Better Life with Steem|| The Diary Game|| 15th April 2025

in Incredible Indialast month
1000002361.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
নববর্ষ উদযাপনের দিন, তাই ব্যতিক্রমী হবে এটাই স্বাভাবিক। যদিও শেষ রাতে ঘুমাতে গেছি কিন্তু সকাল সাতটার দিকে বাবা মায়ের ডাকাডাকিতে ঘুম ভেঙেছিল। তবে সত্যি বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করছিল না। এরই মধ্যে নগর কীর্তনের শব্দ কানে ভেসে এলো। তাই বিলম্ব না করে ব্রাশ করলাম, তারপর দ্রুত স্নান সেরে নিয়েছিলাম।

বিগত কয়েকবছর আগের এই নববর্ষের দিনটা মিস করি। যখন আমি পুলক কাকু, ও ভাইদা বাড়িতে সমবয়সী তিনজন ছিলাম। এই দিনে কে কার আগে ঘুম থেকে উঠতে পারে, রীতিমতো প্রতিযোগিতা হতো। কিন্তু দেখুন সময় কিভাবে মানুষের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়। আজ এই বিশেষ দিনে পুলক কাকুকে দেখতেই পারলাম না। পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, যদিও সাত দিনের ছুটিতে বাড়ি এসেছিল কিন্তু পাঁচ দিনের মধ্যে আবারো কর্মস্থল ঢাকাতে চলে যেতে হয়েছে।

1000002332.jpg

যাইহোক, পহেলা বৈশাখ মা -বাবাকে প্রণাম করে আমিও পাড়ার সকলের সাথে নগর কীর্তনে বেরিয়েছিলাম। তবে এ বছর অনেক পরিচিত মুখ আমাদের মাঝে উপস্থিত নেই। প্রথমেই দুই কাকুকে ধরাধরি করেই ছবি তুললাম।

1000002333.jpg

প্রতি বাড়ির আঙ্গিনায় এভাবে ফল কেটে দেওয়া হয়েছে, নগর কীর্তনে আমরা যারা ছিলাম তাঁরা বালতি এবং গামলায় করে এগুলো নিয়ে যাচ্ছিলাম। এগুলো সব মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে এবং পাড়ার সকলে একত্রিত হলেই বিতরণ করা হবে। পঞ্চাশ জন মানুষের পক্ষে এতো ফল খাওয়া সম্ভবই না। তাছাড়া এটা আমাদের বংশ পরম্পরায় একটা রীতি সেই অনেক আগে থেকেই প্রচলিত।

1000002336.jpg

হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়েছিল কিন্তু নগর কীর্তন তো সমাপ্ত করতেই হবে। এই যে দেখুন মুহূর্তের মধ্যেই কি একটা অবস্থা হয়েছে। আমাদের সার্বজনীন পূজা মন্দিরের সামনের একটি নারকেল গাছ উপড়ে পড়েছিল। যথেষ্ট পরিমাণে বাতাসিও সাতে ভারী বৃষ্টি ও হয়েছিল। আমরা সকলেই বৃষ্টিতে ভিজেছি।

1000002334.jpg

একশতোর্ধ্ব বছর বয়সী ঠাকুরদা, আমাদের পাড়ার সব থেকে বেশি বয়সী ব্যক্তি। ইনি আমার সেজো ঠাকুরদা যিনি এখনো রীতিমতো ৫/৬টা গরুর দেখাশোনা করেন। যেটা এখনের ২৫/৩০ বছর এক ব্যক্তির জন্য ও অনেক কষ্টকর। প্রকৃতপক্ষে, আগের দিনের মানুষেরা খুব বেশি পরিশ্রমী যে আমার মনে হয়।

কি মনোযোগ দিয়ে প্রসাদ খাচ্ছিল? যে আমি এতগুলো ছবি তুললাম বুঝতেই পারেনি।

1000002337.jpg

আমার একটু বিলম্বই হয়েছে মন্দিরে পৌঁছাতে কারণ নগর কীর্তন অবস্থা খারাপ। তাই বাড়ি থেকে চেঞ্জ করে দ্রুত মন্দিরে বসে ছিলাম যখন কাকুরা প্রসাদ বিতরণের শেষের দিকে চলে এসেছিল। আর আমার কাছে প্রসাদের পরিমাণটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ না প্রসাদ পেলেই হবে। তাই একটু আগেই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম অন্যদের খোরশেদ দেওয়া সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত।

1000002338.jpg

আমি শুধু মাত্র খিচুড়ি নিয়েছিলাম। তারপর ঐ পড়ে থাকা নারকেল গাছের দিকেই যাচ্ছিলাম। ওখানে অনেকেই বসে গল্প করছিল। আমিও গরম গরম খিচুড়ি কলার পাতার করে নিয়ে ঐ গাছের উপরে বসে খেয়েছিলাম।

1000002342.jpg

বাড়িতে ফিরে আবার মায়ের সাথে পাশেই মামার বাড়িতে ভগবতি পূজোতে গিয়েছিলাম। এই পূজোর প্রধান প্রসাদ হলো বাড়িতে মাটির পাত্রে দুধ থেকে তৈরি করা দই যেটা টক স্বাদ প্রকৃতির।

1000002348.jpg

প্রসাদ নিয়ে বাড়িতে ফারে ফ্রেশ হয়ে একটু বিশ্রাম নিয়েছিলাম। এরপর ছোট ভাইয়ের পায়ের সেলাই কাটানোর জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। ঐ যে মায়ের পূজোর সময় কাঁদা মাটি মাখানোর সময় ঘটে যাওয়া সেই দূর্ঘটনা। যাইহোক, মোটামুটি আর কোনো সমস্যা ছিল না। অন্যদিকে আমার চোখের জন্য ও ওষুধ নেওয়ার দরকার ছিল। আমিও ঐ সুযোগে ওষুধ নিয়ে নিয়েছিলাম। সন্ধ্যা প্রায় তাই তখন বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।

এভাবেই আমার আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। লেখাটা এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Sort:  
Loading...