Better Life with Steem|| The Diary Game|| 24th February 2025
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
হঠাৎ যেমন গরম তেমনি আবার মশার অত্যাচার যেটা খুব বিরক্তিকর। আমার তো প্রতিদিন প্রায় ২টা মশার কয়েল লাগে। কারণ আমি মশারি ছাড়া ঘুমোতে পছন্দ করি, তাই বিকেলেই মশার কয়েল কাছাকাছি রাখতে হয়। অন্যদিকে রাত তো পড়েই রয়েছে। তাছাড়া এখনো ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে আসে পাশে যে কারণে মশার কয়েলের কোনো বিকল্প নেই।
এখন আমি আমার একটি দিনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চলে এসেছি। তাহলে চলুন বিলম্ব না করে দৈনন্দিন কার্যক্রমে চলে যাই।
![]() |
---|
সকালে ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই প্রায় দুপুর। ব্রাশ হাতে নিয়েই হাঁটতে হাঁটতে আমি পশ্চিম পাশের বিলে গিয়েছিলাম। ধান গাছের চেহারা বেশ ভালোই দেখাচ্ছে চারদিকে। যদিও লোকজন গবাদিপশু বেঁধে রাখে তবুও কখন ছুটে যায় সেইটা বলা যায় না। তাই মাঝেমধ্যেই ধানক্ষেতে যেতে হয়। তাছাড়া সবুজ ধানক্ষেত পরিদর্শন করতে কার না ভালো লাগে।
![]() |
---|
এই যে দেখুন আমি যাওয়ার পথেই দেখি একটি গরু কে যেন বেঁধে রেখেছে। মূলত ঘাস খাওয়ানোর জন্য এই গরুটির মালিক তাকে বেঁধে রেখেছিল কিন্তু কিভাবে যেন ছুটে চলে এসেছে ধান ক্ষেতে। যে কারণে ওই ধান ক্ষেতের মালিক ছায়া জায়গায় নিয়ে এটাকে বেঁধে রেখেছে।
এই সময়ের ধান গাছে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার এবং ওষুধ ব্যবহার করা হয়। গবে দিবসকে ঘাস খাওয়ানের ক্ষেত্রে খুব বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিগত বছর আমাদের পাশে একটি ধান ক্ষেতের ঘাস খেয়ে একটি গরুর মৃতপ্রায় অবস্থা হয়েছিল।
![]() |
---|
আবার জলকরের জল কমেছে, পাশাপাশি চোরের উপদ্রব ও বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটামুটি সাধারণ মানুষের অবস্থা একদমই নাজেহাল। সুযোগ পেলেই চোর মহাশয় টপ করে পুকুরে নেমে মাছ ধরে নিয়ে যাবে।
![]() |
---|
![]() |
---|
বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে একটু পি সি যে বসেছিলাম। কিছু সময় অতিবাহিত হতে না হতেই কাকাতো ভাই-বোন স্ব-দলবলে উপস্থিত তাঁদের সাথে পশ্চিম পাশের বিলে যেতে হবে। আমার নতুন মোবাইলে ছবি তুলে ফেইসবুকে আপলোড করবে।
সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসলে মা বললো আমার এক কাকাতো ভাইয়ের জন্মদিন সেখানে যেতে হবে। তবে অনেক কাজ pending ছিল তাই আগে পি সি তে বসেছিলাম। একটা কোডিং ভিডিও দেখলাম তারপরে আরো কিছু transaction এর কাজ শেষ করেই ঐ কাকুর বাড়িতে গেলাম।
![]() |
---|
কাকিমা নিজ হাতে আমার ছোট্ট ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে কেক তৈরি করেছিল। আমি যেতেই বললো কেকটা দেখো তো কেমন হয়েছে? আমি বিলম্ব না করেই ফ্রিজে গিয়ে দেখলাম একটা না দুইটা কেক তৈরি করেছে। আমার কাছে মোটামুটি ভালোই হয়েছিল কেক দুইটা। সব রেডি কিন্তু আমার কাকু বাইরে ছিল ছোট কাকুকে নিয়ে আসার জন্য।
অপেক্ষা করতে করতে প্রায় রাত আটটার কাছাকাছি তখনি বাইকে করে আমার দুই কাকু চলে এসেছিল।
![]() |
---|
![]() |
---|
জন্মদিন কার? এটা বোঝা মুশকিল। সমবয়সী অনেক শিশুরাই উপস্থিত ছিল। আমার ছোট ভাই তো লজ্জা পাচ্ছিল কেক কাঁটতে। জন্মদিন আমাদের বংশীয়ভাবে কখনোই জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে উৎযাপন করা হয় না। কারণ বড় রা বলেন যে অনেক আগেই এইরকম একটা অনুষ্ঠান করার পরে নাকি আমাদের বাড়িতে অনেক বড় একটা দূর্ঘটনা ঘটেছিল।
সত্যি বলতে এটাকে কুসংস্কার বললে হয়তো ভুল হবে না। কিন্তু আমি পূর্বপুরুষের প্রথা বা রীতিমতো অবজ্ঞা করতে একদমই ইচ্ছুক না। এক কথায় এখানে আমাকেও আপনারা অনেকে সেকেলে মনে করতে পারেন।
জন্মদিনটা কিন্তু শুধুমাত্র কেক কাঁটা, খাওয়া-দাওয়া বা হৈ হুল্লোড় না। জন্মদিন মানে বড় ছোট সকলের আশীর্বাদ। লক্ষ্য করলেই দেখবেন বয়োজ্যেষ্ঠরা শিশুদের কিভাবে আশীর্বাদ করেন। যাইহোক, কেক কাঁটা শেখ তারপর খাওয়া দাওয়া করেই আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
এভাবেই ঐ দিনটি অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।