Better Life with Steem|| The Diary Game|| 7th April 2025

in Incredible Indialast month (edited)
1000002135.jpg

শুভ সন্ধ্যা,
এখন বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টা বেজে দশ মিনিট, সবেমাত্র পোস্ট লেখার জন্য মোবাইলটা হাতে নিয়েছি। আবহাওয়া এতটাই খারাপ যে বিগত কয়েক দিন ধরে গরমে ঘাম বসে প্রচন্ড ঠান্ডা লেগেছে। যে কারণে একটা পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক জায়গাতে বসে একটানা লিখতে পারছি না।

এখন আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিবো আমার গতকালকের সম্পূর্ণ দিনের কার্যাবলী। যেহেতু বিজয় দশমী ছিল তাই শারীরিক অবস্থা যেমনই হোক না কেন মনটা ভালো ছিল।

1000001996.jpg

বিজয় দশমী মানে মায়ের বিদায় মুহূর্ত। আবারো একটি বছর পর এই দিনটি উপভোগ করার সুযোগ মিলবে। সবাই কাজ ফেলে ছুটে এসেছে মাকে বিদায় জানানোর জন্য। আজকে সবার মন দুঃখ ভারাক্রান্ত। পুজো শুরু হতে রাহোতেই যেন সমাপ্তির দিনটি ঘনিয়ে আসে।

1000002007.jpg

বিসর্জন শেষে সিঁদুর খেলা যেখানে ছোট-বড় সকলেই আমরা অংশগ্রহণ করেছিলাম। পাড়ার সকলে এবং আত্মীয়স্বজনেরাও সকলেই পূজা মন্ডপের সামনে উপস্থিত ছিলেন। যে কারণে সিঁদুর খেলাটা যেন পূর্ণতা পেয়েছিল। আজকে কোন অজুহাত নেই, সিঁদুর খেলা থেকে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সেই পরিকল্পনা করেই সিঁদুর খেলা শুরু করা হয়েছিল।

বাড়িতে আবার আমাদের বোনের অন্নপ্রাশন, তাই বিসর্জন শেষ হলেই বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। আমাদের জীবনে কিছু বিশেষ পর্ব রয়েছে যেগুলো দ্বিতীয়বার আর পাওয়া যায় না। তাছাড়া এই অন্নপ্রাশন উপলক্ষে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমার কাকুর বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে।

সবাই মিলে ফোনের অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান উদযাপন করব তাই দলবল গুছিয়ে নিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। রীতিনীতি পালন করার মাধ্যমেই আমরা অন্নপ্রাশনের পরবর্তী সম্পন্ন করেছিলাম।

1000001999.jpg

অন্যদিকে পুজো উপলক্ষে দীর্ঘদিনের নিরামিষ খাওয়ার কারণে শরীরের শক্তি হ্রাস পেয়েছে। আমার ভাগ্নি ও খাবার খেতে তেমন একটা উৎসাহ দেখাচ্ছে না। ইতিমধ্যে আজ সকালেই একবার মাম ভা(মাছ-ভাত) বলেছে। এবছর এখনো আম খাওয়া হয়নি তাই সকলে মিলে আম খেতে গিয়েছিলাম।

এ বছর আবার ফলন অনেক ভালো তবে কালবৈশাখীর দেখা এখনো মেলেনি। যদিও বৈশাখ মাসের আগমন এখনো ঘটেনি তবে ইতিমধ্যে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আম গাছের ডালপালাতেও আম ঝুলে রয়েছে। তাই খুব বেশি কষ্ট হয়নি গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে।

আম আর খেতে পারলাম না এরই মধ্যে মাইকে ডাকাডাকি করছিল মন্দিরে যাওয়ার জন্য। আমরা সকলে দ্রুত মন্দিরে পৌঁছেছিলাম। ভাইয়েরা এবং ভাইপো রা পাঞ্জা লড়ছিল। এটা পরিচালনা করছিল আমার এক পিসোমশাই ও এক কাকু। এটাতে বেশি আকর্ষণীয় কোনো পুরস্কার ছিল না তবে ছিল প্রচুর দর্শকের সমাগম এবং উল্লাস।

1000002049.jpg

স্নান করে মাকে ভাত রেডি করতে বলে একটু মন্দিরের দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরোচ্ছিলাম। কিন্তু মেয়ে রাস্তায় পা রাখতেই দেখলাম এক কাকাতো ভাই দৌড়ে আসছে। কথা বলতে পারছিল না এতটা দ্রুত গতিতে ছুটে এসেছিল। জলঘট ডোবানো এবং কাদামাটি খাওয়া চলছে মন্দিরের মাঠে। বিগত বছর আমাকে কাঁদা মাখিয়ে আমাকে ভূত বানিয়ে দিয়েছিল।

তবে এবার অবস্থা আরো শোচনীয় যেটা ছোট ভাইয়ের মুখে শুনলাম। বাড়িতে থেকেও বাঁচা যাচ্ছে না বাড়ি থেকে তুলে এনে কাদা মাখানো হচ্ছে। অতিরিক্ত করলে যেটা হয় আর কি আমাদের বাড়ির এক ছোট ভাইকে ধরতে এসে একজনের পা কেটে অবস্থা বেহাল। সকলে ধরাধরি করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিল এবং দুটো সেলাই দেয়া লেগেছে।

এই পরিস্থিতির কথা শুনে আমি আর ভয়ে রাস্তায় বের হয়নি। ওদিকে আমার পেটুক কথা শুনছে না ভীষণ খিদে পেয়েছে। তাছাড়া অনেকদিন বাদে বাড়িতে মাছ এবং আমার প্রিয় মাংস রান্না হচ্ছে তাই খিদেটা একটু বেশিই লেগেছে।

1000002091.jpg

যাইহোক খাওয়া দাওয়ার পরে একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। খুব সুন্দর পর ঘুম ভেঙেছিল এবং তখন মন্দিরের মাঠে গিয়েছিলাম। তবে মন্দিরের মাঠে গিয়ে যেটা দেখলাম যে হাঁসি চেপে রাখতে পারলাম না। সকলকে ডেকে বললাম চেয়ার পরিষ্কার করতে নাচেদ ডেকোরেশনের লোককে অতিরিক্ত টাকা দেওয়া লাগবে। কারণ কাদামাটি এমন ভাবে মাখানো হয়েছে যে আশেপাশের চেয়ার গুলোও কাদামাখার হাত থেকে রেহাই পায়নি।

এভাবেই সকাল থেকে রাত অবধি সময় অতিবাহিত করেছিলাম।

Sort:  
Loading...
 last month 

বিজয়ার দশমী যেখানে আপনারা আপনাদের দেবিকে বিসর্জন দিয়ে থাকেন। বিসর্জন দেয়া শেষ হলেই আপনি আমার বাসায় চলে এসেছেন কারণ আপনার বোনের অন্নপ্রাশন ছিল অনেকদিন ধরে নিরামিষ খাওয়ার কারণে আপনাদের শরীরের মধ্যে আমিশের রাষ পেয়েছে তাই মাছ ভাত খাওয়ার একটা ব্যবস্থা করেছেন। বর্তমান সময়ে গরমের মধ্যে আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো কেননা পেট ঠান্ডা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।