Better Life with Steem||The Diary Game|| 13th August 2025

in Incredible India14 days ago (edited)
1000005374.jpg

Hello Steemians,
আবারো আজ চলে আসলাম একটা দিনের সকল কার্যক্রম নিয়ে। তবে বলে রাখি আমি কিন্তু ইদানিং সি আই ডি দেখতে দেখতেই পোস্ট প্রস্তুত করি। যেখানে আগে শব্দ ছাড়া একটা শব্দ লেখতে এবং পড়তেও পারতাম না সেখানে এখন এই সি আই ডি সিরিজ দেখে দেখে লেখার অভ্যেস হয়ে গেছে।

অভ্যেসকে বর্তমানে খানিকটা জলের মতো মনে হচ্ছে।

1000005349.jpg

সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের কাজ শেষ করে সকালের খাবার খেয়েছিলাম। তারপর মোবাইল হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ এদিক ওদিক দেখছিলাম। পাশাপাশি আমি যে প্রজেক্টে ambassador এবং mod এর দায়িত্বে রয়েছি সেখানকার সদস্যদের সমস্যার সমাধানের জন্য টিকিট খুলে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলাম।

আমি বারান্দার ঘাটে শুয়ে মোবাইলে কাজ করছিলাম কিন্তু বারান্দার নিচে কিছু পাখি এসে কিচিরমিচির করছিল। যদিও জন্মগতভাবে আমরা স্বাধীন কিন্তু পাখিদের দেখলেই বোঝা যায় স্বাধীনতা কি? তাই আমি পাখিদের সুযোগ দিয়ে একটু রাস্তার দিকে বেরিয়ে পড়লাম।

1000005351.jpg

ঘর থেকে নেমে সামনে এগোতেই দেখলাম আমার একটা ছোট্ট ভাই বড়শি আর বড়শির জন্য চিংড়ি মাছ প্রস্তুত করছিল। শৈশবে আমিও স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে এভাবে বাবার সাথে মাছ ধরতে যেতাম। বিশেষ করে বর্ষার এই সময়টাতে বড়শি দিয়ে ভেটকি মাছ ধরতে অনেক মজা।

1000005354.jpg
1000005355.jpg

খুব সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে যে কারণে রাস্তার বেশিরভাগ অংশ এবং গাছের পাতা ভিজে। বৃষ্টির জল দেখা যাচ্ছিল এই লতা জাতীয় গাছের ফল গুলোতে। কিন্তু এটা পুকুর পাড়ে অন্য গাছের উপর ছিল যে কারণে খুব কাছ থেকে আমি ছবি তুলতে পারিনি। এক কথায় ছবিটা আমার মনের মত হয়নি।

1000005356.jpg

আমার গোল্লা দাদুকে দেখলাম অনেক দিন বাদে কোমর সোজা করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে। বিষয়টা অন্যরকম মনে হতে পারে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু বিগত তিন মাস আগে থেকে কোমরে এতটাই সমস্যা ছিল যে ডাক্তার সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকতে বলেছিল। শুধুমাত্র টয়লেট ছাড়া বাইরে যাওয়া এক প্রকার বন্ধই ছিল।

এই দাদু পেটুক প্রকৃতির একজন মানুষ, অন্যদিকে খুব মজারও বটে। আমাদের পাড়ার কারো বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠানের খবর পেতে বিলম্ব হলেও দাদুর পৌঁছাতে বিলম্ব হয় না। দাদা খুবই সাহায্যপরায়ণ একজন ব্যক্তিত্ব।

1000005360.jpg

রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাছ ধরা দেখছিলাম যেখানে ৭ বছরের একটি শিশু তার বাবার সাথে জলে নেমে মাছ ধরছিল। তবে মাছ ধরার থেকে সাঁতার কাটার উদ্দেশ্যটাই বেশি ছিল। মোবাইলে সময় দেখে স্নানের উদ্দেশ্যে বাড়িতে ফেরার জন্য হাঁটতে শুরু করেছিলাম।

