Better Life with Steem|| The Diary Game|| 16th May 2025

in Incredible India19 days ago
1000003473.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
বৌ-ভাতের দিনটা ছিল আর একটি স্মরণীয় দিন। ইচ্ছে করেই শুক্রবার করা হয়েছিল, কারণ আমাদের দেশের সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। সকলের উপস্থিতি ছিল আমার একমাত্র প্রত্যাশা। চলুন বিলম্ব না করে আমরা মূল লেখাতে ফিরে যাই।

1000003394.jpg

সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাবা মামার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল। আমার ঘুম থেকে উঠতে বিলম্ব, তাই বাবাকে রাতেই বলে রেখেছিলাম যেন আগেই বাবা চলে যায়। যাইহোক, অন্যান্য দিনের তুলনায় আমি একটু আগেই বিছানা ছেড়ে ছিলাম।

ঘুম থেকে উঠেই ব্রাশ করতে করতে অটোচালককে কল করে বললাম বিশ মিনিটের মধ্যে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি দ্রুত স্নান সেরে রেডি হতে হতেই অটো চলে এসেছিল। সকালে আকাশে মেঘ তাই একটু গরম কমাব মনে হচ্ছিল। মামার বাড়ি পৌঁছে দেখি বোনের মেয়ে দুষ্টুমি করছিল।

1000003342.jpg

মেয়ের বাড়ি থেকে আজ নতুন আত্মীয়-স্বজন আসবে, পাশাপাশি বাড়ি ও অন্যান্য নিমন্ত্রিত অথিতিরা তো রয়েছেই। কাচ্চির পাশাপাশি, মুরগি বিরিয়ানির ও প্রস্তুতি চলছিল। আমার অনেক ক্ষুধা লাগছিল, তাই সুযোগ করেই খাওয়ার কাজটা সেরে নিয়েছিলাম।

1000003355.jpg

গরমে সবার মেজাজ কড়া, এই যে এক পাশের বাড়ির মামি সেই মুডে রয়েছেন। অপর পাশে আমার মাসিমণিরা চেয়ারে বসে আড্ডা ও দিচ্ছিল। রান্নাটা সম্পূর্ণই বাবুর্চিদের দায়িত্বে তাই খানিকটা দুশ্চিন্তা মুক্তই সকলে। আলাদা করে খাবার সার্ভ করার কোনো লোকজন ছিলানা। কারণ আমার ভাই-বোনের সংখ্যা বেশি থাকায় ওটা নিয়ে ও আমাদের কোনো চাপ নেই।

1000003348.jpg

খাবারের টেবিল ঠিক করছিল ভাইয়েরা, নচেৎ নতুন আত্মীয়-স্বজন চলে আসলে তখন আর এগুলো গোছানো সম্ভব হবে না। তাছাড়া টেবিলে খাবার সার্ভের জন্য আগেই সকলকে টেবিল বুঝিয়ে ও দিতে হবে।

1000003368.jpg

হঠাৎ মেহমানদের কল তাঁরা প্রায় চলেই এসেছিল। আমরা প্রথমেই জল খাবারের পর্ব পেরেছিলাম। তারপর বাইরে পাখার সামনে আমরা কয়েকজন এভাবেই বসেছিলাম। ঘরে গরমে থাকাই যাচ্ছিল না। আগের সেই দিন থেকে কিছুটা বেরিয়েই নতুন বৌকে বাইরে নিয়ে বসেছিলাম।

1000003403.jpg

আবহাওয়া কেমন যেন ভালো মনে হচ্ছিল না , তাই বোন, বাবা ও বোনের মেয়েকে আগেই ইজিবাইক ঠিক করে উঠিয়ে দিয়েছিলাম। আমাদের ভুল হলেও আমাদের পিচ্চি ঠিকই সবাইকে বিদায় জানাচ্ছিল। তারপর আমি ও মা বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম।

1000003408.jpg

এ বাবা! সে কি? আমাদের বাজারে 3300° ভোল্টেজের তার টানছিল। আমি তো রীতিমত অবাকই হলাম। বৃষ্টি শুরু হলেই গাছের ডাল পালা ইত্যাদি ইত্যাদি, এইসব কারণ প্রতিনিয়তই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মতো খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পল্লী বিদ্যুৎ যে কারণে এই সমস্যা আরো বেশিই হয়।যে যাই বলুন বিদ্যুৎ sector এ যাঁরা কাজ করে তাদের অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজই করতে হয়।

1000003432.jpg

অনেক দিন হলো আইসক্রিম খাওয়া হয় না তাই মা'কে বাড়িতে পাঠিয়ে দোকানে বসেই আইসক্রিম খেলাম। সবে গোধূলি কিন্তু ঝড়ো ঘেমের কারণে চারদিকে যে অন্ধকার গ্রাস করেছে, মনে হচ্ছিল ইতিমধ্যে রাত নেমেছে। আবহাওয়ার জন্য শান্তিতে আইসক্রিম খাওয়া হলো না। থেকে থেকে আবার মেঘের গর্জন যেন মাটি কেঁপে উঠছিল

1000003438.jpg
1000003440.jpg

গাছের জন্য মেঘের ভয়ংকর চেহারাটা দেখা যাচ্ছিল না। তাই হাত-পায়ে জল দিয়েই ছাদে গিয়েছিলাম। তখন দমকা হাওয়া শুরু হয়েছিল, মনে হচ্ছিল বাতাসে সামনে এগোতে বাঁধা সৃষ্টি করছে। তবে ছবি তো তুলতেই হবে। মোবাইলে জল লাগলেও সমস্যা নেই তাই জলের ভয়টা ও নেই।

দমকা হাওয়ায় আম পড়তে শুরু করেছে, আম কুড়াতে হবে। কারণ বোনের মেয়ে আমের শব্দ পেয়ে চেঁচামেচি শুরু করেছিল। তবে এই অবস্থায় তো আর বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। একটাই উপায় আম পড়লেই কুড়িয়ে এনে তাঁকে দেখাতে হবে। মামার বাড়িতে গরম একটু বেশিই মনে হয়েছিল। তাই শরীর ও বেশ ক্লান্ত ছিল।

এভাবেই শুক্রবার দিনটা অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Sort:  
Congratulations! Your post has been upvoted by Team 3.


IMG-20250418-WA0030.jpeg

Curated by : @josepha

 18 days ago 

@josepha,

Thank you so much for your valuable support.

Loading...