Better Life with Steem||The Diary Game|| 12th July 2025
![]() |
---|
Hello Steemians,
আমার আজকের সকালটা শুরু হয়েছিল রৌদ্রজ্জ্বল একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ একটু সকাল সকালই ঘুম ভেঙেছিল কিন্তু শরীরটা ভীষণ ব্যাথা লাগছিল। কারণ বিগত দিন ঢাকাতে যাওয়া এবং আসার কারণে শরীরের ওপর অনেক বড় একটা ধকল গিয়েছে। তাছাড়া রাস্তাঘাট ও অনেকটা ভাঙ্গা যে কারণে ঝাঁকুনিতে বেশি সমস্যা মনে হচ্ছিল।
সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম সাড়ে নয়টার দিকে, ব্রাশ করে সকালের ওষুধ খেয়ে হালকা খাবার খেয়েই একটু মোবাইল হাতে নিয়ে বসেছিলাম। সত্যি কথা বলতে এখন ড্রপ সেক্টরে কাজ নেই বললেই চলে। তবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বেশ কিছুদিন পূর্বেই একটা প্রকল্পে নিজের অবস্থান করে নিয়েছি। তাই মোটামুটি প্রতিনিয়তই কিছু না কিছু কাজ থাকে।
![]() |
---|
অনেকদিন পর আজ রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া এবং প্রচন্ড গরম অনুভুতি হচ্ছিল। তাই চিন্তা করলাম একটু রাস্তাতে বের হই। তাছাড়া আজ শনিবার স্কুল এবং কলেজ বন্ধের দিন, অর্থাৎ পাড়ার সকল ভাই বোনেরাও টুকটাক রাস্তায় থাকবে। মন্দিরের সামনে পর্যন্ত পৌঁছাতেই দেখলাম মজুমদার ভবনের সামনে পড়ার ছোট ভাইবোনেরা একত্রিত হয়েছে। অর্থাৎ তারা খেলার জন্য পরিকল্পনা করছে, দল ভাগাভাগির একটা বিষয় রয়েছে।
![]() |
---|
হঠাৎ চোখ পড়লো আমাদের পুরনো বাড়ির সামনে ছোট কাকুর পুকুরের দিকে কাকু জাল হাতে নিয়ে এসেছে। পুকুরে মাটি পর্যন্ত পৌঁছানো যায় না, কারণ পুকুরে মেশিন দিয়ে বালি কাটানো রয়েছে। তাছাড়া বৃষ্টির কারণে পুকুরে এখন অনেক জল । তবে কাকুর হাতে জাল দেখেই বুঝলাম যে কাকু মাছ ধরার জন্য পুকুরে খাবার ফেলে গেছে হয়তো কিছুক্ষণ আগে। আমি চেচিয়ে বললাম কাকু থামো, আগে জাল ফেলার দরকার নেই। আমি ছবি তুলবো, এটা বলেই দৌড়ে গিয়েছিলাম কাকুর কাছে।
![]() |
---|
![]() |
---|
জাল ফেলার পরে কাকু আমাকে বলল বলতো জালে এবার কি মাছ উঠবে? আমি বললাম কাকু এটা বলা সম্ভব না তবে তুমি জালের দড়িটা আমার কাছে দাও তারপর আমি বলে দিচ্ছি জালে কি মাছ পড়েছে এবং কি মাছ উঠবে। এবার আর কাকুর কিছু বলার উপায় নেই তবে বলল এটা আমি জানি তাই জালের দড়ি দেওয়া যাবেনা। তবে স্পর্শ ছাড়াই মনে হচ্ছিল জালে বড় মাছ পড়েছে আমি চালাকি করেই বললাম চিংড়ি বাদে অন্য যে মাছ উঠবে সেইটাই আমার। কাকুও রাজি হয়ে গেলো।
![]() |
---|
জাল ওপরে তুলতেই দেখলাম একটা বড় রুই মাছ উঠেছে। কাকু ইচ্ছে করেই যেন জালটা এক টানেই উপরে তুলে রাস্তার উল্টো দিকে গিয়ে রেখেছিল যাতে মাছটা পুনরায় জ্বলে না পড়তে পারে। যদিও প্রথমদিকে আমি একটু সংকোচবোধ করছিলাম কিন্তু কাকু একটা ধমক দিয়েছিল। মূলত আমার বোনের মেয়ে অর্থাৎ কাকুর নাতনী ওকে উদ্দেশ্য করেই বলল তুই মাছ নিয়ে যা। এটা ওর জন্যই, কারণ এতো জলে এই জালে কোনো মাছ তোলা একদমই সম্ভব না।
বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে আমাদের পুকুরে জল থাকে না তাই আজ থাকার প্রশ্নই আসে না। ইতিপূর্বেও অনেকবার আমার বোন আসলে আমি গিয়ে নিজেই কাকুদের পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে এসেছি। তাছাড়া এই মুহূর্তে টাকা হলেও ভালো মাছ পাওয়া বাজারে মুশকিল। সামুদ্রিক মাছ খাওয়া তো একদমই নিরাপদ না। মাসে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যে কারণে মাছগুলো টাটকা দেখতে মনে হলেও খেতে একদমই সুস্বাদু না এবং স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ভালো না।
![]() |
---|
![]() |
---|
বাড়িতে মাছ রেখেই আমি আবারো রাস্তায় বেরিয়ে ছিলাম। তখন পাড়ার ছেলেরা অর্থাৎ আমার ছোট ভাইয়েরা বল হাতে নিয়ে মাঠের দিকে যাচ্ছিল। ফুটবল খেলাটা দেখতে আমার মোটামুটি ভালো লাগে কিন্তু আমার কাছে অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়। আমাদের যে মাঠে পাড়ে ছেলেরা ফুটবল খেলে বিগত ২০ দিন পূর্বেই আমার এক কাকুর পা ভেঙে গিয়েছিল সেখানে।
কারণ সাধারণত গ্রামের এই মাঠগুলো শুধুমাত্র খেলার জন্য ব্যবহৃত হয় না বরং মানুষ তাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করে। যে কারণে মাঠে গর্ত এবং কার্ড ও ইটের টুকরা ইত্যাদি দেখা যায়। বিশেষ করে ফুটবল খেলার সময় এই ধরনের ছোট ছোট কাঠের টুকরো বা ইটের টুকরো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার যদি গর্ত থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
ইদানিং আমি একটু সকাল সকাল এই স্নান করি তাই দুপুর একটা বাজতেই আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। তারপর স্নান সেরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে নিজেকে পরিষ্কার করে গরম গরম একটি ডিম ভাজি খেয়েছিলাম।
যেহেতু অনেকদিন বাদে সারাদিন রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া যাদের গবাদি পশুর রয়েছে তারা সকলেই প্রায় গোয়াল থেকে গবাদি পশু বাইরে বের করেছে।
গরুর ছোট বাছুরের সাথে দুষ্টামি করতে আবার বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে। তাই কিছু সময় বাছুরকে বিরক্ত করেছিলাম। আমার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে দৌড়ে কাকুর ঘরে উঠেই জলের মগ ফেলে দিয়েছিল। আমি এদিকে পরিবেশ ভারী দেখেই হাত-পায়ে জল লাগিয়ে ঘরে চলে গিয়েছিলাম। এভাবেই আজকের সারাটা দিন অতিবাহিত করেছি।