Cover photo.

দিনের শুরুটা হয়েছিল রাত ৩ টার দিকে। আরবিতে এখন জিলহজ্জ মাস চলতেছে। ইসলামের বিধানে এই মাসের অনেক ফজিলত রয়েছে যা প্রতিটা মুসলিমের জন্য পালন করা উত্তম৷ এই মাসের প্রথম দশ দিন রোজা পালন, তাসবিহ পড়া বেশি বেশি দোয়া করা, আল্লাহ তায়ার ইবাদত করা সহ আরও অসংখ্য ইবাদত পালনের কথা বলা হয়েছে। যার ফলে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে অনেক সোয়াব ও নেয়ামত দান করবেন। আজকে জিলহজ্জ মাসের ২ তারিখ৷ আমি গত কাল থেকেই নিয়ত করে রোজা রাখা শুরু করেছি। এজন্য রাত ৩ টার সময় সাহরী খাওয়ার জন্য উঠেছিলাম। এলাম বাজতেই উঠে পরি। তারপর সোজা চলে যায় ওয়াশরুমে। ফ্রেশ হয়ে দাঁত ব্রাশ করে হাতমুখ ধুয়ে চলে আসি রুমে। এরপর আম্মুকে ডেকে খাবার ঘরে চলে যায়। গিয়ে আমার সাহরীর জন্য মা আলাদা করে খাবার রেখে দিয়েছিল সেটা খাওয়া শুরু করলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি রুমে চলে এসে পরিমাণ মতো পানি খেয়ে নিলাম। কারণ, সারা দিন আর কিছুই খেতে পারব না এজন্য।

এবার আবারও বাইরে গিয়ে ওজু করে আসলাম। ওজু শেষ করে রুমে এসে দু’রাকাআত সালাত আদায় করলাম। এরপর ফজরের আজান দিলে আমি মসজিদে চলে গেলাম ফজরের সালাত আদায় করতে। সালাত শেষ করে বাড়ী এসে আমি ঘুমালাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি ৯ টা বেজে গেছি। আজকে আবার আমার কুমারখালি আমার বন্ধু নাভিদের দোকানে যেতে হবে। আমার কিছু অনলাইনে কাজ করতে হবে এজন্য। ফ্রেশ হয়ে নাভিদকে কল দিয়ে জানালাম আমি আসতেছি, বাইরে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল৷ রেডি হয়ে ছাতা আর সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পরলাম। তেমন জোরে বৃষ্টি না হওয়ায় ছাতা ছাড়াই খুব তারাতারি সাইকেল চালিয়ে বন্ধুর দোকানে চলে গেলাম। সেখানে আমার আরও দুই বন্ধু তুহিন ও ইকরা এসেছিল। মূলত চাকরির আবেদনের জন্য একটা জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করার ছিল। কাজ করতে করতে অনেক গল্প আর আড্ডা দেওয়া হলো। গত ছয় মাস আগে এভাবে সবার সাথে আড্ডা দিয়েছিলাম। তারপর আর সুযোগ হয় নাই এভাবে সময় কাটানোর। কাজের বাহানায় হলেও অনেক দিন পর আবার সুযোগ হয়েছে।

আমার কাজগুলো শেষ করতে করতে ১১:৩০ বেজে গেল। আজকে জুম্মাবার এজন্য তারাতারি বাড়ী গিয়ে জুমা’র নামাজ আদায় করতে যেতে হবে। বাড়ী এসে আগে একটু ফ্রেশ হলাম। তারপর গোসল করতে চলে গেলাম। এদিকে আজান দিয়ে দিয়েছিল। গোসল শেষ করে এসে পান্জাবি পরে রেডি হলাম নামাজে যাওয়ার জন্য। আসলে মুলমানদের জন্য জুম্মার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। আমাদের বাড়ী থেকে কয়েক মিনিট হাটলেই মসজিদ পাওয়া যায়। যদিও গোসল শেষ করে মসজিদে যেতে যেতে কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। জুম্মার দিনের অনেক ফজিলত রয়েছে৷ নামাজ শেষ করে ২ টার দিকে বাড়ী চলে আসলাম।

বাড়ী এসে পান্জাবি খুলে আমার কিছু কাজ করতে বসলাম। কাজটা শেষ করতে করতে আসরের সময় হয়ে গেল। এরপর আমি চলে গেলাম আসরের নামাজ আদায় করতে। নামাজে যাওয়ার সময় হঠাৎ চোখের পরল কচু গাছের দিকে। বৃষ্টির পানি পরে দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছিল। আমি আবার ফোন দিয়ে একটা ছবি তুলে নিলাম।

নামাজ শেষ করে এসে আমি আমার ফোনটা নিয়ে একটা পোষ্ট লেখা শুরু করলাম। পোষ্ট করা শেষ করে ইফতারির জন্য প্রস্তুতি নিলাম। ইফতারি শেষ করে চলে গেলাম মাগরিবের নামাজ আদায় করতে। নামাজ শেষ করে এসে খুব খুদা লাগছি এজন্য আগে খাওয়া দাওয়া করতে বসলাম। রাতে বাড়ীতে খিচুড়ি, আলু ভর্তা আর ডিম ভাজি করেছিল। যেটা আমার অনেক পছন্দের খাবার৷

খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে এসে একটু শুয়েছিলাম। সারা দিন রোজা রেখে খাবার খেলে অনেক ক্লান্ত লাগে। এরপর আমার ভাতিজী পড়তে আসল ওকে পড়ানো শুরু করলাম। আজকের দিনটা এভাবেই কেটে গেল। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে৷