Better Life with Steem|| The Diary Game|| 25th April 2025

in Incredible Indialast month
1000002747.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
গরমে ঠাণ্ডা লেগে দুর্বল হয়ে গেছি, তাই বেশ কিছুদিন ধরেই পোস্ট লেখা হচ্ছে না। অনেক চেষ্টার পরে লেখার জন্য বসলাম। ইদানিং, শুধুমাত্র আমার না আমাদের আশেপাশে ও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এমনকি আমার মায়েরও দেখছি জ্বর জ্বর।

যাইহোক, এখন আমি আমার একটি দিনের সকল কার্যক্রম উপস্থাপন করবো।

1000002674.jpg

আমাদের এলাকায় এখন ধান কাটার কাজ চলছে কিন্তু প্রকৃতি যে প্রতিকূলেই অবস্থান করছে। মাঠে ধান কাটা অথচ ঝড় বৃষ্টি যেন লেগেই রয়েছে। সকল কৃষকের মুখ যেন মলিন হয়ে রয়েছে। আমার পরিবার ও এই খারাপ সময়ের মধ্যেই রয়েছে। যদিও অন্যদের আমাদের ধান গাছ কাটা হয়নি তবে দুশ্চিন্তা তো হচ্ছেই। সকালের নীল আকাশ এবং ক্ষেতের সোনালী ধান দেখলেই যেন মনটা উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। আমাদের পুকুরের পূর্ব পাশে অনেকে ধান কেটে মাঠে শুকানোর পর মাড়াইয়ের জন্য আলাদা করে রেখেছে।

1000002676.jpg

আমাদের এলাকায় ইতিমধ্যে বাঁধ কেটে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। তাই, পুকুরের জল কমিয়ে মাছ ধরা ও প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে আমাদের পুকুরের মাছ ধরা ও শেষ। বাকি ছিল বড় কাকুর পুকুর, তাই ছুটির দিনে কাকু ও মাছ ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য আমাকে কেউই বলেনি মাছ ধরার কথা। কারণ বাড়ির সকলেরই অবগত যে আমার দীর্ঘদিন যাবৎ ঠাণ্ডার জন্য অবস্থা খারাপ।

ইতিমধ্যে, পুকুরের জল কমে গিয়ে তলানিতে সকলেই মাছ ধরায় ব্যস্ত। আমি তো পশ্চিম পাশের জমিতে না গেলে জানতেই পারতাম না যে মাছ ধরা চলছে। মাছ ধরার থেকে কাঁদা মাখানোর লোকজন বেশি।

1000002678.jpg
1000002679.jpg

ছবির ছোটদের অবস্থা দেখুন, নরম কাঁদা মনে হয় আর পুকুরে অবশিষ্ট থাকবেই না। আমার বড়দির ও অফিস ছুটি তাই বড়দি ও মাছ ধরার পাশাপাশি কাঁদা মাখায় যোগ দিয়েছে। একটা তথ্য দিয়ে রাখি পুকুরে মাছ চাষের জন্য কিন্তু এই নরম কাঁদা উপযুক্ত না। বরং এই কাঁদা প্রতি বছর এই সময়ে উঠিয়ে ফেলতে হয়। তবে মাছ ধরার সময় যদি এভাবে বেশি ঘেটে দেওয়া হয় সেইটা কাঁদা উঠানোর ক্ষেত্রে ঝামেলার সৃষ্টি করে।

মাটির সম্পূর্ণ অংশ কিন্তু ফসল বা মাছের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না। কৃষিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে ১৫-২০ সে.মি যে মাটির পুষ্টিগুণ উপস্থিত থাকে। তাই এই কাঁদা ওঠানোর পরে কিন্তু আলাদা করেই মাটির যত্ন করতে হয়, নচেৎ মাছ এবং ফসল কোনোটাই ভালো হয় না। আমার মাছ ধরা দেখলেই মাথা আর কাজ করে না। কারণ সেই শৈশব থেকেই আমার মাছ ধরাতে খুব ভালো লাগে।

1000002685.jpg

মাছ ধরা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে ছোটদের সাথে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়েছিলাম। তবে ইদানিং কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে, কয়েকদিন বাদেই পশ্চিম পাশের জমিতে আর লোকজন থাকবে না। এমনকি একটু বাদেই আমার বাবা-মা ও এখানে থাকবে না। যে কারণে ঐ দুটি শিশু একদমই নিরাপদ ছিল না। তাই ওদের সাথে কথা বলে আমিই ঘুড়ির দড়ি টেনে ঘুড়িটা নামালাম।

1000002688.jpg
1000002689.jpg

যাছ ধরার পরের দৃশ্য দেখুন যেভাবে স্নান করা চলছে। ইচ্ছে করেই বেশি বেশি কাঁদা মাখানো নচেৎ মায়ের বকুনি শুনতেই হবে। যাইহোক, আজ আর বকবে না তাই আমার ছোট্ট ভাইয়েরা ইচ্ছে মতো স্নান করছিল।

বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে দুপুরের খাবার শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তবে বাড়িতে পছন্দের মাছ ছিল না তাই আগেই মা'কে বলে রেখেছিলাম আমি বাজারে যাবো। ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই বিকেল হয়ে আসছিল। তাই নিজেকে পরিস্কার করে রেডি হয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম।

1000002740.jpg

বিশ্ববিখ্যাত এবং আমাদের দেশের সেই জাতীয় মাছ ইলিশ। তবে ছবিতে মাছ দেখে ছোট মনে হলেও এটা কিন্তু অনেক বড় মাছ। যাইহোক, মাছ তো আমার এই বড়টাই পছন্দ হয়েছে। এক কেজি তিনশত গ্রাম ওজন, যার প্রতি কেজি মাছের মূল্য বর্তমান বি ডি ২০০০৳। মূল্য যেমনই হোক পছন্দ বলে কথা তাই নিয়েই নিলাম। যদিও ঋতুকালীন স্বাদ পাওয়া যাবে না তবে ইলিশ তো ইলিশই হবে।

বাড়িতে ফিরতে ফিরতেই সন্ধ্যা নেমেছিল। এভাবেই ঐ দিনটা অতিবাহিত করেছিলাম।

Sort:  

Congratulations @piya3, your post was upvoted by @supportive.

Loading...