Better Life with Steem||The Diary Game|| 11th August 2025
![]() |
---|
Hello Steemians,
সন্ধ্যা থেকেই পি সি তে বসে রয়েছি, এখন আর কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। তাই হালকা খাবার খেয়ে সি আই ডি এর একটা নতুন পর্ব অন করে পোস্ট লেখার জন্য বসেছি। এখন বাংলাদেশ সময় রাত দশটা, তাই এদিক ওদিক না করেই লেখার জন্য কিছু ছবি একত্রিত করলাম Thumbnail এর জন্য।
![]() |
---|
গতকাল মা আনারসের কথা বলেছিল কিন্তু সামনাসামনি পাইনি। অন্যদিকে একটু বেশি টাকার মাছ নিয়েছিলাম যে মাছগুলো ছিল সামুদ্রিক এবং রাসায়নিক কোনো ওষুধ ছাড়া। ঐ কারণে মাছ গুলো নিয়ে দ্রুত বাড়িতে ও ফেরার দরকার ছিল। আজ সকাল দশটার দিকে এক ছোট ভাই কল করে বাজারে আনারস নিয়ে আসার জন্য বললো। আমি ঐ কলেই ঘুম থেকে উঠেছিলাম, কারণ মায়ের আবদার বলে কথা।
সত্যি বলতে আমি সত্যিই লাকি যে আমার মা-বাবা আমার সাথেই। সেই জন্ম থেকে সকল আবদার পূরণ করেছে আমার মা-বাবা। এটা অনেক অনেক আনন্দের যে আমার মায়ে আবদার আমি পূরণ করছি। হয়তো ঐটা মূল্যবান না কিন্তু মায়ের আবদার তাই ওটা আমার কাছে মহামূল্যবান।
![]() |
---|
আনারস হাতে নিয়ে খুশি মনে হাঁটতে হাঁটতে বাড়িতে ফিরছিলাম। তখন দেখলাম এক পরিচিত কাকা বস্তা মাথায় নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছে। সকালের আবহাওয়াটাও বেশ ভালোই ছিল। আকাশটা বেশ পরিস্কার, আবার রৌদ্রজ্জ্বল পরিবেশ।
বাড়িতে ফিরেই প্রাতঃকৃত্য শেষ করে সকালের খাবার খেয়ে একটু মোবাইল হাতে নিয়ে বসেছিলাম। কিছুক্ষণ সময় মোবাইলেই অতিবাহিত করেছিলাম, তবে হ্যাঁ নিঃসন্দেহে সেইটা ফেইসবুকে বা রিলে না বরং টুইটারে ছিলাম। দুঃখজনক হলেও সত্য আজ একটা Early Access মিস করেছি যেটার জন্য ভীষণ খারাপ লাগছিল। রাতে ভীষণ মাথায় ব্যাথার জন্য মোবাইলটা ও Silent করে ঘুমিয়ে ছিলাম যে কারণে বন্ধুদের থেকে এগারোবার কল এসেছিল কিন্তু আমি সেইটা বুঝতেই পারিনি।
![]() |
---|
যাইহোক, আমি দুপুর ১২ টার দিকে মোবাইল হাতে নিয়ে রাস্তায় বেরোচ্ছিলাম। প্রতিবেশী শিশুরা স্নান করছিল যেটা দেখে শৈশবের অনেক স্মৃতি মাথায় ঘোরাঘুরি করছিল। শৈশবের এই স্নান করার সময়টা খুব উপভোগ্য যখন অর্ধেক গামলা ভর্তি গামলা অথবা বালতিতে বসে গরমের সময় ঠান্ডা জলের প্রশান্তি উপভোগ করা হয়।
![]() |
---|
এ বাবা! রাস্তায় বেরিয়ে দেখলাম আমার এক কাকুর পোষা বিড়াল শিকার করার জন্য বসেছিল। আমি জুম করেই আগে ভাগে একটা ছবি তুললাম। তারপর বিড়াল ধরার পালা কিন্তু সে এক লাফে গাছে উঠে পড়লো। তাই আর ইচ্ছে থাকলেও আর বিড়ালটি ধরতে পারলাম না।
![]() |
---|
পাশেই নারকেল গাছের নিচে রাখা অনেক গুলো ডাব নারকেল আরো রোদ্দুর, কি গরম। ইচ্ছে করলে গাছ থেকে পেড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করি আর এখন হাতের নাগালে। তাই সুযোগে সৎ ব্যবহার করলাম, কাকুর ঘর থেকে দা নিয়ে দুইটাই খেয়ে ফেললাম। আহ! কি শান্তি?
![]() |
---|
আমি হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিলাম। অনেক দিন বাদেই যেন রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া দেখার সুযোগ পেলাম। একটু বেশিই গরম লাগছিল, তাছাড়া দুপুর তাই লোকজন একটু কমই ছিল রাস্তায়। আমি মন্দিরের সামনে পর্যন্ত গিয়ে কয়েকটা ছবি তুলে আবার বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। বাড়িতে গিয়ে স্নান সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ বাদের উত্তর পাড়ার এক বৃদ্ধা ঠাকুরমা এসেছি, তাদের কথাবার্তায় আমার একটু অস্বস্তিই লাগছিল। তবে বৃদ্ধা ঠাকুরমা আমার ও অনেক পছন্দের, আমাদের বাড়িতে প্রায়শই আসেন এবং আমাদের সাথে খাবার খেতে ও পছন্দ করেন।
![]() |
---|
![]() |
---|
সন্ধ্যার আগে আগে আবারো ঘর থেকে বেরিয়েছিলাম। রাস্তায় বেরিয়েই ছাগলকে ধাওয়া শুরু করেছিলাম। যদিও ছাগল তাদের ঘরেই যাচ্ছিল কিন্তু আমার কোনো কাজ ছিল না, তাছাড়া একটু দৌড়াদৌড়ি ও করার দরকার ছিল।
সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে নিজেকে পরিস্কার করে কম্পিউটারের সামনে বসতেই পুকচুর ভিডিও কলৈ এসেছিল। বাবা-মা কথা বলার পরে আমিও কিছুক্ষণ কথা বললাম। এভাবেই আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।
Thank you so much.