Better Life with Steem|| The Diary Game|| 26th May 2025
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
আবহাওয়ার সাথে সাথে সময়টাও ভীষণ খারাপ যাচ্ছে। তবে খুব বিগত অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ভালো সময়ের দেখা মেলেনি। যেটা কখনো মাথাতেই আসেনি সেইটাই হয়েছে। তবে হ্যাঁ কখনোই কোনো কিছু অতিরিক্ত করাটা সঠিক না। হতে পারে সেইটা নেতিবাচক বা ইতিবাচক। যেটা হয়েছে ভালোই হয়েছে না হলে হয়তো কখনোই কিছু উপলব্ধি করতে পারতাম না।
যাইহোক, এখন আমি আমার একটি দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করতে চলে এসেছি। রাতে ঘুম একদমই হয়নি যে কারণেই বিলম্ব করে ঘুম থেকে ওঠা। তবে অন্যান্য দিনের মতো কাজের জন্য না। বরং হঠাৎ করেই এমনটা হয়েছিল।
![]() |
---|
যাইহোক, ঘুম থেকে উঠেই দেখলাম কাকিমা ল্যাপটপ রেখে গেছে প্রশ্ন টাইট করার জন্য। তাই, সকালের প্রাথমিক কাজ সেরে হালকা খাবার খেয়েই ঘরের দরজার সিঁড়িতে বসেছিলাম। সকাল হতে না হতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট, তাই বাইরের মৃদু বাতাসে গায়ে লাগাতেই সিঁড়িতে বসেছিলাম। প্রায় এক ঘন্টা বসে টাইপের কাজ শেষ করেছিলাম।
![]() |
---|
যদিও তিন বার ভাত খাওয়া হয় তবে ইদানিং ২০১৭ সালের মতো সেই শারীরিক সমস্যা কিছুটা অনুভব করছি। যে কারণে একদমই খাবারে কোনো রুচি নেই। এই কারণেই খাবারের সময় মা ও বাবার বকুনি শুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে রাত জেগে tutorial ও কাজ করার জন্য প্রায় মাঝ রাতে খিদে পায়।
প্রতি রাতেই কিছু না কিছু খাওয়া হয়ে থাকে। ঐ রাতে ও খাবারের জন্য ফল কেটেছিলাম। তবে ধারালো ছুরিটা হাতে ছিল এটা মনে ছিল না। কোনো একটা কাজে মনোযোগ দিতেই কিভাবে যেন ঐ ধারালো ছুরিটাতে একটা আঙ্গুল খুব বাজে ভাবেই কেটেছিল। যদিও মা ঐ মূহুর্তে ঘুম রেখে উঠে এসে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছিল কিন্তু রক্ত যেন বন্ধই হচ্ছিল না। তাই আবারো ব্যান্ডেজ খুলে ওষুধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ লাগানো হয়েছিল।
![]() |
---|
সম্ভব ব্যান্ডেজ করার সময় কোনো বালুকণা বা কিছু একটা ঐ ক্ষতস্থানে লেগেছিল। যে কারণে প্রচুর যন্ত্রণা হচ্ছিল। তবে এমন যন্ত্রণা হচ্ছিল যে আমি ঐ দিন নিজে স্নান ও করতে পারিনি। যাইহোক, কোনোরকম মা স্নান করিয়ে দিলেই আমি ছোটভাইকে সাথে নিয়ে এক ডাক্তারের চেম্বারে গিয়েছিলাম।
![]() |
---|
তাছাড়া ইদানিং নেটওয়ার্কের মূল্য বেড়েই চলেছে আবার মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় তাই Wifi এর জন্য একটা অণু নিলাম ডাক্তারের ওখানকার কাজ শেষে। বাকি রাউটার ও অন্যান্য সব আগেই রেডি করেই রেখেছিলাম। শুধু এই অণুটাই বাকি ছিল।
![]() |
---|
ফেরার পথে দেখলাম বাজারে উত্তর দিকে এক ভাই লোহার কি যেন করছে তবে পড়ন্ত বিকেলের রোদ্দুর যেন তাঁর সাথই ছাড়ছিল না। জিজ্ঞেস করতেই জানালো সারাদিন নাকি এই একই স্থানে বসেই কাজ করেছে। খানিকক্ষণ চিন্তা করলাম প্রয়োজন মানুষকে কতোটা অসহায় করতে পারে?! কোনো কাজ ছাড়া বাইরে পাঁচ মিনিট সূর্যের প্রখরতায় টিকে থাকাই মুশকিল আর সেখানে সারাদিন।
![]() |
---|
আকাশে মেঘের ঘনঘটা, আবার কাছে কোনো পলিথিন ও নেই। বৃষ্টি পড়লে মোবাইলকে রক্ষা করার কোনো উপায় যদিও এটা Water Proof. দূর থেকে মনে হচ্ছিল একটু সামনে গিয়ে হাত বাড়ালেই বোধ হয় মেঘকে স্পর্শ করা যাবে যেটা হয় আর কি!? যাইহোক, বৃষ্ট আর হয়নি তখন, বিশ মিনিট পরে আমাদের বাজারে পৌঁছেছিলাম । যাহ বাবা! একটু দুশ্চিন্তা মুক্তই লাগছিল।
বাড়িতে ফিরতে ফিরতে প্রায় বিকেল পাঁচটা বেজে ছিল। আমার আবার পুকুরে মাছ খাবার দেওয়া ও দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাতের সমস্যার জন্য খাবার দিতে যাওয়া হয়নি, তবে মাছ ঠিকই দেখতে গিয়েছিলাম। মাছেরা যেন ঝগড়া করছিল এতো বেশি আওয়াজ হচ্ছিলো যেটা ভিডিওটা দেখলেই বুঝতে পারবেন।
![]() |
---|
গোধূলি লগ্ন আগত তাই বাড়িতে ফিরে নিজেকে পরিস্কার করেই পি সি তে বসেছিলাম। এভাবেই ঐ দিনটা অতিবাহিত করেছিলাম।