Better Life with Steem||The Diary Game|| 22th August 2025
![]() |
---|
Hello Steemians,
দিনটা ছিল শুক্রবার, সবার অফিস ছুটি তাই বাড়িতে সকলে উপস্থিত ও ছিল। অন্যদিকে বর্ষাকাল, আর বৃষ্টি যেন পিছু ছাড়ছিল না। আমার তো স্পষ্টই মনে আছে বিগত বাংলা মাসের শুরু থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল আর তখন বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ বলছিল এই মাস জুড়েই বৃষ্টি হবে। কিন্তু আবার নতুন মাসে একই কাহিনী শুরু করেছে বৃষ্টি।
যে কারণে বাইরে রান্নার কোনো উপায় ও ছিল না। যদিও বেশি লোকজনের আয়োজন না তবে আমরা গ্রামে থাকার সুবাদে কোনো অনুষ্ঠানের সময় যৌথ পরিবারের মতোই আয়োজন করি। যেখানে ছোট হলেও হিসেবে বসলে সর্বোনিম্ন পঞ্চাশজন লোক তো হবেই। অনুরূপভাবে আমাদের এই আয়োজনের লোকসংখ্যা ছিল পঞ্চান্ন।
খাবারের পদ:-
১) বেগুনি
২) মুড়িঘণ্ট
৩) ভেটকি মাছ ভুনা।
৪) ইলিশ মাছ
৫) রুই মাছ
৬) বাগদা চিংড়ি
৭) দেশি মুরগির রোস্ট
৮) রাজা হাঁসের মাংস
৯) মটন
১০) ডিম
১১) চাটনী
১২) দই
১৩) মিষ্টি ইত্যাদি।
তাহলে চলুন ঐ দিনের সম্পূর্ণ কাজকর্ম গুলো দেখে নি লেখা ও ছবির মাধ্যমে।
![]() |
---|
আমি সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগেই পুচকি চলে এসেছিল আমাদের বাড়িতে। কি আর করা এবার আর না উঠে উপায় নেই। তাই দ্রুত ঘুম থেকে উঠেই নিজের কাজ কর্ম শেষ অরে পুচকুকে বিরক্ত করছিলাম। কি দূরত্ব! হয়েছে একটা ছবি তুলতে গিয়েই আমার অবস্থা নাজেহাল। এদিকে বড় কাকিমা চেঁচামেচি করছে, কিছুদিন আগেই একটা অপারেশন করিয়েছেন ঐখনো শাড়ি কোমরে লাগাতেই সমস্যা তার ওপর আবার আজকের এই কাজ।
![]() |
---|
ভোরের দিকে নাকি আকাশের কোথাও মেঘের চিন্হ মাত্র ছিল না। কিন্তু হঠাৎ মেঘের আগমন ঘটতে শুরু করেছিল। ছাদের ওপর দেখেই আমাকে বিরক্ত করছিল কাকিমা যাতে আমি কাকুর ঘরে যাই। এদিকে মা ও মেহমানদের রান্নার কাজে ব্যস্ত। তাই আমি দ্রুত কাকিমার ঘরে গিয়েই লুচি আর ডাল খেলাম সকালের খাবারে। বড়'দি ইতিমধ্যে চলে এসেছিল এবং ফল কাটা ও সালাদ তৈরি সম্পন্ন।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
আমি ও রূপম একটা বাঙ্গির খবর পেয়েই বাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। যদিও এখন এই ফলের সময় না কিন্তু আমাদের এলাকায় পাওয়া যায় এবং একদমই তাজা। ইচ্ছে করলে ক্ষেতে গিয়ে ও তুলে নিয়ে আসা সম্ভব। যাইহোক, একটু তাড়াহুড়ো করেই যাচ্ছিলাম। তবে হঠাৎ চোখ পড়লো একটা পুরনো নারকেল গাছের মাথায়। এই গাছটা অনেক উঁচু, সম্ভবত ১০০/১২০ ফুট উঁচু তো হবেই।
