Better Life with Steem|| The Diary Game|| 14th May 2025

in Incredible India20 days ago
1000003452.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
হঠাৎ একটি স্মরণীয় দিন যে কারণেই বিগত ৪/৫ দিন অনেক ব্যস্ত ছিলাম। আমি এখন আমার ভাইয়ের বিয়ের দিনের কার্যক্রম তুলে ধরবো।

ইং, ১৪ই মে ২০২৫ মামির থেকেই প্রথম নিমন্ত্রণ তারপর আমার মামা। যদিও আশীর্বাদ পর্বে গরমের জন্য আমি উপস্থিত হইনি কিন্তু বিয়ের দিনটা আর এড়িয়ে যেতে পারিনি। যেহেতু, আমাদের ভাই-বোন সকলে মিলে ২০ জন তাই আমাদের দায়িত্ব গুলো ভাগ করাই ছিল। মাঝে পরিকল্পনা ছিল ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদ পরিদর্শন। এটা যেন আমার ছোট্ট জেলা শহরের একটা অন্যরকম পরিচিত যেটার কারণে সমগ্র বিশ্বিএই জেলা সম্পর্কে অবগত।

1000003383.jpg

সকালে সাধারণত আমার ঘুম ভাঙ্গে না তাই ইচ্ছে করেই রাতে আর ঘুমাই নি। সকাল সকাল প্রাতঃকৃত্য শেষ করে আমি রেডি হয়ে মামার বাড়িতে প্রায় সকাল নয়টার দিকে পৌঁছেছিলাম। সকলেই আমার জন্য অপেক্ষা করছিল।

দুই মাসিমণি, দুই দিদি ও ভাইয়েরা মিলে বাগেরহাট গিয়েছিলাম বর ও বউয়ের বিয়ের সকল পোশাক ক্রয় করতে। এ সি গাড়ির জন্য গরম অনুভব হচ্ছিল না। তবে এটার পরে কখন আবার সবাই একত্রিত হবো কেউই জানিনা তাই সকলকে সাথে নিয়ে ষাটগম্বুজ মসজিদে গেলাম। সর্বোচ্চ দশ মিনিট ছিলাম কিন্তু স্মৃতিতে রাখার জন্য কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম।

1000003193.jpg

বাড়িতে ফিরতে ফিরতে আমাদের দুপুর প্রায় একটা বেজেছিল তখন সবে ভাইয়ের গায়ে হলুদ পর্ব শেষ এবং স্নান করাচ্ছিল বৌদি ও আমার দিদিমার দল। একটা বিরক্তিকর ব্যাপার বৌদিরা যেন কোনো কিছুই মানছে না। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগের আমার মাথায় ও মুখে অন্য ভাই-বোনের সাথে হলুদ মাখিয়ে দিল। কিন্তু গরমে মাথা গরম, দৌড়ে ধরে হলুদ তো হাতেই নেই তাই খানিকটা কাদাই মাখিয়ে দিলাম। এটা একটা আনন্দের বিষয় কিন্তু আমার এইসব বিষয়ে অতিরিক্ত করাটা একদমই পছন্দ না। এক কথায় রাগের মাথায়ই এমন করেছিলাম যাতে পরে আর আমার ধারে কাছে না ঘেঁষে। যদিও ছোট ও সেঝো মাসিমণি আমাকে বুঝিয়ে খানিকটা শান্ত করেছিল কিন্তু রাগই যাচ্ছিল না।

1000003197.jpg
1000003198.jpg

এইবার ভাইয়ের বিয়েতে আমাদের আশীর্বাদ পর্ব যেটা বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। আমরা কয় বড় ভাই-বোন, মা-মাসিমণি, মামি সকলে একত্রে আশীর্বাদ পর্ব শেষ করে ভাইকে রেডি করতে শুরু করলাম। ভীষণ গরম সকলেই হাঁপিয়ে উঠেছিল। গ্রামে আবার পল্লীবিদ্যুৎ কখন যেন চলে যায়?

1000003221.jpg

আমাদের বরযাত্রী হিসেবে পঞ্চাশজন যাওয়ার কথা তাই সকলের রেডি হয়ে একত্রিত হওয়া ও গুরুত্বপূর্ণ। আমি তখনও হলুদ মাখা, স্নান করার সময় পাইনি। গোধূলি লগ্নে বিয়ে তাই ভাইয়ে আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দিতে হবে সেই কাজই চলছিল। মামা-মামি বরণ করে বরযাত্রীসহ ছেলেকে বিদায় জানালো।

1000003247.jpg

আমার জন্য দিদিরাও ভাইয়ের সাথে যায়নি, তাই আমি দ্রুত স্নান সেরে রেডি হয়ে দিদিদের সাথে গিয়ে দ্রুত গাড়িতে বসলাম। আমরা পৌঁছাতে পৌঁছাতে বিয়ে প্রায় সমাপ্ত। শুধুমাত্র হাত খোলা ও যোজ্ঞটাই বাকি ছিল।

1000003263.jpg
1000003262.jpg
1000003268.jpg

হাত খোলার জন্য আবার মেয়ে পক্ষের বৌদিদের টাকা দিতে হবে সে আর এক যন্ত্রনা। যাইহোক, দাদারা ঐ দিকটা সামলাচ্ছিল। তবে বেশ কিছু সময় তর্ক বিতর্ক পর্ব উপভোগ করলাম। অবশেষে হাত খোলা ও বর-কনেকে খানিকক্ষণ বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া হলো।

1000003272.jpg

বড়'দির মেয়ে ও ছোট'দির ছেলের কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম আমি ঐ রাতে আবার বাড়িতে ফিরে যাবো তাই খাবারের জন্য একটু আগে ভাগেই বসলাম। খাওয়া শেষ করে আমি ও দিদিরা বাড়িতে ফিরে যাবো তাই অপেক্ষা করছিলাম গাড়ির জন্য।

1000003275.jpg

খাওয়ার পর গাড়ির জন্য অপেক্ষা করা অবধি বিয়ের যজ্ঞের পর্ব দেখছিলাম। এরই মধ্যে দিদির কল পেয়ে মামা বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম।

1000003297.jpg

বড়'দির মেয়েকে অনেক গুলো ছবি তুলে দিতে হবে, মামার বাড়ির সদর দরজায় পা রাখার স্থানেই। তাই একটু কষ্ট হলেও কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম। অন্যদিকে মামিদের পায়েস পর্ব চলছিল। এটা ও বংশ পরম্পরায় প্রচলিত একটা রীতি। যেখানে ছেলে বড় সাজে বাড়ি থেকে বেরোনোর পরে ছেলের বাড়িতে পায়েস রান্না করা হয়, তবে এই পায়েসের একটা দানা ও থাকা যাবে না যখন নতুন বউকে বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।

তখন রাত এগারোটা, তাছাড়া এলাকার পরিস্থিতি ও ভালো না। যে কারণে কেউই আমাকে ঐ রাতে বাড়িতে ফিরতে দিবে না কিন্তু আমি তো বাড়িতে আসবোই। তাই, ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে যে গাড়ি সেগুলোর একটাতে বাবাকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।

এভাবেই ভাইয়ের বিয়ের দিনটি উপভোগ করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটা এখানেই সমাপ্ত করছি।

Sort:  
Loading...