Better Life with Steem|| The Diary Game|| 01th April 2025

in Incredible India2 months ago
1000001752.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
বাসন্তী পূজো একদমই সন্নিকটে, তাই পূজোকে কেন্দ্র করে যেন প্রতিটি ঘরে ও কাজ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু গ্রাম তাই শুধু মাত্র ঘর না বরং উঠোন, বাগান ইত্যাদি সবকিছুই পরিপাটি করছে সকলে।

বিশেষ করে এই বাসন্তী পূজোর সময় বরাবর সেই এইচ এসে সি পরীক্ষার করা মনে হয়। কারণ আগে যখন এইচ এসে সি পরীক্ষা শুরু হতো ঠিক তখনই এই বাসন্তী পূজো হতো। পূজো উপলক্ষে আয়োজন করা হতো সামাজিক যাত্রাপালা, ধর্মীয় যাত্রাপালা। এছাড়াও থাকতো অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সেই ঘুরে ফিরে যেন পরীক্ষার আগের রাতেই পছন্দের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতো। সামাজিক যাত্রাপালাতে পুরুষ চরিত্রে অভিনয় করতেন আমাদের পাড়ার লোকজন। অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকতাম কাকে কোন পোশাকে কেমন লাগছে এটা দেখার জন্য। নিঃসন্দেহে আমি মনোযোগ দিয়ে যাত্রাপালা দেখতাম কিন্তু হাসির দৃশ্য গুলো ভীষণ উপভোগ করতাম।

1000001738.jpg

সকাল সকাল এক বৌদি ও কাকিমা ডাকতে এসেছিল তাঁদের সাথে মন্দিরের কিছু কাজ করার জন্য। আমি প্রাতঃকৃত্য সেরেই কফি খেতে খেতে মন্দিরে গিয়েছিলাম। তখন বাংলাদেশ সময় সকাল এগারোটা প্রায়, ইদানিং নিজেকে অনেকটা কলসি মনে হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, রাতে সাধারণত না ঘুমানোর জন্যই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

1000001745.jpg

যদি কেউ মায়ের প্রতিমা না তৈরি করতে পারেন তবে জলঘটে ও মায়ের পূজো করা যায়। যাইহোক, মূলত বৌদি এখানে জল ঘট রাখার জন্য মাটির একটি পিড়ি তৈরি করছেন। আমি ও এক কাকিমা শুধুমাত্র নরম কাঁদা নিয়ে আসার কাজে সহযোগিতা করছিলাম।

1000001743.jpg

মন্দিরে মায়ের প্রতিমায় রংয়ের পূর্ব মুহূর্তের কাজ চলছিল। এখন প্রতিমায় রং করতে ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার। কতোই না সহজ করেছে আমাদের জীবনযাত্রা! তবে আগের রং করার সময় অনেক লোকজনের ভীড় থাকতো। এখন হয়তো এই যে উন্নত প্রযুক্তি যেটার বিকট শব্দের জন্য বোধ হয় মানুষের ভীড় নেই। আমারই তো কান পুরোটাই যেন বন্ধ হয়ে আসছিল।

1000001744.jpg

এটাকে বলা হয় খড়ি মাটি, তবে সঠিক কি না আমার জানা নেই। সাধারণত রং করার সময় আমরা অনেকেই এটা দেখতে পছন্দ করি। একজন ভাস্কর কতোটা ভক্তি, মনোযোগ ও দক্ষতার মাধ্যমে এই প্রতিমা তৈরি করেন?

ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছাড়া একদমই সম্ভব নয়।

1000001739.jpg

এই যে ছোট্ট শিশুকে দেখছেন, প্রতিমা তৈরিতে তাঁর ভীষণ আগ্রহ। ইতিপূর্বে সম্পূর্ণই হাতে প্রতিমা গড়ার কিছু দৃশ্য আমি উপস্থাপন করেছিলাম যেখানে এই ছেলেটিই ছিল ভাস্কর। তবে এই শিল্পকর্মের কতোটা মূল্যায় যে পাবে আমার জানা নেই।

1000001741.jpg

যাইহোক, প্রচণ্ড গরম কিন্তু বটের ছায়ায় ভালোই লাগছিল।‌পিচ্চিরা সব আবর্জনা একত্রিত করে আগুন জ্বালিয়েছিল তাই ওদের রেখে যাওয়াটা ও নিরাপদ না। আমি এক ছোট বোনের সাথে কল পাড়ে বসে কুশল বিনিময় করছিলাম আর ওদের দিকে নজর রাখছিলাম।

প্রায় দুপুর দুইটার দিকে বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে একটু মোবাইল হতে নিয়ে বসেছিলাম। একটু মাথায় পেইন হচ্ছিল কারণ ঐ মন্দিরের মাঠে থাকা অবস্থায় গরমের মধ্যে একু লেখালেখির কাজ ও করেছিলাম। যাইহোক, স্নান সেরে নেওয়ার পরে বেশ সতেজ লাগছিল। একটা wallet account ঠিক করতে করতেই প্রায় বিকেল ৪:৩০ বেজেছিল।

1000001751.jpg

নয়ন ম্যাসেঞ্জারে জানালো আজ আমাদের বাড়ির পশ্চিম পাশের ধানের জমিতে সকলে ক্রিকেট খেলবে। এটা দুপুরেই বুঝেছিলাম, কারণ ওদের দলবল সহ কাউকে মন্দিরে পাইনি। অর্থাৎ ঐ মূহুর্তে ওরা আজকে এই খেলার মাঠ প্রস্তুত করতে গিয়েছিল। ওহ! দারুন দক্ষিণা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছিল। অনেক দিন বাদে এই মাঠে খেলতে দেখলাম। আমার শৈশবে ধানের ফসল উঠে যাওয়ার পর পরই এখানে আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত করতাম।

পাশেই ছিল বড়দের ভলিবল খেলার মাঠ। আমার কাকুরা ভলিবল খেলতো আর আমরা অন্যপাশে ক্রিকেট খেলতাম। সন্ধ্যা হয়ে আসছিল তাই আমিও বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।

যাইহোক, এভাবেই আমি আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।

Sort:  
Loading...
 last month 

আপনাদের পূজার যেহেতু সন্নিকটে তাই সবাই মিলে পূজায় সমস্ত জিনিস আগে থেকেই রেডি করে রাখছেন আপনাদের মন্দিরের মধ্যে বেশ কিছু কাজ থাকে তাই বাড়ির মহিলা সবাই মিলে সেই কাজগুলো সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন আসলে সবাই যদি একসাথে কাজ করে তাহলে কাজ করতে খুব তেমন একটা সময় লাগে না অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।