Incredible India monthly contest of March1 by @tanay123 | Family.

in Incredible India7 days ago


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।



কখনও কি পরিবারকে বাদ রেখে নিজের অস্তিত্ব কল্পনা করেছেন। আসলেই কি কোনো মাধ্যম ছাড়া আপনে আপনার বাস্তব জীবন বা নিজের এই পৃথিবীতে কোনো চিহ্ন দেখতে পান৷ বা ধরুন আপনার যে পরিবার তৈরি হয়েছে তা কি একবারেই সবাই এক সাথে এসেছে না ধাপে ধাপে কোনো মাধ্যমে এসেছে। আসলে শিরোনাম ছাড়াই পোষ্ট লিখা শুরু করেছি৷ পোষ্টের শুরু লাইন গুলো পরে হয়ত বুঝতে পেরেছেন আজকে কোন বিষয়ে কথা বলতে চলেছি। হ্যা! ঠিকই বুঝেছেন আমি আজকে @tanay123 ভাইয়ের কতৃক আয়োজিত পরিবার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চলেছি৷ আমি ভাইকে অন্তর থেকে ভালোবাসা ও ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। চলুন তাহলে মূল পোষ্টে যাওয়া যাক।


1000008490.jpg

Cover image.
ছবির উৎস


1000008476.png

আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য আমার কয়েকজন বন্ধু @steem-for-future,,,@simaroy,,,@ashik333,,, @piya3 দেরকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
অংশগ্রহণের লিংক


1000008476.png

একজন মানুষ যখন একা বসবাস করে তখন, সে জানতে পারে না পরিবার, কি জিনিস৷ কিভাবে একটা পরিবার তৈরি হয়, পরিবারের মূল বন্ধনটা কোথায়। কিসের মাধ্যমে পরিবারের মূল বন্ধন তৈরি হয়৷ বুঝতে পারে না, আত্নার সম্পর্ক কিভাবে হয়। কিভাবে মানুষ মানুষের পাশে দাড়াতে শিখে। মূল কথা হলো যে পরিবারে বসবাস করে না, সে জীবনের আসল মানেটায় বুঝতে পারে না৷ জীবনের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ভালো লাগা, ভালোবাসাগুলো কিভাবে শেয়ার করবে তাও বুঝতে পারে না। আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা পরিবার নিয়ে সম্পূর্ণ বিষয় জানার চেষ্টটা করব।

1000008349.png

What is your perspective on the word Family? Is it just a word or is it more than that?

1000008349.png

1000008491.jpg

ছবির উৎস

আসলে পরিবার শব্দটি সম্পর্কে বলতে গেলে সুবিশাল আলেচনার প্রয়োজন। পরিবার মানে কিছু মানুষের সাথে বসবাস, সম্পর্ক, বন্ধন, আত্নার, রক্তের মিল ইত্যাদি৷ যেখানে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সম্পর্কের সিঁড়ি। যে সিঁড়ি বয়ে চলতে থাকে পরিবার নামক সম্পর্কটা। আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে যে সম্পর্কের ধারা চলে আসতেছে। পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত এই ধারা চলতে থাকবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।সৃষ্টিকর্তার বেধে দেওয়া বিধান। পরিবার ছাড়া কেউ কখনও নিজের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারবে না। আসলে পরিবার বলতে গেলে বুঝতে হবে, ছেলে মেয়েদের মাঝে সম্পর্কটা আসলে কি। পরিবার ইচ্ছা করলেই গঠন করা যায় না। এর জন্য প্রয়োজন নির্ধারিত নিয়মের মধ্যে আসা। বা একই জাতীয় জিনিস দিয়ে পরিবার গঠন করাও যাবে না। যেমন, শুধু পশু পাখি দিয়ে পরিবার হয় না, শুধু মেয়েদের দিয়ে পরিবার হয় না, শুধু ছেলেদের বা প্রকৃতি দিয়েও পরিবার গঠন করা যায় না। পরিবার হতে হলে এসকল কিছু মিশ্রণ দরকার। যেখানে থাকবে, ছেলে মেয়ে, পশু পাখি প্রকৃতি।


পরিবার হতে হলে একজন ছেলে ও মেয়ের মাঝে সম্পর্ক হতে হবে। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে৷ হতে হবে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক। যেখান থেকে ধীরে ধীরে সূচনা হবে পরিবার নাম শব্দের। জন্ম নিতে থাকবে পরিবারের নতুন সদস্যরা। যে ধারা বয়ে আনছে পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে। এজন্য পরিবার হলো একটা সম্পর্কের বন্ধর। যেখানে ভালোবাসা দিয়ে সব আগলে রাখাা হয়। একে অপরের প্রতি ভালে লাগা মিল মহব্বত তৈরি হয়। আসলে এগুলো একটা পরিবার ছাড়া সম্ভব না, আর যারা পরিবারে থাকে না, তা এ সম্পর্কে বুঝতে ও জানতে এবং অনুভব করতেও পারবে নাহ।