1000005363.jpg

ফেরার পথেই ডানদিকে একটি মুরগির খামার যেখানে পাড়ার এক কাকিমা এসেছিল মুরগি কেনার জন্য। সাধারণত আমরা কাউকে কোনো কিছু ক্রয় করে নিয়ে যেতে দেখলে মূল্য জিজ্ঞেস করি। কিন্তু আমি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে খামারে পালন করা মুরগি একদমই খাই না, এ কারণেই আমার কাছে বিরক্ত ও দুর্গন্ধযুক্ত মনে হয় খামার এবং মুরগি দুটোই।

1000005364.jpg

আর একটু সামনে যেতেই দেখলাম আমাদের পুরনো বাড়ির ভেতর থেকে বাজারের কাছের এক কাকু ঘাসের বস্তা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছেন। আমি আপনাদের পূর্বেই বলেছি যে আমাদের গ্রামে প্রায় প্রতিটি ঘরেই গবাদি পশু বিশেষ করে গরু পালন করা হয়। তাছাড়া এই গরু গুলোর ৯৫% দেশি যে কারণে অনেকটা ঘাসের উপরেই নির্ভর করে।

কিন্তু সমস্যার বিষয় হলো এই বর্ষা ঋতুতে বিলে গরু বেঁধে রেখে ঘাস খাওয়ানো সম্ভব না। কারণ বাঁধের মাটি নরম ও আলগা থাকে আর গরু হাটাহাটি করলে বাঁধ ভেঙ্গে যায়। যেটা পুকুর বা জলকরের মালিকেরা একদমই allow করেন না।

1000005365.jpg

বাড়িতে ফিরে এসেই স্নান সেরে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম এবং মায়ের জন্য ওষুধ ক্রয়ের কথা ছিল। যে কারণে আমি খাওয়ার পরপরই ঘর থেকে বেরিয়েছিলাম। পথিমধ্যেই দেখলাম কাকাতো ভাই-বোনেরা একসাথে ঘরের বাইরে বসে বই পড়ছিল। ওদের সাথে কিছুক্ষণ দুষ্টুমি করে আবার বাজারের উদ্দেশ্যে পা বাড়িয়েছিলাম।

1000005366.jpg

আমাদের বাজারের কিছুটা আগেই একটা বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে সেখানে এক মানসিক ভারসাম্যহীন কাকুর সাথে দেখা হয়েছিল। আমার উল্টো দিকেই এই কাকু যাচ্ছিল কিন্তু পেছন থেকেই আমাকে ডেকে বললো তাকে মুড়ি কিনে দেওয়ার জন্য। আমি দোকানে আসার কথা বলতেই আমার পিছু পিছু চলে এসেছিল। আমি আমার কাজ রেখে কাকুকেই আগে মুড়ি কিনে দিয়েছিলাম কারণ পরে হয়তো দেখা নাও হতে পারে।

1000005368.jpg

আমি মায়ের জন্য ওষুধ ক্রয় করার পর দেখলাম আমার কয়েকটা বন্ধু একটা জায়গায় জড়ো হয়ে সোরগোল করছে। বিষয়টা ছিল অফিশিয়াল বাইক যেটা অনেক সময় খুবই অল্প মূল্যে লোভের বশবর্তী হয়ে মানুষ ক্রয় করে। কিন্তু এটা যে কোনো দেশের আইনবিরোধী একটা কাজ।

1000005373.jpg

আমার তেমন বিশেষ বাজারে কাজ ছিল না শুধুমাত্র ওষুধ ক্রয় ছাড়া। কিন্তু এই সোরগোলে অংশগ্রহণ করতে গিয়েই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছুক্ষণ দোকানে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। বৃষ্টি বন্ধ হতেই আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম তখন সন্ধ্যা হয়ে আসছিল।

এভাবেই আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।

Sort:  
Loading...