Better Life with Steem|| The Diary Game|| 6th March 2025

in Incredible India17 days ago
1000000863.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
আজ আবারো আপনাদের সাথে আমি আমার একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করতে চলে এসেছে। এখন বাংলাদেশ সময় বিকেল ০৩:০০টা, মাত্রই দুপুরের খাবার শেষ করে মোবাইল হাতে নিয়েই পোস্ট লেখার জন্য বসেছি।

আমার সকালটা শুরু হয়েছিল এগারোটার দিকে। ব্রাশ করার সময় মা জানালো আজ রাতে নাকি কাকুর বাড়িতে তিননাথ ঠাকুরের মেলা। আমাদের সকলের সেখানে নিমন্ত্রণ রয়েছে। হাতের কাজ শেষ করেই সকালে হালকা খাবার খেয়েছিলাম। রমজান মাস, বিশেষ করছ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বন্ধ যে কারণে শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষক সকলেই এখন বাড়িতে সময় অতিবাহিত করছেন।

1000000773.jpg

1000000776.jpg
Coding (পাইথনের) একটু কাজ অনুশীলনের কথা ছিল যেখানে আমার একটু সমস্যা হচ্ছিল। তাই সকালের খাওয়া শেষ করেই ছোট ভাইয়ের পি সি'তে বসেছিলাম। যাইহোক, ঐ কাজটা করতে করতে প্রায় দুপুর বারোটা বেজে আসছিল। যে কারণে আর বিলম্ব না করে বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। ওরে বাবা! বাড়িতে পৌঁছে দেখি বনভোজনের আয়োজন চলছে। অন্যদিকে রণিত ঘুরতে যাবে তাই সকলেই বনভোজনের তারিখটা পিছিয়ে দিয়েছিলাম।
1000000824.jpg

নাতনি শশুর বাড়ি গেছে যে কারণে ঠাকুরমার মন ভীষণ খারাপ। যদিও আমার ঠাকুরমা এখন আর আমাদের মাঝে নেই কিন্তু আমি ঠকুরমাকে খুব মিস করি। আমার বাবা একাই যে কারণেই পরিবারের প্রথম শিশু হিসেবে আমার কদরটাও অনেক বেশিই ছিল। ঠাকুরমা আমাকে প্রতি রাতে ভূতের গল্প শোনাতো যেটা খুব মিস করি।

একটা ছোট্ট ঘটনা বলি, যখন আমি সবে মাত্র স্বরলিপি বই পড়তে শুরু করেছিলাম। আমার গ্রামের এক বড় ভাই ছিলেন আমার শিক্ষক। পড়াতে বসে আমাকে একটা থাপ্পর দিয়েছিলেন, সাথে সাথেই আমার ঠাকুরমা ঐ শিক্ষককে পড়াতে আসতেই নিষেধ করেছিলেন। সত্যি বলতে যাঁরা ঠাকুরমা বা ঠাকুরদার সাথে শৈশব অতিবাহিত করার সুযোগ পায় না, তাঁরা জীবনে অনেক কিছুই মিস করে।

1000000823.jpg

ফুলটা দেখতে কিন্তু সেই সুন্দর ছিল। স্নান করতে যাবো ঠিক তখনই কাকাতো ভাইয়ের হুঙ্কার যেন গিনিস বুকে নাম লিখিয়েছে এইরকম একটা অবস্থা। তবে বাইরে বেরিয়ে দেখলাম ঘৃত জবা নিয়ে এসেছে যেটা আমি বিচিত্র রঙের। উদ্ভিদ বিজ্ঞানে আমার একদমই অভিজ্ঞতা নেই যে কারণে এটার সঠিক কোনো বিশ্লেষণ ও আমার কাছে নেই।

ফুলের রঙের বিষয়ে জানা থাকলে অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন।

এদিক ওদিক করতে করতেই বেলা গড়িয়ে বিকেল। কাজে বসার ও কোনো উপায় নেই, বিদ্যুৎ বিভ্রাট যে পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। যাইহোক, স্নান শেষে খাবার খেয়ে আবারো মোবাইল হাতে নিয়ে বসেছিলাম। ০৪:৩০ এ একটা জরুরী কাজ ছিল তাই আর চোখ বন্ধি করিনি। নচেৎ ঘুমিয়ে গেলে আর সময়মতো কাজটা করতে পারতাম না।

1000000838.jpg

কাজ শেষ করতে করতেই রাত, তারপর পি সি বন্ধ করে ফ্রেশ হয়ে কাকুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। পাশের বাড়ির কাকাতো বোনেরা বাইরে চেয়ারে বসে খেলছিল। হঠাৎ গত সন্ধ্যায় যেন আবারো পৌষের শীত অনুভূত হচ্ছিল। আমি হুডিটা নিয়েই গিয়েছিলাম।

1000000842.jpg

ঐ যে সেজো মায়ের কথা বলি, কাকুর ঘরে গিয়ে দেখলাম সেজো মা ঘুমাচ্ছে। হয়তো জ্যাঠা বাবুর জন্য চিন্তিত যে কারণে ঠিক ঠাক ঘুম যেমন হয় না আবার শরীরটাও ক্লান্ত। আমি সেজো মায়ের কাছে বসেছি তখনি দেখি টুকটুকি(কাকাতো বোন) আমার পেছনে। আমার নতুন মোবাইলটা দেখেই তাঁর ছবি তোলার আবদার। তাছাড়া আমিও ছবি নিতাম কিন্তু বোনের জন্য তখনি নিলাম।

1000000847.jpg

যেহেতু, তিননাথ ঠাকুরের মেলা তাই পাড়ার সকলেই নিমন্ত্রিত ছিল। বাইরে ও ভাইপো, ছোট -বড় সকলের আড্ডা চলছে। অনুষ্ঠান মানেই সকলে একত্রিত হওয়া যেটা সচরাচর হয় না।

এভাবেই আমি গতকাল আমার সারাদিন অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।

Sort:  
Loading...

TEAM 7 ¡Congratulations! This post has been voted through steemcurator07. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.

1000098952.png

Curated By: @memamun

 14 days ago 

এত দেরি করে আসলে ঘুম থেকে ওঠা ঠিক না যদি সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠা যায় তাহলে অবশ্যই শরীর অনেক বেশি ভালো থাকে আপনাদের গ্রামে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে যার কারণে গ্রামের সবাই মিলে সেখানে অংশগ্রহণ করার একটা নিমন্ত্রণ ছিল। জবা ফুলের দুই কালার সম্পর্কে আমার আসলে কোন ধারনা নেই তবে এই ধরনের ফুল আমার মনে হয় আমার জীবনে এই প্রথম দেখলাম অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।