Better Life with Steem||The Diary Game|| 28th July 2025

in Incredible India4 days ago (edited)
1000004984.jpg

Hello Steemians,
যদিও দিদির লেখাটা ঘণ্টা দেড়েক পূর্বেই পড়েছি তবে মন্তব্য করলাম মাত্র। মুড সুইং এর যে বিষয়টা এটা আমার ক্ষেত্রে আজ দুপুরে এক বার হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, বিভিন্ন পরিস্থিতি যেটা আমরা পছন্দ করি না বা মন থেকে একদমই গ্রহণ করতে পারি না এ কারণে ও মুড সুইং। তখন মনে হয় নিজে যেন ৩৬০° কোণে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।

যাইহোক, রাতে আমার বিছানায় যাওয়ার সময়টা ছিল রাত সাড়ে চারটা যে কারণে ঘুমোতে ঘুমোতে প্রায় ভোর হয়ে আসছিল। এক কথায় রাতে ঘুম ভালো হয় নি। এটা আমার কাছে কোনো আশ্চর্যজনক বিষয় না। একটা সপ্তাহের ৫/৬ দিনই আমার ক্ষেত্রে এমনি হয়। যাইহোক, ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই প্রায় সকাল নয়টা বেজেছিল।

1000004964.jpg

সকাল সকাল উঠেই কিছু খেতে ইচ্ছে করছিল না। তবে সকালের ওষুধ তো খেতেই হবে। সকাল সকালই একটা মিথ্যা বলে দিলাম, কারণ এই ওষুধ আর খেতে ইচ্ছে করেনা। তাই মা'কে বললাম ওষুধ খেয়েছি। তারপর মা একটা সিদ্ধ মুরগির ডিম দিয়েছিল ওটা খেয়েই আমি Twitter নিয়ে বসেছিলাম। একটা পোস্ট শেষ করতেই আমাদের পুচকু এসে হাজির। তাঁর সাথে শুয়ে শুয়ে কার্টুন দেখতে হবে।

সাধারণত আমার কোনো ডিভাইসে ঘরের কেউই হাত দেয় না। একমাত্র পুচকুকেই আমি কিছু বলিনা আর পুচকুই হাত দেয়। যাইহোক, এখন আর কিছু করাই যাবে না। তাই আমিও পুচকুর সাথে শুয়ে শুয়ে কার্টুন দেখছিলাম। যদিও ঘুম থেকে উঠেই দেখেছি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু হঠাৎ যেন তীব্র গতিতে বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো।

মাঝেই বৃষ্টি একটু থামতেই আমি ছাতা হাতে বেরিয়ে পড়লাম। রাস্তায় যেতে যেতে ছোটভাইকে কল করে রাস্তায় বেরোতে বললাম। হায়রে হায়! সে তো নাছোড়বান্দা পাবলিক তবে বাজারে যেতে হবে। রীতিমতো কতোক্ষণ বললাম। তখন প্রায় দুপুর হয়ে আসছিল, গ্রামের বাজার ঐ সময়ে দোকান তো খোলা থাকবেই না আবার যদি এমন বৃষ্টি হয়; তাহলে তো কোনো কথাই নেই। যাইহোক, বাজারে যাওয়াটা বন্ধ হলো ।

1000004966.jpg

আমাদের রাস্তার সামনেই এক দাদার মুরগির খামার রয়েছে। হঠাৎ সেখানে পৌঁছাতেই দেখলা একটা বক আমাকে দেখে একটু দূরে গিয়ে বসলো। আমি দ্রুত মোবাইলটা হাতে নিয়েই একটা ছবি তুললাম।

1000004967.jpg

আমি ৮ পুরুষ পর্যন্ত তথ্য জানি তবে বাবার মুখে শুনেছি তার আগে থেকেই নাকি এখানে আমাদের বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। অর্থাৎ ঐ যে দেখবে দাদু, ভাই ও কাকু-জ্যাঠার অভাব নেই। যাইহোক, সামনের দিকে পা বাড়াতেই আবার বৃষ্টি বন্ধ হয়েছিল। তখন দেখলাম আমার এক দাদুর বাড়ির সামনের বাগানে কে যেন উঁকি দিচ্ছে। বিষয় কি? একটু হন্তদন্ত হয়েই সামনে এগিয়ে গেলাম। ওহ ও! দাদু রয়েছে বাগানে। দাদুর সাথে ঐ লোকটা ডাব নারকেলের মূল্য নিয়ে কথা বলছিল।

1000004972.jpg

যদিও ভেবেছিলাম একটা বড় ডাব নারকেলের কাধির ছবি তুলবো কিন্তু বৃষ্টি একদমই অনুকূলে ছিল না। ইতিমধ্যে আবার ছোট ভাই ও চলে এসেছিল। তাই নিজেদের জামাকাপড় শুকনো রাখতেই একটু দ্রুত দাদুর বাড়িতে গেলাম। বারান্দায় কাউকে না দেখে ফ্রিজ খুলে দেখি মিষ্টি, ৪/৫ টা খেয়ে ফেললাম দুই ভাই-বোন। কিন্তু এবার তো জল খেতে হবে, তাই দিদা ও কাকিমাকে জল দিতে বললাম।

ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন বৃষ্টির পরিমাণটা কেমন হচ্ছিল। গ্লাস না থাকায় বারান্দায় ও বৃষ্টির জল ছিটকে ছিটকে চলে আসছিল।

1000004970.jpg

বৃষ্টি একটু থামতেই আবারো রাস্তায় বের হলাম। তবে একটু ভয়ে ভয়েই হাঁটছিলাম, কারণে পথিমধ্যেই তিনটে তাল গাছ যার দুটোতেই তাল হয়েছে। তাছাড়া কয়েকদিন আগে আমি ঠিক এখন যেখানে দাঁড়ানো এখানেই দাঁড়িয়েছিলাম, কাকুর সাথে বাজারে যাওয়ার জন্য। ঈশ্বরের কৃপায় কাকুর মাথায় পড়েনি তাল, যদি এক মিটার পিছনে থাকতো তাহলে মাথার ওপরে তাল পড়তো। যদিও তাল গাছ অনেক উপকারী তবে গাছ লাগানোর সময় এটা মাথায় রাখা উচিত যেন সেইটা যাওয়া আসার পথে না হয়। আমাদের পাড়ায় এখনো দুইজন আছে যাদের মাথার ওপর নারকেল পড়েছিল। যে কারণে মাঝেমধ্যে দেখা যায় পাগলামি শুরু করে মস্তিষ্কের আঘাতের জন্য।

1000004971.jpg

এরই মধ্যে ডাব নারকেল ক্রেতাদের গাড়িতে ওঠানো হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে বৃষ্টি ও থেমেছিল তবে মেঘের অবস্থা একদমই ভালো ছিল না।

1000004973.jpg

এই ছবির কারণেই মুড সুইং হয়েছিল। কারণ অনেক জোরে বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছিল, ছবি তুলতে গিয়েই দেখলাম মন্দিরের বারান্দার নিচে একটা বাই সাইকেল। তবে এটা আমাদের পাড়ার কেউ হবে না এটাতে নিশ্চিত ছিলাম। একটু লক্ষ্য করতেই দেখলাম মন্দিরের বারান্দার ওপর জুতা পায়ে এক ভদ্রলোক। তখন অভদ্রতা আমার মাথায় উঠে বসলো। অন্যদিকে ছোটভাই আমার সাথেই ছিল কিন্তু মোবাইলে কথা বলছিল।

ঐ বৃষ্টির মধ্যে মাত্র একটা ধমক দিয়েছিলাম তখন লোকটা জুতা খুলতে খুলতে আমাকে হাত ✋ উঁচু করে বললো খুলে রাখছি। আমি আর কিছু বললাম না, তবে মনে মনে যেটা ইচ্ছে করছিল সেইটা আর প্রকাশ করছি না। ধর্ম যার যার হোক আমাদের সৃষ্টিকর্তা একজনই এবং আমাদের ধর্মীয় উপাসনালয় গুলো সকলের কাছেই পবিত্র স্থান।

1000004977.jpg
1000004975.jpg
1000004976.jpg

এই বৃষ্টির মধ্যেই দেখলাম নসিমুন ভ্যানে করে কারা যেন বাঁশ নিয়ে যাচ্ছিল। হয়তো মুরগির খামার তৈরি করার জন্যই। অন্যথায় এতো বাঁশ অন্য কোনো কাজে সাধারণত কেউ ব্যবহার করে না। বৃষ্টির কি পরিমাণ হচ্ছে ছবিতে একদমই স্পষ্ট। ইতিমধ্যে হাঁটু অবধি ভিজে গিয়েছিল। তাই, আমি ও বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। ঘরের বাইরে দাঁড়িয়েই মোবাইলটা মায়ের হাতে দিয়ে আমি স্নান সেরে নিয়েছিলাম। তবে এটা আগে থেকেই জানতাম যে আজ আর কাশি থেকে মুক্তি নেই। এমনিতেই এলার্জির ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা, তারপর আবার আজ বৃষ্টির জল লেগেছে।

স্নান সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার Twitter নিয়ে বসেছিলাম। কিছুক্ষণ কাজ করতে করতেই চোখটা বন্ধ হয়ে আসছিল। প্রায় দুই ঘণ্টার মতো ঘুমিয়েছিলাম। উঠে দেখলাম সন্ধ্যা হয়ে আসছে। তাই নিজেকে পরিস্কার করে আমি কম্পিউটার খুলে বসেছিলাম।

1000004983.jpg

এরই মধ্যে মা কফি বানিয়েছিল, আবার পুচকু আমার জন্য খাবার নিয়ে এসেছিল। তারপর কফি খেয়ে আবার পোস্ট লিখতে বসলাম। এভাবেই আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছিলাম।

Sort:  
Loading...

SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted on from the steemcurator07 account.

Thank you for your valuable efforts! Keep posting high-quality content for a chance to receive more support from our curation team.

WhatsApp Image 2025-06-29 at 15.12.51_2f3c3c85.jpg

 3 days ago 

Thank you so much for your response and support.