মেয়ের ৬ষ্ঠ তম জন্ম দিন পালন।🎉🥳🥰
হ্যালো আমার স্টিমিয়ান বন্ধুরা,
দেখতে দেখতে আমার ছোট্ট আম্মুটার আজকে ৬ বছর শেষ হলো। প্রথম দিকে অনেক ধুমধাম করে জন্ম দিন পালন করলেও এবারে কিছু সমস্যার কারণে ঘরোয়া ভাবে পালন করা হয়েছে। গতকাল ছিল আমার ছোট্ট আদরের মেয়ের জন্ম দিন। আপনাদের প্রশ্ন হতে পারে আমি তো বিয়ে করি নাই, তাহলে আমার মেয়ে আসল কিভাবে। এটা আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে। আমাকে বাবা বলে ডাকে। যার ফলে আমি আমার নিজের মেয়ের মতো ওকে ভালোবাসি৷ আমি নিজে একটু অসুস্থতার কারণে গাজিপুর থেকে গত ১ তারিখ রাতে বাড়ী চলে আসছি। আসার পরের দিনই মেয়ের জন্ম দিন। আমি আসরের নামাজ আদায় করে এসে কিছু বেলুন দিয়ে রুমটা সাজালাম। মূলত মেয়ে বাপ দুইজন মিলেই ঘর সাজালাম।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
![]() | ![]() |
যেহেতু কোনো আত্নীয় স্বজনদের বলা হয় নাই। এজন্য বেশি রাত না করে এশার আগেই বাড়ীর সবাই মিলে কেক কাটার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। প্রথমে মেয়েকে নতুন একটা পোশাক কেনা হয়েছিল সেটা পরিয়ে দিলাম। এরপর কেকটা ফ্রিজ থেকে বের করে আমি নিজে ছোট ছোট মোমবাতি দিয়ে সাজিয়ে দিলাম। আমি মূলত অসুস্থ ছিলাম। যার কারণে বাজারে যায় নাই। আমার বড় ভাই সব জিনিস ও কেক কিনে এনেছিল। আমাদের আশে পাশের সকল ছোট বাচ্চাদের ডাকা হলো কেক কাটার সময়। যাতে ওরা আনন্দ করতে পারে। আশে পাশে বলতে মূলত আমার বড় চাচার নাতি নাতনীরা। প্রথমে ভাই ৪ টা বড় বাজি ফুটালো। যেটা আকাশের অনেকটা দূর গিয়ে ফেটে ফুলের মতো ছড়িয়ে যায়।
এবার কেকের উপর একটা বড় মোমবাতি মতো দেখতে আতোস দিয়ে দেওয়া হলো। সেটাতে আগুন দিয়ে উপরের দিকে ফুলকি উঠতে লাগে। আমার মেয়েটা এটা দেখলে ভয় পায়। আগুন দিতেঔ সে তার দাদীর কাছে দিয়ে দাড়িয়ে থাকল। ফুলকি উঠা বন্ধ হলো আমার কাছে এলো, আমি তার হাতের সাথে হাত দিয়ে কেকটা কাটলাম। এবং তার মুখে একটু কেক তুলে দিলাম। এবার আমার ভাই সকল বাচ্চাদের কেক কেটে দিল খাওয়ার জন্য। আমি নিজেও একটু কেক খেয়ে রুমের দিকে চলে আসলাম। মূলত শরীর ভালো না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগে না।
![]() | ![]() |
---|
আজকের দিনটা সব সময়ই মনে থাকে।।মজার ব্যাপার হলো আমার এবং আমার মেয়ের জন্ম দিন একই মাসে ফেব্রুয়ারিতে। আমার ৫ তারিখ আর মেয়ের ২ তারিখ। মাঝে তিন দিনের ব্যাবধা। দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা আমার মেয়েকে অনেক বড় করুক। সে যেনো আল্লাহ তায়ালার সকল বিধান মতো চলতে পারে। আপনারা সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন। আজকে এই পর্যন্তই আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
@rasel72 আপনার মেয়ের শুভ জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা!
তবে, হৃদয় বিদারক বিষয় হলো, আপনার ট্রানজেকশন!
আপনি কিছু ইউজারের সাথে যে স্টিম বিনিময় করেছেন, সে বিষয়ে যদি একটু আলোকপাত করেন ভালো হয়!
আরো আছে, তবে একেবারের উপরের দিকের গুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী
Cc:- @sampabiswas
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানায় আমার মেয়ের জন্ম দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করার জন্য।
আমি আমার ট্রান্জেকশনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। প্রথম যে নামটা দেখতেছে যাকে আমি ১ ও ০.৬০৪ স্টিম পাঠিয়েছিলাম। মূলত এটা আমার এক বন্ধুর আইডি। তার আইডি খোলার পর সে যখন পোষ্ট করতে যাচ্ছিল তখন স্টিম পাওয়া কম থাকায় পোষ্ট বা কমেন্ট কিছুই করতে পারতেছিল না। যার ফলে সে বিষয়টা আমাকে জানালে আমি তাকে আমার আইডি থেকে যাতে পোষ্ট করতে পারে সেই পরিমাণ স্টিম ট্রান্জেকশন করেছিলাম।
দেখতে দেখতেই তো ছোটবেলা থেকে বড় হয় তাই না আপনার ছোট্ট আম্মু টা এখন ছয় বছরের হয়ে গেছে। দোয়া করি আপনার মেয়ে বড় হয়ে আপনার মুখ উজ্জ্বল করুক। আসলে ছোট বাচ্চারা নিজেদের জন্মদিন পালন করার যে আনন্দটা সেটা উপভোগ করে একমাত্র পরিবারের কাছ থেকে। যদিও ইসলাম ধর্মে জন্মদিন পালন করা ঠিক না কিন্তু তারপরেও আমরা বাচ্চাদেরকে একটু হাসিখুশি করার জন্য চেষ্টা করি। আমিও কিছুদিন আগে আমার বড় ছেলের ছোটখাটো করে আসলে কোন অনুষ্ঠান নয় জাস্ট ওর ফুফুদের কে নিয়ে একটা কেক কেটে ছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।ভালো থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।