Better Life with Steem|| The Diary Game|| 5th March 2025

in Incredible India20 days ago
1000000761.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
আজকের দিনটা সকাল থেকেই একটু অন্যরকম ছিল। কারণ অনলাইনে অর্ডার করা গ্রাফিক্স ট্যাব পাওয়ার কথা ছিল। যেখানে আমি আগেও উল্লেখ করেছি অনলাইন থেকে কোনো কিছু ক্রয় করা আমার একদমই পছন্দ না। তবুও ছোট ভাইয়ের জোরাজুরিতে অর্ডার করেছিলাম। যাইহোক, চলুন এবার আমার কার্যক্রম আপনাদের সাথে ভাগ করে নিই।

সকাল

1000000727.jpg

ভোর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার কারণে সকালে উঠতেই ইচ্ছে করছিল না। তবে বাবাই আজ সকালে টেনে তুলেছিল। আজ সকালেই নতুন জোয়ারের জলে ওঠা অনেক গুলো ট্যাংরা মাছ ধরে নিয়ে এসেছিল। ঐটা দেখানোর জন্যই সকালের এই কাণ্ড। যাইহোক, আমি তো রেগে আগুন 🔥 কিন্তু তাজা মাছ গুলো দেখেই ভালো লাগছিল। যদিও আমার বরাবরই বড় মাছের মাথা এবং মাছের পেটের অংশ। তবে আমাদের পুকুর থেকে মাছ ধরার সময় অনেক অনেক বড় মাছ কেটে ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। ঐ যে একই খাবার যতোই ভালো হোক প্রতিনিয়ত খেতে খেতে আর ভালোই লাগে না। তাই এই ছোট মাছ গুলো দেখে একটু বেশিই ভালো লাগছিল।

1000000735.jpg

মাছ দেখার পরে আবারো বারান্দায় খাটে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তারপর আবার একটু রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। রাস্তায় লোকজন তেমন ছিল না তবে দেখলাম আমার দুই দাদা নামযজ্ঞানুষ্ঠানে যাচ্ছিল। অন্যদিকে রাস্তায় রোদের প্রখরতা ও অনেক বেশি, তাই মনে হয় লোকজন ও কম।

1000000737.jpg

গরমের দিনে মুরগির খামারিদের ও কিছুটা অতিরিক্ত শ্রম দিতে হয়। বিশেষ করে মুরগি বিক্রি করে দেওয়ার পরে তাৎক্ষণিকভাবে মুরগির খামারের ঘরটি মটরের সাহায্যে জল দিয়ে পরিষ্কার করা। এমনকি এটা একাধিক বার ও করে থাকে অনেকে। আমাদের এলাকায় যে কতোগুলো মুরগির খামার আছে সেটা গুনে বের করা ও মুশকিল।

দুপুর

1000000739.jpg

এই সময়ে অনেকদিন বাজারে যাওয়া হয় না। এতো সকালে ওঠায় কেমন যেন একটা অস্বস্তি লাগতেছিল, অন্যদিকে চোখটা জলছিল ঘুম কম হওয়ার জন্য। যাইহোক, হাঁটতে হাঁটতে বাজারে পৌঁছেই আমার প্রিয় বিড়ালটিকে পেলাম। রমজান মাস, দোকান ও বন্ধ এবং লোকজন বাজারে ও নেই। কিছুসময় বিড়ালের সাথে সময় অতিবাহিত করেছিলাম।

1000000738.jpg

ভাট/ভাটিফুল এক এক এলাকায় এক এক নাম। তবে বছরের এই সময়টাতে শুধু মাত্র এই ফুল দেখা যায়। যেটা আমাদের পূজোতে ও লাগে। এমনকি এই ফুল ছাড়া পূজোই হয় না।

1000000743.jpg

ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন বাজারের কি অবস্থা? একদমই জনমানবহীন যেটা অন্যান্য কোনো সময়ই হয় না। যাইহোক, আমিও কাজ অসম্পূর্ণ রেখে ফিরে এসেছিলাম। কারণ দোকান বন্ধ থাকায় কেনাকাটার কাজটা করতে পারিনি।

1000000744.jpg

শীতের কুয়াশামাখা সেই পরিবেশ এখন লুপ্ত তাই গাছ গুলো যেন এক অন্য রূপ ধারণ করেছে। শীতের সময় যে গাছ গুলোর পাতা ঝরে পড়েছিল, ঋতু পরিবর্তন হতেই আবারো নতুন পাতা গজাতে শুরু করেছে। এই পাতা ঝরে যাওয়ার জন্যই রাস্তায় সূর্যের আলোর দেখা মেলে।

বিকাল ও রাত

1000000756.jpg
1000000757.jpg

বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে খাবার খেয়ে লম্বা একটা ঘুম। তারপর, নিজেকে পরিস্কার করে মোবাইল হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ছোট ভাইয়ের নাম্বার থেকে কল আসতেই ওপাশ থেকে জানালো এখনি আমার ট্যাব নিয়ে আসছে। ছোটভাইকে কল করলাম কারণ OTP আসবে ছোট ভাইয়ের মোবাইলে।

ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে মন্দিরের মাঠে গিয়েছিলাম। রাস্তায় একটি বৈদ্যুতিক বাতি লাগানো থাকে কিন্তু আজকে সন্ধ্যার পরে সেটাও বন্ধ ছিল। যে কারণে দুই ভাই-বোন খানিকক্ষণ মশার কামড় খেয়েছিলাম। অতঃপর অপেক্ষার অবসান হলো এবং অনলাইনের ওই লোকটি আমরা বাক্সটি বুঝে নিলাম। আমার রীতিমতো তখনো ভয়ই লাগছিল। কারণ আমি অনলাইনে কোন কিছু কেনাকাটা করতে একদমই পছন্দ করি না এবং এটাই ছিল আমার প্রথম অভিজ্ঞতা।

বক্স খোলার একটা ভিডিও করেছি কিন্তু নেটওয়ার্কের জন্য আপলোড হতে আদেও অত সময় লাগবে বুঝতেই পারছি না। যাইহোক, এরপর বাড়িতে নিয়ে এসেই মোবাইলের সাথে কানেক্ট করে একটু drawing অনুশীলন করলাম। এটা মূলত প্রজেক্টে contribute করার কাজে আমি ব্যবহার করবো।

যাইহোক, সব কাজ সেরেই পোস্ট লেখার জন্য মোবাইল হাতে নিয়েছিলাম। ঘুমাবো অনেক বিলম্ব করে তাই শুভ রাত্রি আর বলছি না। যাইহোক, আমার লেখাটা এখানেই সমাপ্ত করছি।

Sort:  

💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project

@tipu curate

Loading...

IMG-20250228-WA0022.jpg

Curated by @abdullahw2

 14 days ago 

আমাদের এদিকে বর্তমান সময়ে আসলে টেংরা মাছ দেখাই যায় না আপনার ফটোগ্রাফি তে টেংরা মাছ দেখে বেশ ভালো লাগছে। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ চিন্তা করছে বাহিরে না গিয়ে সেই টাকা দিয়ে যদি দেশের মধ্যে মুরগির খামার বা গরুর খামার করা যায় তাহলে ভালো টাকা ইনকাম করা যায় তাই অনেকেই এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।