The March contest #2 by sduttaskitchen|School life Vs college life!
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
প্রথমেই এডমিন ম্যামকে অনেক ধন্যবাদ এই দূর্দান্ত বিষয়বস্তু নির্বাচন করার জন্য। এই প্রতিযোগিতা বিষয়বস্তুর জন্যই আবার একবার ঘুরে এলাম স্কুল ও কলেজ জীবনের সেই সোনালী সময়ে।
Which is your favourite school or college life? Choose any one with a proper rationale!
আমার কাছে আমার উচ্চমাধ্যমিক অর্থাৎ কলেজ জীবনটা অনেক পছন্দের।
ছোটবেলা থেকে বড়-ছোট এমনকি শিক্ষকদের মুখে একটা কথাই শুনেছি যে স্কুল জীবন সবচাইতে ভালো। তবে আমি কোথাও একটা কলেজ জীবনকে বেশি পছন্দ করে ফেলেছি। কারণ হিসেবে যদি বলি তাহলে বলবো অনেক নতুন বন্ধু।
What do you miss the most from the two phases of life referenced above? Share.
সত্যি বলতে স্কুল ও কলেজ দুটোই খুব মিস করি। তবে গতকাল যখন আমার উচ্চমাধ্যমিক কলেজের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছিলাম তখন কেমন যেন একটা অনুভুতি হচ্ছিল। জানি আমার সহপাঠী এবং বন্ধুরা কেউই নেই তবুও যেন আড্ড দেওয়ার স্থানের দিকে চোখ চলে যাচ্ছিল।
কলেজ মাঠের প্রতিটি ঘাসের সাথেও যেন বন্ধুত্ব জড়িয়ে রয়েছে। খানিকক্ষণ তো একা একা ঘাসের উপরেই বসেছিলাম। আগের মতো জীর্ণশীর্ণ টিনের ছাউনির কক্ষ গুলো বিলীন। যদিও এখনকার মতো এতো বড় বড় অট্টালিকা ছিল না তবে ছিল অনেক আপনজন।
Share the best moments that make you nostalgic about school and college life.
শিক্ষাজীবনের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কিছু না কিছু স্মৃতি জড়িয়েই থাকে। অনুরূপভাবে এটা আমার জন্য ও প্রযোজ্য।
![]() |
---|
স্কুল জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত, এই স্মরণীয় মূহুর্তের মধ্যে ক্লাস ফাঁকি দেওয়াটা আমার কাছে সেরা মূহুর্ত। এক ম্যাম ছিলেন যার ক্লাস আমরা অনেকেই পছন্দ করতাম না। কিন্তু কি করা যায়? নিরূপায় হয়ে একদিন ক্লাস সময়ের পূর্বে আমরা কয়েকজন পালিয়েছিলাম। মজার বিষয় হয় আমাদের শ্রেণীকক্ষের সাথেই ছিল একটি গাছ এবং ঐ গাছটিতে তুলনামূলক একটু বেশিই সবুজ পাতা ছিল। আমরা পালানোর জায়গা না পেয়ে ঐ গাছে উঠেই বলেছিলাম।
অতপর যখন স্কুলের সকল শিক্ষকগণ আমাদের খুঁজতেছিলেন আমরা ওখানে বসেই দেখছিলাম। অবশেষে হন্যে হয়ে সকলে খোঁজাখুঁজির সময় আমরা আর হাঁসি আটকে রাখতে পারিনি। নচেৎ সারাদিনে হয়তো আমাদের খুঁজেই পেতো না। যাইহোক, আমরা সফল হয়েছিল ঐ ম্যামের পরিবর্তে অন্য ম্যামকে দেওয়া হয়েছিল ঐ বিষয়টা।
কলেজ জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত,
প্রথম প্রথম তো বেশ শান্তই ছিলাম তবে দূরন্ত স্বভাবটা ছিল। তাছাড়া, মাধ্যমিকের ফলাফল ও ভালো ছিল যে কারণে একটা অন্যরকম অনুভূতি ও ছিল। আমি স্পষ্টভাষী এটা আমার কলেজের হোস্টেল সুপার ম্যাম স্বল্প সময়ের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলেন। গার্লস কলেজ তাই বাধ্যবাধকতা ও একটু বেশি। যখন সবেমাত্র বাটনের মোবাইল মানুষ ব্যবহার করা শুরু করেছিল। স্মার্টফোন ছিল না বললেই চলে।
