Better Life with Steem|| The Diary Game|| 20th March 2025
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
বাসন্তী পূজো একদমই সন্নিকটে, আমাদের মন্দিরের প্রতিমার কাজ ও অনেকটা এগিয়েছে। তবে মন্দিরটা অনেক পুরনো এবং অনুন্নতই। যাইহোক, আমাদের যা আছেই সেইটাই ভালো, পাশাপাশি উন্নতির প্রচেষ্টা ও চলমান।
পূর্ব থেকেই পরিকল্পনা করা ছিল যে আজ আমি ও কয়েক ভাই-বোন মিলে মটর চালিয়ে জল দিয়ে মন্দিরের ধূলো পরিষ্কার করবো। যাইহোক, প্রতিদিনের মতো সকাল দশটার দিকে ঘুম থেকে উঠেই আমার কাজ গুলো শেষ করেছিলাম।
![]() |
---|
আমার সকাল দশটায় হলে কি? অন্যদের সকালি৫/৬টায় হয়। আমার কাকাতো ভাই-বোনেরা খেলছিল। হঠাৎ সোরগোল আজকে নাকি ঝড় হবে। এটাকে নিয়েই শুরু হয়েছে তাদের কার্যক্রম। লাঠির মাথায় মাটি লাগিয়ে তাঁরা সাংবাদিকদের মতো অভিমত সংগ্রহ করছিল। কি একটা ব্যাপারটা! একদমই তিলকে তাল করছিল। আকাশে তাকিয়ে দেখলাম মেঘের ঘনঘটা যেন আকাশ খানিকটা মাটির কাছাকাছি মনে হচ্ছিল। এই চেঁচামেচিতে কান একদম স্তব্ধ হয়ে আসছিল।
![]() |
---|
ওদের যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাড়ি থেকে মন্দিরের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম।
দেখুন একটু সময় বাঁচাতে গিয়ে কি অবস্থা?
কয়েকটা পা বাড়াতেই পেছন থেকে ভারী চেঁচামেচির শব্দ কানে ভেসে এলো। প্রথমত, রাস্তা কম প্রশস্ত অন্যদিকে দ্রুত গতি। একটি ইজিবাইক, বড় বাঁচা বেঁচেছে। হয়তো ঈশ্বর ঐ ব্যক্তির সহায় , নচেৎ এতোক্ষণে নিশ্চিত পুকুরের মধ্যে থাকতেন। তিন/সাড়ে তিন লাখ টাকার গাড়িটা নষ্ট তো হতোই।
আমাদের পথেঘাটে কখনোই তাড়াহুড়ো করা উচিত না। একটু সময় বাঁচাতে গিয়ে মূল্যবান জীবনটা হারাতে হয়।
![]() |
---|
মটরের সংযোগ ঠিক করতে করতেই প্রায় এক ঘন্টা পার হয়ে গেল। তাছাড়া বাড়ি ও বের দূরে, ছোট ছোট ভাই-বোন ছিল ওদের দিয়েই তার গুলো নিয়ে এলাম।
![]() |
---|
মটরে জল ওঠানো একটা ঝামেলার কাজ। যদি হাওয়া পাইপে থাকে তাহলে জল বের হবে না। মগে করে নয়ন জল দিল কিন্তু তখনই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। অন্যদিকে আকাশ ও মেঘাচ্ছন্ন।
![]() |
---|
ভাইয়েরা আজ ধরা পড়েছে, এমনিতে তো কোনো কাজই করে না কিন্তু আজকে খুব সক্রিয়। পাড়ার সকলে মিলেমিশে আমরা প্রতিবছর মন্দিরের অনুষ্ঠান উৎযাপন করি যে সময়টা আমাদের জন্য খুবই উপভোগ্য। পাশাপাশি, এবার আমাদের মন্দিরের কমিটিতে পরিবর্তন এসেছে যেখানে যুবকদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে সেইটা ভালোই হয়েছে, এবার যেন একদমই নিজের মনে করেই সকলে উদ্যোগী হয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেছে।
![]() |
---|
হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ পেলাম, তারপর মন্দিরের সামনের মাঠে জল দেওয়া হচ্ছিল। মাঠের ধূলো না কমলে মন্দিরের ধূলো কমানো একদমই সম্ভব না।
![]() |
---|
মন্দিরের ভেতর এবং বারান্দায় জল দেওয়া শেষ, তাই এখন বাইরে দেওয়া হচ্ছিল। বাইরের দেয়ালের রংটা একদমই নেই। আমরা খুব শীঘ্রই রং দেওয়ার ব্যবস্থা করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মূহুর্তের মধ্যেই দমকা হাওয়া এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। আমাদের কাজে মনে হয় স্বয়ং মা দূর্গার আশীর্বাদ যুক্ত হলো। কারণ কোনো কাজ শেষ হতেই যদি পুষ্প বৃষ্টি হয় তাহলে সেইটা ঈশ্বরের আশীর্বাদই।
![]() |
---|
আমার কাছে দুটো মোবাইল ছিল যেটা ভিজে যাওয়ার ভয়ে আমি দৌড়ে বাড়িতে চলে এসেছিলাম। যদিও বৃষ্টি হলো তবে মেঘের গর্জন ছিল না। আমাদের মোরগ ভায়ার ও অনেক আনন্দ হয়েছে বৃষ্টির জল পেয়ে। পাশাপাশি, আমাদের এলাকায় এখন জমিতে ধান ফলছে যেটার জন্য বৃষ্টির সবচাইতে বেশি প্রয়োজন। ইতিমধ্যে বিকেলে , আবার বৃষ্টি ও থেমেছিল। তাই আমি দ্রুত স্নান সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
শরীরটা ভীষণ ক্লান্ত লাগছিল তাই বিশ্রাম করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সন্ধ্যা হতে বিশেষ বাকি ছিল না যে কারণে ঘুমটা লম্বা সময়ের হয়নি।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
আসলেই ছোট বাচ্চারা যেভাবে বাসের মধ্যে মাটি দিয়ে মাইকের মত করে সবার কাছে নিজেদের মনের অনুভূতি জানার চেষ্টা করছে সেটা সত্যিই অসাধারণ যেহেতু আপনাদের পূজার সামনে তাই আপনারা এখন থেকেই মন্দিরের পরিষ্কার করার কাজ করছেন বর্তমান সময়ে চারপাশে প্রচুর পরিমাণে ধুলাবালি তাই আপনারা মোটরের পানি দিয়ে সেই ধুলাবালি কিছুটা সরানোর চেষ্টা করছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।