1000007354.png

এবার আসুন পরবর্তী বিষয় জানি। পরিবার আসলে শুধু একটা শব্দ নয়। এটার মাঝেই লুকিয়ে আছে সৃষ্টির আসল রহস্য। যা হয়ত আমার উপরের লেখাগুলো পরে আপনারা বুঝতে পেরেছেন৷ পরিবার হলো কতগুলো মানুষের ধারাবাহিক মিলের, ভালেবাসার সীমারেখা। সিঁড়ি পথ, যা দিয়ে চলতে হবে সৃষ্টির শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। এজন্য এটাকে একটা শব্দের মাঝে সীমাবদ্ধ করে রাখা আমাদের বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। পরিবারের আসল গুরুত্ব আমাদেরকে বুঝতে হবে। বুঝতে হবে এর মহত্ত্ব। কেন মহান সৃষ্টিকর্তা এটা সৃষ্টি করলেন, কেন এর আর্বিভাব তাও উপলব্ধি করতে হবে।


পরিবার যে শুধু জন্ম সূত্রে হয় তা কিন্তু নয়। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও অনেক সময় পরিবারের মতো ভালো থাকা যায়। যেমন কাজের সুত্রে বা, মনের মিলে অনেক সময় আমরা একে অপরকে চিনে থাকি মিল মহব্বত তৈরি হয়ে থাকে। ধরতে গেলেও সেটাও একটা পরিবারের মতো। যা কিছু মনের মিলের মাধ্যমে তৈরি হয়। এজন্য পরিবার শব্দের মূল কথা আমাদেরকে জানতে, বুঝতে ও মানতে হবে।

1000008349.png

How can one fulfill one's responsibilities towards one's family?

1000008349.png

1000008492.jpg

ছবির উৎস

দায়িত্ব পালনের আগে আমাদেরকে বুঝতে হবে দায়িত্ব জিনিসটা কি৷ এটা আসলে কিভাবে তৈরি হয়। আর পালনের নিয়মটায় আসলে কি। এসব কিছু বুঝতে পারলেই দায়িত্ব নেওয়াটা আর পালনের বিষয়টা আমাদের কাছে স্পৃষ্ট হয়ে যাবে।

  • দায়িত্ব হলো, কোনে কিছুর দায় ভার গ্রহণ করা। যেই কাজটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেটা নিয়ে ভাবতে হবে, পরিকল্পনা করতে হবে এবং তাকে সামনে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। দায়িত্ব আমাদেরকে নিয়মের মধ্যে থাকতে বাধ্য করে। এটাকে অবহেলা করার কোনে সুযোগ নাই। একজন মানুষ যখন, অন্য মানুষের দায়িত্ব নিয়ে থাকেন, এর মানে তার সুখ দুঃখে সে তার পাশে থাকবে। তার যে কেনো সমস্যায় সে এগিয়ে যাবে। সেটা রক্তের সম্পর্ক থাক বা না থাক। আত্নার সম্পর্ক থাকলেই সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব৷

1000008349.png

Share stories some of the beautiful moments spent with them!

1000008349.png

আমার ছোট বেলা থেকে এখন পর্যন্ত পরিবারের সাথে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। আসলে জীবনের পুরো সময়ই একটা গল্পের মতো। যেটার শিরোনাম "পরিবার"। জীবনের সকল কথায় যার পৃষ্ঠার লেখা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যায়। তবুও বিশেষ কিছু স্মৃতিময় মুহূর্ত আপনাদের মাঝে তুলে ধরতেছি।

1000008493.webp

ছবির উৎস

একেবারে ছোটবেলাতে চলে যায়। যখন আমার বয়স মাত্র ৪/৫ বছর৷ আমার দাদা ও দাদি তখন বেঁচে ছিল। আমি ছোট বেলায় নানা-নানীকে কখনও দেখি নাই। তারা আমার জন্মের আগেই মারা গিয়েছিল। জন্মের পর দাদা-দাদীকে পেয়েছিল। তাদের আদর ভালোবাসায় বড় হয়েছি। ছোট বেলায় রাতের বেলায়, জোসনা রাতে বাড়ীর উঠানে শুয়ে আমার দাদা গল্প বলত, আমরা ভাই বোনেরা মিলে বসে শুনতাম। সেই দিনগুলো আজ হারিয়ে গেছে। আজ আমার দাদা-দাদীও হারিয়ে গেছে গল্প মুহূর্ত গুলোও হারিয়ে গেছে।😞😞 মনে পরে সেই দিনগুলো। যদিও এখনকার শিশুরা এই মুহুর্ত গুলো বুঝতে পারবে না৷ এর আনন্দ কতটা সেটাও বুঝতে পারবে না। কারণ তারা জন্মের পর থেকেই নেট দুনিয়ায় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করে।

