Better Life with Steem|| The Diary Game|| 5th April 2025
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
রাতে কাজ করতে করতে কখন যেন সকাল হয়েছিল নিজেই বুঝতে পারিনি। আবার আজ ছিল মহা অষ্টমী, ব্রাশ করতে করতে খুব সকালেই মন্দিরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। ঘর থেকে নামতেই ঢাকের শব্দ সাথে উলুধ্বনির শব্দ কানে ভেসে আসছিল। মন্দিরে মন্ডপীগণ ও পুরোহিত দাদুরাই উপস্থিত ছিলেন।
![]() |
---|
বাড়িতে ফিরে এসে আবার বারান্দায় শুয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে একটু মার্কেটের অবস্থা দেখছিলাম। যদিও একটু সবুজ বাতি দেখা যাচ্ছে তবে সেটা যে কতোক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হবে বোঝা যাচ্ছিল না। ইদানিং, মার্কেট যেন আবোল তাবোল একটা অবস্থানে রয়েছে। যাইহোক, স্নান সেরে সকাল নয়টার দিকে মন্দিরে গিয়েছিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
অঞ্জলী দেওয়ার পরেই মন্দিরের বাইরে সকলে প্রসাদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু অনেক লোকজন, অন্যদিকে প্রসাদ তৈরীর লোকজন ও কম। তাই বিলম্ব দেখে পাশেই বড়'দির বাড়ি সেখানে গিয়ে ফ্রিজ থেকে ঠাণ্ডা জল বের করে খেয়ে একটু ভালো লাগছিল।
তারপর আবারো মন্দিরে ফিরে এসেছিলাম। বৌদির থেকে অষ্টমীর মহা প্রসাদ নিয়েছিলাম। এবার বৌদিকে বিরক্ত করার পালা। যাইহোক, জোর করেই বললাম এখনি মন্দিরের মধ্যে যেতে হবে, কারণ মায়ের প্রতিমার সাথে বৌদিকে ক্যামেরাবন্দি করতে হবে।
ইচ্ছে মতো মায়ের প্রতিমার অনেক গুলো ছবি তুলেছিলাম আর কয়েকটাতে বৌদি ও ছিল।
পূজো উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়ার সকল ছোট বড় ভাই বোন একত্রিত হয়েছি। ওই মুহূর্তে কোন কাজও ছিল না কিন্তু সময় তো অতিবাহিত করতেই হবে। কয়েকজনের অনুপস্থিতি ছিল তাই সকলকে কল করে জড়ো করেছিলাম।
![]() |
---|
এই ফলটিকে বলা হয় নল বাউলো যেটা এক কথায় এখন বিলুপ্তির পথে। ছোট এক ভাই খবর দিল পাশেই একটি পুকুর পাড়ে সে এই ফল দেখে এসেছে। তাই সকলে মিলে দলবল বেঁধে এই ফল সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। যেত দলে ভারি ছিল তাই প্রত্যেকে এক দুইটা করে ভাগে পেয়েছিলাম।
এটাকে এক প্রকার জংলি ফলো বলা যায়। আমাদের দেশে এসছে ফলগুলো সচরাচর পাওয়া যায় এটি সেগুলোর মত নয়। তাছাড়া পরিচিতি কম থাকার কারণে হয়তো বা এগুলো মানুষ চাষ ও করে না। এটা কেমন স্বাদের সেইটা নিশ্চিত করছ বলা মুশকিল। তবে এটা সবুজ তাই কিছুটা ভিটামিন সি আছে বলে আমার মনে হয়। পাশাপাশি, এগুলো আপনার আপনি হয় যে কারণে কোনো ক্ষতিকর কীটনাশকের বিন্দুমাত্র স্পর্শ ও এখানে নেই।
![]() |
---|
এরপর সকলে চেয়ার বের করে বটের ছায়ায় বসে গল্প করছিলাম। অনেকদিন বাদেই দেখা হলো অনেকের সাথে। কেউ কেউ ছুটির অভাবে আজ বেড়াতে এসেছে। কিছুই করার নেই, চাকরি এবং উৎসব উভয়ই ঠিক রাখতে হবে।
![]() |
---|
কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠান হবে আর পাঁপড় থাকবে না সেটা হতেই পারে না। বাড়ির জন্য দুই প্যাকেট হাতে নিয়ে চলে আসলাম। বাবা আবার বোনের বাড়িতে যাবে, ওদের নামযজ্ঞ চলছে তাই এখনো আমাদের বাড়িতে আসেনি।
রাতে একদমই ঘুম হয়নি, আবার খিদে পেয়েছে অনেক। তাই স্নান সেরে ভাত খেয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে বসেছিলাম। ঘুম ঠিক না তবে মাথায় ভীষণ ব্যাথা হচ্ছিল। তাই, মোবাইল রেখে চোখ বন্ধ করতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
![]() |
---|
সন্ধ্যা হতেই মা ডেকে দিল। হাত ও মুখে জল দিয়েই মন্দিরে গেলাম। ইতিমধ্যে ছোটরা সবাই রেডি হয়ে চলছ এসেছে নাচ করার জন্য।
আমার এক পিসির মেয়ে, পূজোতে শাড়ি পরে মন্দিরে এসেছে। জন্ম থেকেই ও হার্টের Patient, এই পর্যন্ত ভারতে সম্ভতি৪/৫ বার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কি ফুটফুটে শিশু? মায়ের আশীর্বাদ যেন ওকে পুরোপুরি সুস্থ্য করে দেয় সেইটাই প্রার্থনা করি।
সন্ধ্যায় আবহাওয়া খুব খারাপ ছিল। এক পসড়া বৃষ্টি ও হয়েছ সাথে মেঘের ভয়ংকর আওয়াজ। আজকে ছোটদের নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, সাথে রয়েছে পুরস্কারের ব্যবস্থা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিদ্যুৎ বিভ্রাট কি আর করা।
এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।
মহাষ্টমীর দিনটা আপনারা অনেক বেশি সুন্দর ভাবে পালন করেছেন সেই সাথে আপনি একটা ফলের নাম আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এই ফল আমি কখনো দেখেছি বলে আমার মনে হয় না আপনি বলেছেন এটা এখন একেবারেই বিরক্ত তবে সবাই মিলে একটা গাছের মধ্যে সেটা দেখতে পেয়ে নিয়ে আসার জন্য চলে গেছেন আপনারা পাপড় ভাজা খেতে মনে হয় অনেক বেশি পছন্দ করেন তাই আপনাদের প্রতিটা অনুষ্ঠানের মধ্যে খাবারের সাথে পাপড় ভাজা থাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার আরো একটা দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।