ফিরে দেখা শৈশব।।
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
শুভ সকাল, কেমন আছেন সকলে। ইদানিং পোস্টে টুকটাক করে গ্যাপপ পড়ছে। এটা নিজেও বুঝতেছি কিন্তু কিছু করতে পারছিনা। আগে কখনো এলার্জি কি এটাই বুঝিনি অথচ সম্প্রতি ধূলোবালিতে প্রচণ্ড এলার্জির সমস্যা হচ্ছে যে কারণেই বোধ হয় ঠাণ্ডা আমাকে ছাড়ছেই না।
যাইহোক, সত্যি বলতে প্রচন্ড গরম এবং এলার্জির ভয়ে বাইরে কোথাও বেরোচ্ছি না। যে কারণে ফটোগ্রাফির জন্য ফটো সংগ্রহ করা ও সম্ভবও হচ্ছে না। তবে সম্প্রতি এক দুপুরে সংগ্রহ করা একটি ছবি গ্যালারিতে দেখে মনে হল এটা নিয়েই একটা পোস্ট লেখা যায়। এই মধুর সময় গুলো আমিও শৈশবে অতিবাহিত করেছি। বলা যায় এখনকার শিশুদের তুলনায় আমি অনেকটা বেশিই উপভোগ করেছি।
![]() |
---|
এইতো সেদিন রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে দেখি আমাদের বাড়ির অপর পাশে অবস্থিত এক বাড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আসার পথে কয়েকজন শিশু প্রবেশ করেছিল। মূলত নোয়াইল বা এটার কোনো ভালো নাম আছে কিনা আমার সঠিক জানা নেই এই ফল গাছ থেকে পাড়ার জন্যই ওই বাড়িতে প্রবেশ করেছিল ওরা।
আমি চুরি করে ভিডিও করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার মোবাইল বের করতে দেখেই তাড়াহুড়ো করে সবাই ওখানে থেকে বেরোচ্ছিল। এটা দেখে মুহূর্তের মধ্যে আমার ফেলে আসা শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। কারণ আমাদের শৈশবে স্কুলে যাওয়া এবং আসার পথে কত ফল ফল চুরি করে খেয়েছি তার ইয়ত্তা নেই। ঐ যে শৈশব বলে কথা তাই কোনো অপরাধই অপরাধ না।
আমার বরাবরই খাবারের প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি কিন্তু খাওয়ার বেলাতে পরিমান অনেক কম। এখনো বকুনি না খেলে কেমন যেনো ভাত খাওয়া হয়ে ওঠেনা। মাঝেমধ্যেই তো খাওয়ার কথা মনে থাকে না। তবে হ্যাঁ, চিপস, আইসক্রিম, cold drinks এগুলোতে কোনো না নেই। যেখানে সমস্যা সেখানে তো আগ্রহ থাকবেই।
![]() |
---|
আমার তো মাঝেমধ্যে শিশুদের জীবনধারা দেখে মনে হয় শৈশবের সম্পূর্ণ আনন্দটা এরা উপভোগ করতে পারেনি এবং পারবেও না। কোথাও যেন ছোট থেকে শুরু করে বড় সকলের জীবন যান্ত্রিক প্রকৃতির হয়ে উঠেছে। মানুষ উন্নত প্রযুক্তির সংস্পর্শে এসে দিনকে দিন আরও বেশি আরামপ্রিয় হয়ে উঠছে। জীবনের প্রকৃত আনন্দঘন মুহূর্তগুলোই যেন হারিয়ে যাচ্ছে।
শৈশবে আপনারা কেউ এভাবে কোনো ফল চুরি করে খেয়েছেন কিনা জানিনা তবে আমি প্রচুর খেয়েছি। তখনকার ছোট্ট একটা ঘটনা উল্লেখ করছি।
এই গ্রীষ্মকালেরই কথা আম পাকার ঠিক পূর্ব মুহূর্তের। যখন আমরা দলবেঁধে স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরছিলাম তখন পথের পাশেই একটি ফলের ভারে নুয়ে পড়া আম গাছ যদিও আগে থেকেই এই গাছের আম খাওয়ার একটা পরিকল্পনা ছিল। তবে সারাক্ষণ লোকজন যাতায়াত করে তাই ঐভাবে আর খাওয়ার সুযোগ হয়নি।
হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় তাই বিদ্যালয় ছুটি হলো নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই। এবার দলবেঁধে বাড়িতে ফেরার পথে দেখলাম কোনো লোকজন নেই। তাই দ্রুত বেড়া অতিক্রম করেই আম বাগানে প্রবেশ কিন্তু আম হাতের নাগালেই ছিল না। এবার উপায়!
আসেপাশে কোনো বড় লাঠি ও নেই। তাই নিরূপায় হয়ে আমাদের মোটু ভাইকে নিচে রেখে আমরা ২/৩ জন তাঁর কাঁধের ওপর। সবেমাত্র ৪/৫টা আম তুলেছি তখন কে যেন কথা বলে উঠলো। ঐ যে পাকা আম গাছে ঝাঁকা দিলে যেমন আম পড়ে ঠিক তেমনি হয়েছিল আমাদের অবস্থা।
আমার সাথে ঐ সময়ে মা বা বাবা কেউই বিদ্যালয়ে যেতো না। কিন্তু এখন দেখি পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর সাথেও তাঁর মা স্কুলে যায়। আসলে সন্তানের সাথে কি মা ও পড়াশোনা করে নাকি আমার কাছে কৌতুহলই লাগে। এক কথায় শৈশব থেকেই যেন শিশুদের স্বাধীনতা সিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
আমি একদমই বলছি না যে শুধু মাত্র ঈশ্বরের নামে সন্তানকে ছেড়ে দিতে হবে। তবে স্বাধীনতা হরণ করা কি সঠিক? কেন সর্বদাই শিশুদের পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ করছি?
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন , সুস্থ্য থাকুন।
Thank you so much 😊
আজকে খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট দেখে আমার নিজের ছোটবেলায় অনেক কথাই মনে পড়ে গেল। তবে আমাদের ছোটবেলায় বিভিন্ন রকমের খেলাধুলা করে দিনগুলো কেটে যেত পিছনে ফিরে তাকালে আমাদের সেই সব খেলাধুলা কথা ভীষণ মনে পড়ে। কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েদের শৈশব একদমই আলাদা। আমাদের খেলার সাথে তাদের খেলাধুলার একদমই মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। তাদের বেশিরভাগ জগৎটা ফোন টিভি এইসব ঘিরেই থাকে। আপনার সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।