Better Life with Steem|| The Diary Game|| 6th April 2025
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
সকলকে মহা নবমীর শুভেচ্ছা। আজ সকালটা বিনোদন দিয়েই শুরু হয়েছিল। বাবা গিয়েছিল বোনের বাড়িতে, আজই আমাদের পুচকু কে নিয়ে আসবে। বাসন্তী পূজো যেন আজই পূর্ণতা পাবে। চোখ মুছতে মুছতেই ভিডিও কল করলাম দেখলাম ওরা সকলেই সকালের খাবার খাচ্ছে। একটু বাদেই বাড়ি থেকে আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরোবে।
সময় যেন কাটছিল না। ছোট ভাইয়েরা ধুতি পরেছিল আর বোনেরা নীল শাড়ি। সবাই নবমীতে অঞ্জলী দিবে কিন্তু সেই সময়টা তখনও হয়নি। তাই সকলে ছবি তুলেছিল। পূজোর সময় আমাদের গ্রামের মেয়েরা এক রংয়ের শাড়ি পরে যেটা প্রতিবছরই দেখা যায়।
![]() |
---|
মেয়ের আগমনে তাঁকে রেখে যেন কেউই ঘরে ফিরতে ইচ্ছুক না। অপলক দৃষ্টিতে মায়ের উদ্দেশ্যে মন্ত্র উচ্চারণ ও যজ্ঞানুষ্ঠান সকলেই উপভোগ করছিল।
![]() |
---|
অঞ্জলী দেওয়ার পরে একটু আবোলতাবোল খাওয়া দাওয়া করলাম। কিন্তু এবার তো গরম যেন আর পিছু ছাড়ছে না। মাঠে আবার কোনো ঠাণ্ডার দোকান ও ছিল না। কি মুশকিল!
নবমীর পূজো সমাপ্ত হলে গ্রামের মায়েরা প্রসাদ বিতরণ করছিল। অঞ্জলি উপলক্ষে যেহেতু সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয়নি তাই কিছুই খেতে ইচ্ছে করছিল না। তবে প্রসাদ পাওয়াটা কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয়। তাই বিলম্ব না করে নবমীর মহাপ্রসাদ নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
তারপর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে আমাদের বাড়ির পাশের একটা পুকুর পাড়ে টুল নিয়ে বসেছিলাম। অনেকদিন পরে পুকুরের ছোট স্যাওলা দেখলাম। পরিবেশটা দারুন ছিল। যদিও সকালে স্নান করেছি কিন্তু বাইরে থাকার জন্য যেন অস্বস্তি লাগছিল। যাইহোক স্নান সেরে একটু বিশ্রাম নেওয়ার করেছিলাম।
![]() |
---|
আবার সন্ধ্যায় মন্দিরে গিয়েছিলাম। আমরা ৮/১০ জন মিলে পাশের পাড়ার মন্দিরে গিয়েছিলাম। তবে আমার হাতে কোনো ক্যাশ টাকা ছিল না, তাই বাজারে গিয়ে টাকা বের করতে করতে একটু বিলম্বই হয়েছিল। সকলকে হাঁটতে বলে আমি টাকা নিয়ে ঐ পাড়ার এক কাকাকে সাথে নিয়ে আমিও পৌঁছেছিলাম।
আমার উদ্দেশ্য ছিল মামার সাথে দেখা করা। কারণ ঐ মন্দিরের পুরোহিত আমার মামা, মামার সাথেই প্রথমে দেখা করে বিভিন্ন কথোপকথন। তারপর মন্দিরের সামনে কিছুক্ষণ বসলাম এবং মায়ের প্রসাদ নিলাম। আমার বন্ধুর বাড়ি আবার এখানেই, বিভিন্ন কারণে এখন আর বাজারে যায় না। তাই আমি বন্ধুর জন্য দুটো স্পিড নিয়ে গিয়েছিলাম। ঐ যে আমাদের মন্দিরের মতো এখানেও ঠাণ্ডা কিছু পাওয়া যায় না। বন্ধুকে ঠাণ্ডা দিয়েই আমরা সবাই আবার বেরিয়েছিলাম।
গ্রামে ঠাকুরমা বা দাদুরা না থাকলে ঐতিহ্য হয়তো হারিয়ে যেতো। এই যে ঠাকুরমা, বয়স প্রায় আশি কিন্তু দেখুন ঐতিহ্য এখনো তার মনে রয়েছে। বয়সের প্রতিকূলতা পাশে রেখেই আরতি করছে। আমাদেরকে যেন জাগ্রত করছে করার জন্য। এখনকার ছেলেমেয়েরা ভাব নেয় লাজুকতার বিশেষ করে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। অথচ DJ Party হয়ে কোমর, হাত পা সব যেন অটো চলতে শুরু করে।
ধর্মীয় যে অনুভূতি এবং ক্রিয়া এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে মনের ওপর। পাশাপাশি পারিবারিক ধর্মীয় অনুভূতির প্রভাব এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি শিশু তাঁর পরিবার থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে।
এরই মাঝে এসেছিল নিমন্ত্রিত অথিতিরা ও এসেছিল। অন্যদিকে ছোটরাও নাচতে নাছোড়বান্দা। বক্সে গান অন করার বিলম্ব ও সহ্য হচ্ছে না। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছিল। নাচ যেমনই হোক, তীব্র আগ্রহ নিয়ে এসেছে ছোটরা তাই অধীর আগ্রহ নিয়ে সকলেই দেখছিল।
তবে হ্যাঁ আমাদের এখানে এরকম শিল্প একাডেমী ও নেই যে সেখানে ছোট থেকে শেখার সুযোগ করে দেওয়া যাবে। যে কারণে হয়তো অন্যদের তুলনায় এরা এখানে অনেকটা পিছিয়ে। রাত এগারোটার দিকে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। এভাবেই আমি গতকালকের দিনটা অতিবাহিত করেছিলাম।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
আপনাদের বাসন্তী পূজা আজকে পূর্ণতা পাবে জানতে পেরে ভালো লাগলো সবাই নিজেদের মতো করে সেজেগুজে বের হয়েছে তবে গরমে অতিষ্ঠ হওয়াটা এটাই স্বাভাবিক তাই আপনারা পুকুর পাড়ে চেয়ার নিয়ে বসে পড়েছেন আপনি ঠিকই বলেছেন বৃদ্ধ মানুষগুলো না থাকলে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে যেত হারিয়ে যেত গ্রামের শেষ ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্যগুলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার আরো একটা দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।