![]() |
---|
তখন দুপুর মোবাইলে কথা বলতে বলতে একটু রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। ওপাশ থেকে কাকাতো বোন বললো ওরা গিলাতলা বাজার পর্যন্ত চলে এসেছে, অর্থাৎ ১৫ মিনিটের মধ্যেই আমাদের বাড়িতে চলে আসবে। সেই সুযোগে ধমকে এই পিচ্চিদের পুকুর থেকে উঠিয়ে বাড়িতে ফিরছিলাম।
![]() |
---|
হঠাৎ বিকট আওয়া পেলাম, তাছাড়া ভয় তো লাগবেই কারণ আমাদের দেশে যখন তখনই বিমান মাথার ওপর পড়তে পারে। যেটা কিছুদিন আগেও একবার ঘটেছে। যে কারণে অনেক নিষ্পাপ শিশুর প্রাণ অকালে ঝরে পড়েছে। পৃথিবী উল্টে যাবে কিন্তু মোবাইল যেহেতু হাতে ছবি তো তুলবোই।
![]() |
---|
আত্মীয়-স্বজন চলে এসেছিল, আমি ও রেডি হয়ে কাকুর ঘরে গেলাম। জল খাবারের পর্ব শেষ, তখন শুরু হলো তা খাওয়ার পর্ব। চিনি ছাড়া চা খাওয়া লোকজন ও ছিল। তাই তাদের জন্য একটু বিলম্ব করতে হলো। কিন্তু এই বিলম্বটাই সমস্যা সৃষ্টি করলো। চায়ের জন্য কারেন্ট ব্যবহার করে জল গরম করা হচ্ছিল কিন্তু ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
গরম জল আমার বড়'দি নিয়ে গিয়েছিল যেটা বড় কাকিমা বুঝতে পারেনি। এমনিতে চিনি ছাড়া বার ঠাণ্ডা জল!! আমি তো কাকিমাকে বলেই বসলাম ওরে পাতি অনেক বেশি পড়ে গেলো কিন্তু চায়ের রং হচ্ছে না কেন। ওদিকে যে ঠাণ্ডা জল এটাই তো মাথায় ঢুকছে না। অবশেষে ঐ দুইজনের কপালে চা ই জুটলো না।
![]() |
---|
মাংসের ঘ্রাণে আমার যেন খিদে একটু বেশিই পেয়েছিল। তাই নিমন্ত্রিত অতিথিদের খাওয়ার পরেই আমি ইচ্ছে মতো হাঁসের মাংস নিয়ে ও দই প্লেটে নিতে খেতে শুরু করলাম। খাওয়া শেষ এভার হজম তো করতেই হবে। পাশের বাড়ির এক ঠাকুরমা ঘরে যাচ্ছিল , টেনে এনে তারা এক নাতনীর সাথে বিড়ালের ঝগড়ায় জল দেওয়া মতো একটা ব্যবস্থা করলাম। খানিক্ষণ সবাই মিলে অনেক হাসাহাসি ও মজা করলাম।
![]() |
---|
আবার অঝোরে বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। একটা গাড়ির দরকার ছিল, তাই ছাতা ☂️নিয়ে বাজারে গিয়েছিলাম। মূলত, বাড়িতে কোল্ডড্রিংকস খেয়ে আমার পোষায় নি, তাই বাজারে যাওয়ার। বাবাকে পেয়ে সুবিধাই হলো, কারণ আমি সাধারণত সম্পূর্ণ একটা কোল্ডড্রিংকস কখনোই খাইনা। একটা গাড়ি ঠিক করে ওঐ গাড়ি করে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
ততোক্ষণে বোন ও বোনের শাশুড়িকে রেখে অন্যরা বাড়িতে ফিরে গিয়েছিল এবং সন্ধ্যা ও হয়ে আসছিল। এভাবেই ঐ দিনটা অতিবাহিত করেছিলাম।
Curated by: @anasuleidy
@anasuleidy,,, thank you so much 😊 ma'am ❤️.