গমের ক্ষীর তৈরি(Making wheat porridge)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
মানুষ হিসেবে আমাদের খাওয়া দাওয়ার মেনুতে যেন আলাদা ধরনের ভাব থাকে। সবাই যেন, বাহারি না নানা ধরনের খাবার খেতে ব্যস্ত। সবাই চায় মন মতো সব সময় নতুন নতুন আইটেমের খাবার খেতে। কেউ বাসায় তৈরি করে কেউবা হোটেল রেস্টুরেন্টে গিয়ে টাকা দিয়ে কিনে খায়৷ কিন্তু আপনারা কি কখনও খেয়াল করেছেন, আমাদের অতীতে আমাদের দাদা-দাদীরা কি ধরনের খাবার খেতেন। তারা কিভাবে জীবন যাপন করতেন। হয়ত আমরা আধুনিকতার ছোঁওয়া লাগতেই সব ভুলে গেছি। এখনকার প্রজন্ম তো অতীতকে কল্পনাতেও আনতে পারে না আবার অনেকে চায় না।
আজকে সেই অতীতের একটা খাবার সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাব এবং তার রান্নার পদ্ধতিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আপনাদের মধ্যেও অনেকে এই খাবারটা খেয়ে থাকতে পারেন। খাবারটা গম দিয়ে তৈরি করা হয়। গমের তৈরি আমরা অনেক খাবারই খেয়ে থাকি যেমন,, গমের আটা, গমের ছাতু, গমের তৈরি হরলিকস্ সহ আরও অনেক কিছু। বেশন তৈরির কাজেও গম ব্যবহার হয়।
আজকে আমি আপনাদেরকে গমের তৈরি ক্ষীর কিভাবে রান্না করতে হয় সেটা দেখা। এই খাবারটা আমি আমার দাদীকে রান্না করতে দেখতাম, ছোট বেলাতে,। ছোট বেলাতে খেয়ে থাকলেও বড় হয়ে তেমন খাওয়া হয় না। কিছু দিন আগে বাড়িতে গম দেখতেই মাকে বললাম ক্ষীর তৈরি করার কথা। এটা আমার কাছে খেতে অনেক ভালে লাগে। অনেক পুষ্টি গুন সম্পূর্ণও বটে। নিচে আমি ক্ষীর তৈরির সকল ধাপগুলো দেখানের চেষ্টটা করলাম।
ক্র.নং. | উপকরণ- |
---|---|
১. | গম |
২. | দুধ |
৩. | চিনি ( প্রয়োজন হলে). |
৪. | লবণ |
প্রথম ধাপ:-
প্রথমে বাজার থেকে গম পরিমাণ মতো কিনে আনতে হবে, আর যদি বাড়ীতে থাকে, তাহলে সেটা দিয়েই রান্না করতে হবে৷ গমগুলে একটু রোদে কিছু সময় রেখে দিতে হবে, যাতে ভিতরে কোন পোকা থাকলে তা বের হয়ে যায়।
দ্বিতীয় ধাপ:-
এবার আধা কেজি মতো দুধ নিয়ে সেটা হালকা গরম করে রেখপ দিতে হবে। আপনারা চাইলে প্যাকেটের দুধও ব্যবহার করতে পারেন।
তৃতীয় ধাপ :-
এবার গম ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে, তারপর একটা পাতিলে দিয়ে দিতে হবে এবং পরিমাণ মতো পানি দিতে হবে। যাতে সিদ্ধ হয়, এরপর পরিমাণ মতো লবণ ও চিনি দিয়ে একটা চুলাতে বসিয়ে জ্বাল দিতে হবে৷ যত সময় পর্যন্ত গম সিদ্ধ ভালো ভাবে না হয়, তত সময় পর্যন্ত জ্বাল দিতে হবে।
চতুর্থ ধাপ :-
গম সিদ্ধ হয়ে গেলে এবং ক্ষীরের পানির পরিমাণটা কমে গেলে গরম করে রাখা দুধ ঢেলে দিতে হবে। তারপর একটু ভালো ভাবে নেড়ে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল গমের তৈরি ক্ষীর। এটা অনেকে মিষ্টি বাদেও রান্না করে, পরবর্তীতে খাওয়ার সময় সাথে মিষ্টি জাতীয় কিছু মিশিয়ে খায়৷ এবার প্লেটে ঢেলে কিছু সময় রেখে দিলে ঠান্ডা হয়ে যাবে এবং একটু জমাট বাধা মতো হয়ে যাবে, যার ফলে খেতে অনেক ভালো লাগবে।
খেতে অনেকটা মোটা চাউলের ভাতের মতো লাগে। তবে মিষ্টি আর দুধ দেওয়ার কারণে আরও একটু ভিন্ন লাগে। আপনারা চাইলে আরও কিছু উপকরণ যুক্ত করেও রান্না করতে পারেন। আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গম দিয়ে যে ক্ষীর রান্না করা হয় আমি এটা প্রথমবার আপনার লেখার মাদ্ধমে জানতে পারলাম। আসলে আমাদের দেশের একেক অঞ্চলে একেক রকমের রান্না হয়ে থাকে আবার অনেক প্রাচীন রান্না প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।
আপনার এই গমের ক্ষীর রান্নায় খুব কম উপকরণ লাগে যার কারণে সবাই রান্না করে এর স্বাদ নিতে পারবে। খেতে কেমন হবে আমার ধারণা নেই তবে দেখে অনেকটা ওটস এর মতো লাগতেছে। চমৎকার এই রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
একদিন বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখবেন, আশা করি ভালো লাগবে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ৷