে হয়। ছুটতে হয় কত পথ। গুনতে হয় সময়ের পোহর। পরতে হয় ব্যর্থতায়। হতাশায় ডুবে থেকে, হোঁচট খেয়ে পরে গিয়ে আবারও উঠে দাড়াতে হয়। কারণ লক্ষ্য একটাই নিজের গন্তব্যে পৌছতে হবে। জীবনে একটা স্থির ঠিকানা দিতে হবে। পরিবারের পাশে দাড়াতে হবে। প্রতিবেশীদের মুখের জবাব গুলো দিতে হবে। নিজের শখ, আশা ভালো লাগাগুল পূরণ করতে হবে। হ্যা এটাই একজন বেজার যুবকের বুকের জমে থাকা কষ্ট। যে কিনা প্রতিটা সেকেন্ডের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। একটু নিজের পরিচিতি তৈরি করার জন্য। সেই বেকার যুবকদের তালিকায় আমিও একজন। যে কিনা হতাশা নিয়ে সব সময় বেঁচে আছি। চেষ্টটা করে যাচ্ছি নিজের জীবনের হতাশাগুলো কাটিয়ে তুলতে। যানি না সৃষ্টিকর্তা কবে এর পরিত্রাণ ঘটায়।
গত ২০ তারিখ শুক্রবার, গিয়েছিলাম বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইন্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে একটা চাকরির পরিক্ষা দিতে। মানে চাকরির পরিক্ষার সিট পরেছিল বুয়েট ক্যাম্পাসে। আমি এর আগে কখনও বুয়েট ক্যাম্পাসে যায় নাই। সেদিনই প্রথমবার গেলাম। চাকরি যুদ্ধে নেমে আসলে বুঝতে পারলাম জীবনটা এতো সহজ নয়। চাকরি পাওয়াটাও সহজ নয়। পড়াশুনা করে সবার মাঝে লরে টিকে থাকতে হয়। আবার শুধু পড়াশুনা দিয়েও সফলতা আসে না, তাকদির বা ভাগ্যের বিষয়টাও এখানে জরিত। এটা আমাদেরকে বিশ্বাস করতেই হবে। আমি যে পোষ্টে আবেদন করেছিলাম সেটা হলো সাব-এসিস্ট্যান্ট ইন্জিনিয়ার পোষ্ট। এখানে শূন্য পদ ছিল ২০ টা। কিন্তু আমরা পরিক্ষা দিয়েছি ৩/৪ হাজার ছাত্র।
শুধু আমি যে বিল্ডিং এ পরিক্ষা দিয়েছি সেখানেই প্রায় ১ হাজার ছাত্র পরিক্ষা দিয়েছে। ১২ তলা বিল্ডিং এর পূরোটায় ছাত্র দ্বারা ভর্তি। এতো মানুষের মাঝে পরিক্ষা দিয়ে ২০ জনের মধ্যে আসতে পারলেই তবে চাকরি হবে। আমি মনে করি এটা ভাগ্য ছাড়া আর কিছু না। আমার পরিক্ষা তেমন একটা ভালো হয় নাই। সত্যি বলতে আমি এখনও জবের পড়াশুনা শুরু করি নাই, শুধু আবেদন করি আর পরিক্ষা দেয়। প্রশ্নের ধরন বুঝতেছি এবং নিজের ভিতরের সাহসটা বাড়ানোর চেষ্টটা করতেছি। একা পথ চলা শিখতেছি। জীবনের কত পথ চলা এখনও বাকি।
পরিক্ষা ছিল মাত্র এক ঘন্টা। পরিক্ষা শেষ করে আমি বাইরে চলে আসি। বুয়েট ক্যাম্পাসটা বিশাল এরিয়া নিয়ে। পুরোটা ঘুরে দেখতে হলে একটা রিকসা ভাড়া করতে হবে।পায়ে হেটে ঘুরে দেখা আমার পক্ষে সম্ভব না৷ ক্যাম্পাসটা বেশ সুন্দর এবং পরিষ্কার। আলাদা আলাদা বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা বিল্ডিং রয়েছে। সেখানে তাদের ক্লাস সহ যাবতীয় কার্যবলি সম্পূর্ণ হয়।
রাস্তার দুই ধার দিয়ে বড় বড় গাছ রয়েছে। দেখতে অনেক ভালে লাগতেছে। উপরের দিকে তাকালে গাছের ডালে যেন আকাশ ঢেকে গিয়েছে। আশে পাশের মাঠগুলোতে সবাই খেলাধুলা করতে ব্যস্ত। কিছু দূর যেতেই কিছু স্থাপত্য চোখে পরল। সুন্দর সুন্দর ভাস্কর্য তৈরি করে রেখেছে রাস্তার চত্বরে। আমি আরও বেশ কিছুটা দূর হেটে এসে একটা রিকসা নিয়ে স্টেশনে আসার জন্য চলে আসি।
প্রথম বার বুয়েট ক্যাম্পাসে ঘুরে বেশ ভালোই লাগল। হয়ত আবারও কোন দিন পরিক্ষা দিতে যাওয়া লাগতে পারে। এখানে পড়ার স্বপ্ন বাংলাদেশের বেশির ভাগ ছাত্রেরই। কিন্তু কয়জন আর এখানে পড়ার সুযোগ পায়। সবই বিধাতার হাতে লেখা। যাই হোক। বুয়েট ক্যাম্পাসের সময়টা বেশ ভালোই কেটেছিল, যদিও পরিক্ষা ভালো হয়েছিল না। অনেকের সাথে দেখা হলো কথা হলো, বেশ ভালো লাগল।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আমার আজকের পোষ্টটা এখানেই শেষ। আবারও দেখা হবে নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.