Better Life with Steem|| The Diary Game|| 08th July 2025
![]() |
---|
Hello Steemians,
গতরাতে খুশিতে ঘুমই হয়নি, প্রথম প্রকল্পের সফলতার প্রথম ধাপটি উপভোগ করেছি বিগত রাতে। যাইহোক, সকালে আমাদের পুঁচকু ঘুম থেকে উঠেই আমার সাথে এক প্রকার যুদ্ধ করলো। তারপর আবার বাঁশিওয়ালা জুতা, সে কি শব্দ?
একবার আমার বাবা, একবার আমি আবার পুচকুর বাবা সকলের কাছে দৌড়ে যাচ্ছিল। বৃষ্টিতে আমাদের পুঁচকু ও বিরক্ত ছিল। সকাল বেলা উঠেই তাঁর দোকানে যেতে হবে।
![]() |
---|
রেডি হয়ে ছাতা মাথায় দিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে বেরোনোর মূহুর্ত। মুখে হাঁসি লেগেই রয়েছে। কি রেখে কি করবে সে নিজেই বুঝে উঠতে পারছিল না।
![]() |
---|
একাধারে বৃষ্টি চলছেই তো চলছে। কোথাও বৃষ্টির জলের অনুপস্থিতি নেই। গাছপালা গুলো যেন আনন্দ মিছিল দিচ্ছে। বৃষ্টির সংস্পর্শে গাছের প্রতিটি পাতায় যেন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। আমার একটু মাছের বাজারে যেতে হবে তাই সকালে কিছু টাকা ক্যাশ করার দরকার ছিল। কারণ মাছের বাজারটা উল্টো দিকে, তাছাড়া এই বৃষ্টির মধ্যে মোবাইল সাথে রাখাটাও মুশকিল।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাজারে গিয়ে এজেন্ট ভাইকে পেলাম না। বৃষ্টির জন্য দোকান গুলো ও বন্ধ। যাইহোক, পুঁচকুকে কিছু খাবার নিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর ঐ এজেন্টের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এজেন্ট ভাইকে সাথে নিয়ে দোকানে এসে টাকা নিয়েই বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
আবার বোনের পরীক্ষা, ইতিপূর্বেই গাড়ি রিজার্ভ করে রেখেছিলাম। তবুও যোগাযোগ তো করতেই হবে। কল করেই মনটা খারাপ হলো, কারণ ঐ গাড়ি চালকের হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর হয়েছে। তবে তিনি নিজ দায়িত্বে আমারি এক পরিচিত ভাইয়ের সাথেই কথা বলে রেখেছে।
ঘুম ঘুম লাগছিল, তাই সকালের খাবার খেয়ে ঘুমানোর জন্য চেষ্টা করছিলাম তবে ঘুম আর হলোই না। অন্যদিকে একটু দূরের বাজারে যেতে হবে, তাই তড়িঘড়ি করেই সকাল এগারোটার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম।
যে মাছ ক্রয়ের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম সেইটা সফলই হলো না। এখনই ইলিশ মাছ ধরা হচ্ছে না যে কারণে ইলিশের দোকান মাত্র একটাই। আবার সেখানে আমার পছন্দ মতো বড় ইলিশ ও নেই। সর্বোচ্চ তিনটায় এক কেজি এই সাইজের মাছ ছিল। তবে মাছ ছোট হলেও মূল্য কিন্তু কম না। পাশাপাশি আজকে এটা বুঝতে পারলাম যে আমাদের এখানকার বাজার থেকে মাছ ক্রয় করে শান্তি নেই।
ওহ! পথে আবার ব্রিজের কাজ চলছিল যে কারণে একটা অটো রিজার্ভ করেই বাজার থেকে চলে এসেছিলাম। খেয়াঘাটে ভারী ব্যাগ নিয়ে হাঁটা মুশকিল, ঐ অটোর লোকটি ইং পরবর্তী গাড়ির স্ট্যান্ডে আবার ব্যাগ গুলো পৌঁছে দিয়েছিল। মোটামুটি, একবার বৃষ্টির জলে স্নান হয়েই গিয়েছিল। বাড়িতে ফিরে মাছ গুলো ফ্রিজার্ভ করেই আমি স্নান করতে গিয়েছিলাম, মা'কে এদিকে ইলিশ মাছ ভাজি করতে বলেছিলাম। স্নান সেরে এসেই দেখলাম হঠাৎ মামার ছোট ছেলে বাড়িতে রাগ করে আমাদের বাড়িতে চলে এসেছে।
![]() |
---|
মামাতো ভাই বললো আমার সাথে বাজারে যাবে; আমিও আর বিলম্ব না করেই রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। বাজারে পৌঁছেইতো হলো বিপদ, সে কি বৃষ্টি। যাইহোক, আমরা চা খেলাম। এই বৃষ্টিতে দোকানে থাকা ও মুশকিল, তাই দ্রুত বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। বাড়িতে ফিরেই একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
![]() |
---|
পুচকুর মা পরীক্ষা দিতে বাগেরহাট গিয়েছিল, অনেকক্ষণ ঠিকই ছিল কিন্তু সন্ধ্যা হলেই পুচকুর মায়ের কথা মনে পড়েছিল। আমি চোখ মুছতে মুছতে কাকুর ঘরের সদর দরজায় ডিম লাইটের সামনে বসে আমার বোনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কাকুর ঘরে কাকু-কাকিমা রীতিমতো পুচকুর সাথে নাচছিল। না করে উপায় নেই। একজন অতিথি বা যে কেউ বাড়িতে আসলে তো আমরা বসতে বলি কিন্তু আমার বোনের মেয়ে বসার জন্য টুল নিয়ে চলে আসে। এখনো কথাই বলতে পারেনা ঠিক ঠাক কিন্তু অতিথি আপ্যায়নে সে অন্য কারো অনুমতির অপেক্ষা পর্যন্ত করে না।
![]() |
---|
প্রায় রাত আটটার দিকে বোন বাড়িতে আসলেই আমি ঘরে চলে এসেছিলাম। কেক খেয়ে কম্পিউটারে বসেছিলাম কাজ করতে।
এভাবেই আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।
SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted on from the steemcurator07 account.
Thank you so much 😊