এবার আসি অন্য আরেকটা মুহূর্ত নিয়ে। আমার দাদা আমাকে অনেক বেশি ভালো বাসত। যখন তিনি খাবার থেতেন। খাওয়া শেষে প্লেটে কিছুটা খাবার রেখে দিতেন।আমার জন্য। যেটা আমি খেতাম৷ এটা শুধু একটা দিনের ঘটনা ছিল না, প্রতিনিয়ত তিনি খাওয়ার সময় এটা করতে। আমি বাড়ী থাকলেই সেই খাবার খেতাম৷ আজকে আমি আমার দাদাকে খুব মিস করি। দোয়া করি আল্লাহ তাকে মাফ করে দিয়ে যেন জান্নাত দান করেন (আমিন). আসলে পৃথিবীতে দাদা-দাদীর মতো হয় ভালোবাসতে কেউ পারে নাহ।

1000008349.png

1000008494.jpg

ছবির উৎস

এবার আসি বাবা-মায়ের সম্পর্কের কিছু গল্পে। ছোট বেলা থেকেই আমার আব্বু আমাকে না খাওয়ায়ে কিছু খেতেন না। কাজ থেকে বাড়ী ফিরে, আমি ঘুমিয়ে গেলেও তিনি ডেকে তুলে আমাকে খাওয়াতেন৷ না খেতে চাইলেও সে জোর করে খাওয়াতেন। এখন যে বড় হয়ে গেছি তাও যখন মেস থেকে বাড়ী আসি তখনও না খাওয়ায়ে থামেন না। যখন বাইরে থাকি পিতার এই মুহূর্ত গুলো অনেক মিস করি৷ আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি তিনি, আমার পিতাকে আরও শত বছর বাঁচিয়ে রাখুন।

1000008349.png

1000008495.jpg

ছবির উৎস

সন্তানের প্রতি মায়ের ভালেবাসাটা সবয়েচে বেশি বলা হয়। মা সন্তানকে নিয়ে বেশি চিন্তা করেন।ভালোবাসেন, কষ্ট ও ত্যাগ শিকার করেন৷ ছোট বেলায় যখন আমি রাতে পড়াশুনা করতাম, তখন আমি যাতে ঘুমিয়ে না যায়, এজন্য আমার মা আমার পাশে বসে থাকতেন রাতের অর্ধেক পর্যন্ত সময়। যাতে আমি ঘুমিয়ে না পরি। আমি অসুস্থ হলে সবয়েচে বেশি ব্যস্ত হয়ে পরতেন। এখন যেদিন শুনবে আমি বাড়ী আসব, রাস্তায় গিয়ে আমার জন্য দাড়িয়ে থাকেন। গতকালকের ঘটনা বলি। আমার ঢাকা থেকে বাড়ীর আসার কথা। সন্ধার কিছুটা সময় পর আমি যখন গাড়ী থেকে বাড়ীর রাস্তার সামনে নামছিলাম তখন খেয়াাল করে দেখি আমার মা রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আসে। জিগাস করতেই বলে উঠল, আমার আসার কথা শুনে দাড়িয়ে আছে। মা ছাড়া এটা কেউ করে নাহ।

1000008349.png

1000008496.jpg

ছবির উৎস

এবার চলুন ভাই, বোনের খুনশুটির গল্প শোনা যাক। যদিও আমার বোন আমার থেকে বড়, কিন্তু তার বিয়ের সকল দায়িত্ব আমি পালন করেছি। বিয়ের সকল কাজ আমি করেছি। এজন্য মাঝে মাঝে আপুকে আমি শাসনও করি। যদিও বড় আপু, সেও মাঝে মাঝে আমাকে রাগ করে শাসন করে। যার মর্ম ভাই আর বোন ছাড়া কেউ বুঝতে পারবে নাহ।

এরকম হাজারও গল্প আমাদের পরিবারে রয়েছে। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলেও শেষ হবে নাহ। কিছু গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লেগেছে। পরিবার নিয়ে আশা করি আপনাদের ধারণাটা ক্লিয়ার হয়েছে আমার পোষ্ট পরে।আমি চেষ্টটা করেছি পরিবার সম্পর্কে খুব ভালো ভাবে আপনাদেরকে বোঝানোর জন্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।

1000008476.png

1000007009.png

1000007010.gif

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য।

1000008349.png