Betterlife With Steem. | The Diary Game. (07/02/2025)|
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
![]()
|
---|
যে যখন থাকে না তখন তার মর্ম কতটা সেটা বোঝা যায়। সময় থাকতে বা ব্যাক্তিটা আমাদের মাঝে যখন থাকে তখন তার করা কাজগুলো আমরা সম্মান করি না। কতটা কষ্ট হতে পারে তার, সেই বিষয়েও হয়ত ধারণা করি না। কিন্তু সেই কাজটায় যখন আমরা করতে যায়, তখন বুঝতে পারি এটা কতটা কষ্টের। আজকের দিনের শুরুটা হয়েছিল একটু ভিন্ন ভাবে। গতকালক ডাক্তারের কাছ থেকে আসতে অনেক রাত হয়েগ গিয়েছিল। যার ফলে রাতে ঘুমাতেও দেরি হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই দেখি প্রচন্ড শরীর ব্যাথা। গতকালকে বেশি হাটাহাটির ফলে এমনটা হয়েছে। কিছু করার নাই ঘুম থেকে উঠতেই হবে। আজকে মা বাসায় নাই। সকালের নাস্তা তৈরি সহ সকল কাজই প্রায় করতে হবে। বিছানা থেকে উঠে নিজে আগে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। মূলত আমার মা আমার মামাতো বোনের বাসায় আজকে অনুষ্ঠান আছে সে কারণে গতকালকে তাদের বাড়ী গিয়েছে। আমিও গিয়েছিলাম কিন্তু চলে আসছিলাম। আজকে আবার যাব।
ফ্রেশ হয়ে আমি আমার নাস্তা তৈরি করে নিলাম। মূলত ময়দা দিয়ে চাপরি বা রুটির মতো কিছু একটা বানিয়ে মিলাম। তেল দিয়ে ভাজি করলাম। এরপর একটা ডিম অমলেট করে নিলাম। এটা দিয়েই সকালের নাস্তা করে নিলাম। আসলে সকালে নাস্তা তৈরি করতে গিয়ে ভাবতেছিলাম, মা কত কষ্ট করে প্রতিদিন আমাদের জন্য খাবার রান্না করেন। তারপও রান্না মাঝে মাঝে স্বাদ না হলে রাগও করে ফেলি। যা মোটেও করা উচিত না। আসলে মেয়েদের কাজগুলো একটু কঠিনই হয়। যদিও মাঝে মধ্যেও আমিও রান্না করি। এটা মূলত মায়ের কাছ থেকেই শেখা।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
নাস্তা শেষ করে গরু ছাগলদের খাবার দিয়ে আমি গোসল করে রেডি হলাম অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য। আমি এবং আমার বড় ভাইয়ের মেয়েকে নিয়ে আমি সকাল ৯ টার দিকে বেরিয়ে পরলাম মামাতো বোনেট বাসায় যাওয়ার জন্য। মূলত আমার ভাগনের সুন্নতে খাৎনা দিয়েছিল। সেই উপলক্ষ্যে আজকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সেখানে আমাদের সবার দাওয়াত ছিল। মা গতকালকেই চলে গেছে। আমি আর আমার মেয়ে আজকে যাচ্ছি।
![]()
|
---|
১০:৩০ টার দিকে আপুদের বাড়ী চলে গেলাম। এরপর সেখানে গিয়ে খাওয়ার টেবিলগুলো ভাইদের সাথে ঠিক করলাম কাপড় দেওয়া, টেবিলের উপর পলিথিন লাগানো এই কাজগুলো করলাম। চেয়ারগুলো ঠিক করে দিলাম। এরপর আমি জুম্মার সালাত আদায় করার জন্য মসজিদে চলে গেলাম।
![]() | ![]() |
---|
নামাজ শেষ করে এসে দেখি প্রায় দুই শরক মানুষ খাওয়ানো শেষ। এরপর আমি এসে খেতে বসলাম। মেনুতে ছিল সাদা ভাত, পোলাও, গরুর মাংস, খাসির মাংস, ডাউল, ছালাত, দই। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি আবার অন্যদের খাওয়ালাম কিছুটা সময়। আসলে বোনের বাড়ী তো কিছুটা দায়িত্ব পালন করতে হয়। অনুষ্ঠান বিকাল ৪ টার দিকে শেষ হলো। মানে খাওয়া দাওয়া শেষ হলো। আমি সেখানে আরও কিছুটা সময় ছিলাম। তারপর আমার মেয়েকে নিয়ে বাড়ীর দিকে চলে আসলাম। আমার মা আজকেও বাসায় আসল না৷ মানে বোন আসতে দিল না। আমি বাড়ী এসে দেখি আমাদের ছাগল গরুগুলো ডাকা ডাকি শুরু করেছে। তারাতারি পোশাক পাল্টে তাদের খাবার দিলাম। যেহেতু রাতে আব্বু আর আমার কিছু একটা খাওয়া লাগবে। আর মা তো বাসায় নাই। আমাকেই কিছু বানাতে হবে৷ না হলে আব্বু এসে রাগারাগি করবে।