কলেজে মোবাইলে কথা বলা তো দূরের কথা মোবাইল নিয়ে আসাই বন্ধ নিষেধ ছিল। হোস্টেল সুপার ম্যাম আমাকে দায়িত্ব দিলেন মোবাইল নিয়ে কেউ এসেছে কি না। বাহ! নিজের কাছেই ছিল তখন দুইটা মোবাইল। আমি বরাবরই মোবাইল, পি সি ও ল্যাপটপের প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম।
তখন আমার নিজেরই ভয় লাগছিল, যাইহোক দুইটার আগে কলেজের বাইরে যাওয়া বন্ধ কিন্তু একমাত্র আমিই ছিলাম যার জন্য সর্বদাই কলেজের দরজা খোলা। যাইহোক, সুযোগে বাইরে গিয়ে মোবাইল দুইটা রেখে এসেছিলাম। তারপর অভিযান এবং প্রথম দিনেই একটা বড় বোনের মোবাইল ভেঙ্গে ফেলেছিলাম।
এবার তো হলো বিপদ, হোস্টেল সুপার ম্যাম চিন্তায় পড়লেন যে এভাবে মোবাইল ভাঙ্গলে তো ঝামেলা হয়ে যাবে। কারণ সকল অভিভাবক তো সমান না। তবে ম্যাম আমাকে এতোটুকু বিশ্বাস করতেন যে আমি তাঁর কথার অবাধ্য হবো না। ম্যাম আলাদা করে ডেকে বললেন এটা যথেষ্ট হয়েছে এমনি তোকে দেখলে এখন সবাই ভয় পাবে। সুতরাং মাঝে মধ্যেই কলেজের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করলেই হবে। এমনিতেই এই ঘটনার পরে কেউ আর মোবাইল সচরাচর বের করবে না।
![]() |
---|
দ্বিতীয়,
প্রথম বর্ষেই বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার শৈশব থেকে খেলাধুলার প্রতি অনেক আগ্রহ। খেলাধুলার পর্ব শেষ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শেষ তখন দেখলাম আমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপস্থিত হয়েছেন মাননীয় মন্ত্রীদ্বয়ের সাথে। কারণ ঐ মন্ত্রী তখন আমার কলেজের সভাপতি ছিলেন।
প্রথম পুরস্কারটা আমি মন্ত্রীমড়োদয়ের হাত থেকেই নিয়েছিলাম এবং অষ্টম পুরস্কারটা আমার প্রধান শিক্ষকের হাত থেকে। ঐ মূহুর্তে আমার প্রধান শিক্ষক আমাকে দাঁড়াতে বলে উপস্থিত সকল বিচারকগণ এবং প্রধান ও বিশেষ অতিথিদের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
সুযোগ পেয়ে বলছিলেন যখন আমি স্যারের স্কুলে ছিলাম তখন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমার জন্য প্রথম পুরস্কার নেওয়ার সুযোগ কারো হতো না। স্যারের মুখের চেহারাটা যেন আবেগাপ্লুত হয়েছিল। স্যার বলেছিলেন যে আমি স্যারের স্কুলের শিক্ষার্থী।
ঐ সকল পুরস্কারের থেকে অনেক অনেক বড় প্রাপ্তি ছিল স্যারের আবেগ ও আশীর্বাদ মেশানো ঐ শব্দ গুলোতে।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। পাশাপাশি, @dexsyluz, @alexanderpeace & @nanidi তিনজন বন্ধুকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
আমি আজকের লেখার জন্য পূর্বের লেখাতে ব্যবহৃত ছবি উপস্থাপন করেছি।
@vivigibelis, thank you so much 😊
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনি আপনার উচ্চমাধ্যমিক অর্থাৎ কলেজ জীবনটাকে অনেক বেশি মিস করেন সেই সাথে আপনি আপনার কলেজের একটা ঘটনা একটা বললে ভুল হবে দুইটা ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এক জায়গায় চুপচাপ বসে ছিলেন সবাই আপনাদেরকে খোঁজাখুঁজি করছিল অবশেষে আপনারা হাসাহাসি শুরু করে দিলেন যাই হোক প্রতিযোগিতা আপনার সফলতা কামনা করছি ভাল থাকবেন।