Better Life with Steem|| The Diary Game|| 16th November 2024
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
বাংলা বর্ষ পঞ্জিকা অনুসারে আজকে কার্তিক মাসের শেষ দিন। এই দিনে আমাদের এখানে আমরা একটা বিশেষ অনুষ্ঠান উদযাপন করি। যেটাকে এক কথায় মজার ছলেই করা হয়। সত্যি বলতে এটার সম্পর্কে আমার একদমই কোনো ধারনা নেই। তবে কোনো এক বৃদ্ধাকে নিয়ে কেউ কেউ আবার মন্তব্য ও করে যেটা আমার কাছে অনেকটা কাল্পনিক মনে হয়।
সব মিলিয়ে অনেক ভালো একটা দিনই অতিবাহিত করেছি। যদিও এই মুহূর্তে মনটা একটু খারাপ, কারণ একটা গোটা মাছ ভাজি খাবো কিন্তু মা সেটা কেটে তিন খণ্ড করে ফেলেছে। যাইহোক, চলুন তাহলে মূল লেখাতে ফিরে যাওয়া যাক।
Morning
![]() |
---|
একটা জমির দলিল নিয়ে বেশ কিছুদিন দৌড়াদৌড়ি করছি যেটার একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করানোর ছিল। তাই সকালে চা খেয়েই বাজারে গিয়েছিলাম। যেহেতু, শীতের সকাল তাই অনেকেই বিছানা ছাড়লেও ডিউটিতে যোগ দেন নি। অর্থাৎ সকল দোকানে এখনো দোকানদারেরা আসেনি। তবে কাজটা করাতে হবে তাই একটি দোকানের সামনে থাকা বেঞ্চে বসলাম।
চড়ুই পাখি দেখলাম অনেক দিন বাদে। শৈশবে ধান শুকাতে উঠোনে মেলে দিলে চড়ুইয়ের ঝাঁক কোথা থেকে যেন আসতো আর ধান খেত। অন্য কিছু না হলেও চড়ুইদের জন্য পাহারা দিতে হতো। সময়ের আবর্তনে সেই পাখি গুলো এখন আর দেখাই যায় না।
Noon
![]() |
---|
এরই মধ্যে আমার কাজটাও শেষ এবং সোরগোল শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখলাম রাসমেলায় যাওয়া ভক্তরা বাড়িতে ফিরে এসেছে। গ্রামের ছেলেরা ফিরে এসেছে যেটা দেখে বেশ ভালোই লাগলো। তবে এখানে সকলে কিন্তু ধর্মীয় ক্রিয়া পালনের জন্য যায় না। বরং অন্যান্য সময়ের থেকে এই সময়ে প্রশাসনের অনুমতি দেওয়ার নিয়ম সেই সুযোগে অনেকেই ঘুরতে যায়।
![]() |
---|
বাংলাদেশকে এই কারণেই বলা হয় নদীমাতৃক দেশ, দেখুন জল ছাড়া এখানে আর কিছুই নেই। এখানে গেলে মনেই হয় না যে স্থল বলে কিছু আছে। এই বন্ধুর পথ অতিক্রম করে নৌ-পথে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বছরের এই দিনে কূয়াকাটার এই বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগদান করে। যেখানে হাজারো সনাতনীর আগমন, সাথে উলুধ্বনিতে মুখরিত হয় পবিত্র সাগরের পাড়। পূজো শেষে পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করে হাজারো নর-নারী।
![]() |
---|
মাসের পর মাস সাগরের জলে ভেসে মাছ ধরে জেলেরা। আমাদের এলাকার অনেকেই আছে এই জেলে পেশাতে। যে কারণে ওখানে পৌঁছালে আর মাছ কিনে খেতে হয় না। আপনারা যে মাছটি দেখছেন এটাকে বলে "মোচন-গাগঢ়া" যেটার ওজন ছিল তেরো কেজির মতো। এমনি এটা উপহার হিসেবে দিয়েছিল এক জেলে আমাদের গ্রাম থেকে যাওয়া ছেলেদেরকে খাওয়ার জন্য।
![]() |
---|
এইটা হলো সেই শাপলা পাতা মাছ যেটার ওজন যেমনই হোক হাড্ডি খুব নরম এবং অনায়াসে চিবিয়ে খাওয়া যায়।। ছবিতে যে মাছটি দেখছেন সেটার ওজন ৬০কেজির মতো। তবে ভয়ের বিষয় হলো এই মাছের লম্বা লেজ থাকে এবং লেজের গোঁড়ায় একটা বিষাক্ত কাঁটা ও থাকে। যদি কোনো মানুষ এটাতে কোনোরকম আঘাত পায় তাহলে তাঁকে বাচানো একদমই সম্ভব না।
এই তিনটি ছবি কিন্তু আজকের না কিন্তু আমি আমার এক বন্ধুর মোবাইলে দেখছিলাম তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমার তো এই দৃশ্য দেখে মনেই হচ্ছিল হয়তো এখানে যাওয়ার একটা সুযোগ হাতছাড়া করলাম। ছবিতেই এতো সুন্দর তাহলে বাস্তবে না জানি কতোটা সুন্দর?
Afternoon and Evening
স্নান শেষ করে খেতে যেতে বিকেল হয়েছিল। তাই একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম, এরই মধ্যে মামার ছেলে কল করলো আসছে। তাড়াহুড়ো করে বিছানা ছেড়ে মা'কে ডেকে বিষয়টা জানালাম। চাকরি সূত্রে স্বাগতম পটুয়াখালীতে থাকে, বাড়িতে কদাচিৎ আসে। পিসি অর্থাৎ আমার মায়ের সাথে একবার হলেও দেখা করে যায়।
![]() |
---|
![]() |
---|
কলা গাছের শুকনো ডগা দিয়ে একটা ঘরের মতো তৈরি করা হয় আজকের দিনে যেটা সাধারণত শিশুরা করে। যেটা আমার মনেই ছিল। আমার ছোট ছোট ভাই বোনেরা সন্ধ্যায় এসে আমাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল তাঁদের কর্মকান্ডে সামিল করতে।
যাইহোক, বেশ মজাই হয়েছিল। এভাবেই আমি আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
শীতের সকালে অনেক দোকান খোলা থাকে না। একটু দেরি করে বেশির ভাগ বাজারে দোকান খোলা দেখা যায় শীতের সময়। যাইহোক আজ আপনার মনটা খুব বেশি ভালো ছিলো না। আপনি একটি আস্ত মাছ ভাজি করে খাবেন। কিন্তু আপনার আম্মা সেটা কেটে ফেলেছে। এটা আন্টি ভারী অন্যায় করে ফেলেছে আপনার সাথে। যাইহোক জমির কাগজের জন্য আপনি বাজারে গিয়েছেন কিন্তু বাজারে দোকান খোলা না থাকার জন্য বসেছিলেন সেখানে।
বাজারে বসে থেকে আপনি চড়ুই পাখি দেখতে পেয়েছেন এটা একদম ঠিক যখন বাড়ি ধান আসে তখন চড়ুই পাখির জন্য বসে থাকতে হতো জানিনা এখন এটা দেখা যায় কি না যাই হোক আপনার একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।