Betterlife With Steem. [ The diary game (11/06/25)]Leaving home again to fulfill life's goals.
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
Cover image.
দিনের শুরুটা কোন দিন অলসতা দিয়ে শুরু হয় আবার কোন দিন কর্ম ব্যস্ততার মাধ্যমে। আমার আজকের দিনটা একটু ভিন্ন ধরনের হতে চলেছে। বার বার আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়তির কাছে হেরে যায়। গত ৩/৪ মাস ধরে অনেক চেষ্টটা করেও ঢাকাতে থাকতে পারি নাই। আবারও সেই বাড়ী চলে আসা লাগছে। আবারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি মেসে গিয়ে পড়াশুনা করার জন্য৷ এজন্য এবার আর ঢাকা নয়, কুষ্টিয়াতে মেস ঠিক করেছি। আজকে মেসে যাওয়ার দিন৷ সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর সকালের খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম।খাওয়া দাওয়া শেষ করে রেডি হলাম কুমারখালি যাওয়ার জন্য। মূলত আমার কিছু ঔষুধ কিনতে হবে এবং আমার চাচাতো বোনকে ডাক্তার দেখাতে হবে। আমরা বাড়ী থেকে একটা ভ্যানে করে চলে যায় কুমারখালি জেনারেল হাসপাতালে। এরপর আপুকে ডাক্তার দেখিয়ে আমি চলে যায় আমার জন্য ঔষুধ কিনতে। মূলত খুব তারাহুরোর মধ্যে ছিলাম এজন্য ছবি তোলা হয় নাই। ঔষুধ কেনার পর আমি চলে যায় আমার আব্বুর সাথে দেখা করতে। সেখানে দেখি একজন লোক তালের শাশ বিক্রি করতেছে। আমি আবার ছবি তুললাম।
এরপর আব্বুর সাথে দেখা করে, আমি আমার মেসের জন্য টেবিল বানায়ছিলাম, সেটা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসতে আসতে দুপুর ১ টা বেজে গেল। বাসায় এসে আগে পোশাক পাল্টে নিলাম। তারপর আমি আমার সকল জিনিসগুলো গুছাতে শুরু করলাম। মেসে যাওয়া মানে একটা পুরো পরিবারকে সাথে টেনে নিয়ে যাওয়া। নিজের সকল প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিতে যেন ভুলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখা।
গুছিয়ে সকল জিনিস বস্তা বন্দি করতে আমার দুপুর ২:৩০ টা বেজে গেল। তারপর আমরা হাতমুখ ধুয়ে দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিলাম। এরপর আমি কিছুটা সময় রেস্ট নিলাম। এরপর ৪ টার দিকে একটা ভ্যান রিজার্ভ করে নিলাম কুষ্টিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে। বাড়ী থেকে সকল জিনিস ভ্যানে তুলে নিয়ে আমি রেডি হয়ে আল্লাহ তায়ালার নামে বেরিয়ে পরলাম।
এরপর আমাদের পথ চলা শুরু হয়। আবারও একই নিয়তে বের হলাম বাড়ী থেকে, যেন একটা ভালো চাকরি বা সফলতা নিয়ে আবারও বাড়ীতে আসতে পারি, জানি না আল্লাহ তায়ালা কতটুকু কবুল করবে। যেতে যেতে রাস্তার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে বেশ ভালো লাগতেছিল। চারিদিকে বড় বড় গাছ আর সবুজে ভরা। অপরূপ এই সৌন্দর্য মিস না করতে আমি আবার ফোনটা বের করে ভিডিও করা শুরু করলাম।
আমাদের কুষ্টিয়া পৌছাতে এক ঘন্টা সময় লেগেছিল। এরপর আমি আমার নতুন মেসে গিয়ে সকল জিনিস গুছিয়ে নিলাম। এরপর সকল বই, টেবিল বিছানা ভালো করে সাজিয়ে রাখলাম।
এরপর হাতমুখ ধুয়ে একটু বাইরে গেলাম। মূলত আমার বন্ধুর বোনের ছেলে অসুস্থ, তাকে ডাক্তার দেখাবে এজন্য ডাক্তারের নামের তালিকা আনতে গিয়েছিলাম। সেগুলো এনে বন্ধুকে পাঠিয়ে দিলাম। তারপর রুমে এসে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। মূলত বাড়ী থেকেই রাতের খাবার নিয়ে এসেছিলাম। আজকের দিনটা এভাবেই ব্যস্ততায় কেটে গেল। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন । আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.