দুঃখের পরেই সুখ আসে। ( হতে পারে সেটা ক্ষুদ্র). (Happiness comes after sorrow (maybe it's small).)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
আমাদের জীবনের ছোট ছোট অনেক প্রাপ্তি আছে, যেগুলো আমরা সারা জীবন স্বরণে রাখি। হয়ত, আমাদের সেই ছোট পথ চলা দিয়েই শুরু হয় আমাদের জীবনের লক্ষ্য পূরণের যাত্রা শুরু।
আপনারা হয়ত, ভাবতে পারেন আজক হঠাৎ জীবন নিয়ে কেন বলতে আসলাম। মূলত আজকে আমার জীবনের কিছু প্রাপ্তি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। এই ছোট জীবনে হতাশা, দুঃখ, কষ্ট না পওয়ার বেদনার মাঝেও অনেক প্রাপ্তি আমাদের জীবনে থেকে থাকে।
পথ চলার পথে হোঁচট খেতে খেতে যখন আপনে ক্লান্ত হয়ে যাবেন, তখন যদি আপনার সামনে জীবনের সবচেয়ে ছোট সফলতাটাও আসে তবুও দেখবেন আপনে মন খুলে হাসতে পারতেছেন।
হতয় সেই ছোট প্রাপ্তির ক্ষুদ্র হাসির মাধ্যমেই জীবনের বড় সফলতার দিকে আমরা অগ্রগামী হই। কথায় বলে "দুঃখের পরেই সুখ আসে". এটার বাস্তবতাটা আপনে তখন উপলব্ধি করতে পারবপন, যখন জীবনে পদে পদে বাধা পেয়ে কোন সফলতা পাবেন।
আপনারা যারা আমার বিগত পোষ্ট গুলো পরে থাকবেন, তারা যানেন, আমি আমার জীবন নিয়ে নানা সমস্যায় আছি। বিশেষ করে নিজের ক্যারিয়ার ও অসুস্থতা নিয়ে। গত ২ বছরের বেশি সময় ধরে জীবনে যেন সব ঘটনাই একটু ব্যতিক্রম ভাবে ঘটে যাচ্ছে।
নিজের চাওয়া পাওয়া আর ভালো লাগার বিষয়গুলোকেই যেন বার বার বালি চাপা দিতে হচ্ছিল। গত বছর ডিসেম্বর মাসে যখন এডমিশনে চান্স পেলাম না, দুঃখটা সবচেয়ে বেশি তখনই পেয়েছিলাম।
হতাশায় এমব ভাবে চেপে বসেছিল তারপর থেকে আজ পর্যন্ত যেন সেই না পাওয়ার কষ্ট ধুকে ধুকে মারছে। শত চেষ্টটা করেও যেন নিজেকে আবারও সবার সামনে তুলে ধরতে পারতেছি না। তবুও নিজেকে জোর করে হলেও চেষ্টটা করে যাচ্ছিলাম কিভাবে একটু নিজেকে কোন জায়গায় দার করানো যায়। যাতে সামনেই দিকে এগোতে পারি।
চাকরির দিকেও মন যাচ্ছিল না। আসলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার স্বপ্নটা অনেক ছোট বেলা থেকে ছিল, সেটা যখন পেলাম না তখন আর কিছুই ভালো লাগত না। অনেক চেষ্টটা করেও পড়াশুনায় মন বসাতে পারতাম না। আত্নীয় স্বজনরা কত বোঝায়, তবুও যেন নিজে বুঝি না।
দীর্ঘ ৬ মাস মতো বাসায় কাটালাম। সবাই বলতে লাগল এভাবে আর কত দিন চলবি, হয় পড়াশুনা কর, না হয় চাকরি কর। কিন্তু আমি কিছুতেই মন স্থির করতে পারি না। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম একটা চাকরি করার পাশা পাশি পড়াশুনাটা চালাব। দেখি রিজিকে কি আছে।
এই ভাবনা থেকে কয়েকটা বেসরকারি চাকরির আবেদন করছিলাম। বিডি জব অ্যাপের মাধ্যমে। ভাবি নাই যে আল্লাহ তায়ালা এতো তারাতারি কিছু একটা মিলায়ে দিবে। খুব বড় কিছু শুরুতে পাবো এমন আসা ছিল না। কিন্তু ছোট হলেও এতো তারাতারি মিলে যাবে কল্পনাও করি নাই৷
কয়েক দিন আগেই আপনাদের সাথে আমি আমার একটা বেসরকারি চাকরির পরিক্ষা এবং ভাইবা সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম। "আলহামদুলিল্লাহ" জীবনের দেওয়া প্রথম চাকরির ভাইবাতেই আমি টিকে গিয়েছিল।
এটা ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি। চাকরি যায় হোক জীবনের প্রথম পাওয়া, তার উপর প্রথম আবেদন করা চাকরি টায় পেলাম। এটা যে কত আড় আনন্দের তা আপনাদের বলে বোঝাতে পারব না।
চাকরিটা ছোট, বেতন কম হলেও, আমার জীবনের এই হতাশা থেকে মুক্তির এটা ছিল এক মাত্র পথ। হয়ত আল্লাহ তায়ালার পরিকল্পনাটা এমনই ছিল। পরিক্ষা দিয়েছিলাম ১৮ জুন, সেই দিন বিকালে আমাকে কল দিয়ে বিষয়টা জানাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আমি দুই দিন পর তাদেরকে শিওর জানাই আমি চাকরিটা করব নাকি। তারপর তারা আমাকে ইমেইলে জয়েনিং চেটার পাঠায়। তারা জানতে চায় আমি কবে জয়েন করতে পারব, আমি জানায় ০১/০৭/২০২৫ তারিখে জয়েন করব।
আপাতত এভাবেই সব ঠিক হয়ে আছে। আল্লাহ তায়ালা সব কিছু ঠিক ঠাক রাখলে আমি আগামি কালকে জয়েন করতে যাচ্ছি আমার নতুন চাকরিতে। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted on from the steemcurator07 account.
thank you