এজন্য আমিই ভাত রান্না করলাম। ডিম ভাজি, টমেটো ভর্তা এবং আলু ভর্তা করলাম। আসলে আমি তেমন রান্না করতে পারি না৷ তবে মাঝে মাঝেই মা বাড়ী না থাকলে এবং অসুস্থ থাকলে আমাকেই রান্না করে খেতে হয়। আজকেও তেমনটায় করলাম। রান্নাটা শেষ করে আবার ভাইয়ের মেয়েকে পড়াতে বসলাম।
নিজের রান্না করা রাতের খাবার।
পড়ানো শেষ করে আমি আমার কিছু কাজ করে নিলাম। তারপর আব্বু বাড়ী আসলে রাতের খাবারটা তার সাথে খেয়ে নিলাম। আজকের দিনটা এভাবেই ব্যস্ততা, আনন্দ আর খাওয়া দাওয়া মাধ্যমে কেটে গেল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
@rasel72 বেশকিছুদিন ধরে আপনি লেখা কমিউনিটিতে চোখে পড়ছে, একটু ব্যস্ততার কারণে আপনার সাথে সাক্ষাতে সুযোগ হয়নি।
আপনাকে discord এ মেনসন করেছি, আশাকরি আপনি আমার সাথে যোগাযোগ করবেন।
আপনার দিনলিপি নিয়ে কিছু মন্তব্য করলাম না, সেটা কথা হলে বলবো, তবে একটা বিষয়ে আপনাকে ধন্যবাদ কমিউনিটিতে ডেলিগেশন দেবার জন্য , সাথে কমিউনিটিতে যোগদান করবার জন্য।
ধৈর্য্য তথা সততার সাথে কাজ করে যাবেন আশা করছি।
অনেক ধন্যবাদ দিদি আমাকে বিষয়টা জানানোর জন্য। আমি অবশ্যই সব সময় চেষ্টটা করে যাব ধৈর্য্যের সাথে কাজ করার জন্য। 🙏🙏 ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই আমাকে ক্ষমা করে বিষয়টা শিখিয়ে দিবেন।
আপনার দিনটা সত্যিই ব্যস্ততা আর দায়িত্বের মাঝে কেটেছে! মায়ের অনুপস্থিতিতে সব কাজ নিজে সামলানো, অনুষ্ঠানে সাহায্য করা, রান্না করা সবকিছুই প্রশংসার যোগ্য। সত্যিই, মায়ের কষ্ট আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না, কিন্তু যখন নিজের করতে হয়, তখন উপলব্ধি হয়। আপনার রান্নার ছবিগুলোও বেশ চমৎকার লেগেছে! ভবিষ্যতে আরও সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে আমি কিছুটা নাজেহাল অবস্থায় পড়ে গেলাম একবার লিখেছেন আপনার বড় ভাইয়ের মেয়ে আবার লিখেছেন আপনার মেয়ে বিষয়টা একটু আমাকে ক্লিয়ার করবেন যেহেতু আপনাদের দাওয়াত এর অনুষ্ঠান রয়েছে তাই আপনি নিজের সবকিছু রান্না করে সকালে বের হয়ে গিয়েছিলেন রাতে আবার নিজেদের জন্য রান্না করেছেন আসলে একটা ছেলে হয়ে এত কিছু করছেন দেখতে তো ভালো লাগছে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
আসলে মেয়েটা আমার বড় ভাইয়ের। কিন্তু ছোট বেলা থেকে সে আমাকে বাবা বলে ডাকে। যার কারণে আমি বেশির ভাগ সময় আমার মেয়ে বলেই ওকে ডাকি বা বলি। এজন্য লেখার সময় সেটাই লিখে ফেলেছি।যেহেতু নিজের মেয়ে বলে বেশি অভ্যস্ত। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মা বাসায় না থাকলে তখন বোঝা যায় বাসায় কতটা কাজ।। আজ আপনার মা বাসায় নেই তাই নিজেকেই নাস্তা তৈরি থেকে বাড়ির কাজ করতে হচ্ছে।।
দেখতে পেলাম মেয়ে সহ অনুষ্ঠানে গিয়েছেন আবার বাসায় এসে রান্নাবান্না করেছেন সব মিলিয়ে একটু ব্যস্ততার সাথে দিনটি অতিবাহিত করেছেন।।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।