মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা।

in Incredible India4 days ago (edited)
ai-generated-8502174_1280.jpgSource

নমস্কার বন্ধুরা,
শীতের তীব্রতা বিলীন হতে না হতেই যেন গরম উঠছে পড়তে শুরু করেছে। তবে বাইরে না বের হলে হয়তোবা গরমের এই তীব্রতা প্রকৃতপক্ষে অনুভব করতে পারতাম না। ইতিমধ্যে আমার একটা পোস্টে আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে আমি বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম।

যদিও বোনের বাড়ি এবং নতুন জায়গায় তাই খুব আগ্রহ নিয়ে বেরিয়েছিলাম, তবে এখন মনে হচ্ছে বেশি আগ্রহ না দেখানোটাই ভালো ছিল। আমাদের শরীর হচ্ছে অভ্যাসের দাস যেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি এখন। একটা সময় রোদ্দুর এবং বৃষ্টি কোন কিছুতেই সমস্যা অনুভূত হতো না। কিন্তু ইদানিং রোদ্দুর একদমই সহ্য হয় না।

যে কারণে বোনের বাড়ি পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর থেকেই নাক জ্বলতে শুরু করেছিল। তখনই উপলব্ধি করতে পারতেছিলাম যে ঠান্ডা অবশ্যই চলে আসবে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই। এমনকি বাড়িতে এসে ঘাম বসে যাওয়া শরীর তারপর আবার স্নান করেছিলাম যে কারণে ঠান্ডাটা যেন একদম কড়া করে চেপে বসেছে।

1000001269.jpg

ঠান্ডা লাগার কারণঃ
✅ হঠাৎ রোদ্দুরে যাওয়া, রোদ্দুরে যাওয়ার অভ্যাস না থাকা।
✅প্রখর তাপমাত্রার জন্য ঘাম এবং চলতি পথে বাতাসে ঐ ঘাম শরীরে বসে যাওয়া।
✅ ঐ অবস্থায় ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাওয়া।
✅বন্ধুর পথ-ঘাট, ঝাঁকুনিতে শরীর ব্যাথা।
✅ গভীর নলকূপের ঠান্ডা জলে রাতে স্নান করা।

যেটা করা উচিত ছিলঃ
✅ গ্রীষ্মকালে কোথাও ঘুরতে গেলে একটু সকাল সকাল বের হওয়া উচিত।

✅যখন আমরা বাইরে যাই এই গরমে তখন শরীর ঘেমে যায়। যে কারণে শরীরে কিন্তু জলের ঘাটতি দেখা দেয়। আমাদের শরীরের তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়। আমরা তো পিপাসা মেটাতে ফ্রিজের জলই খেতে পছন্দ করি। এটা করা একদমই সঠিক না।

✅পাশাপাশি দীর্ঘ সময়ের পথ হলেও চেষ্টা করা উচিত ভালো রাস্তা দিয়ে যাওয়া।

✅ এভাবে গরমের মধ্যে বাইরে থেকে এসেই স্নান করা ঠিক না। এই সকল কারণেই আমি সম্প্রতি ঠান্ডায় ধরা খেয়েছি।

1000001215.jpg

বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে কেমন গরম পড়ছে জানিনা তবে আমাদের এখানে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে অন্যান্য অনেক জায়গার অবস্থা আরো খারাপ। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে আমার বসবাস, সাধারণত এটাই জানি যে নদী বা সমুদ্র উপকূলে শীত ও গরম উভয়ই কম। সেইটা বিবেচনা করলে অন্যান্য অঞ্চলের তাপমাত্রা হয়তো আমাদের এখানকার থেকে বেশিই হবে।

দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা নিজেকে জ্ঞানী মনে করি তবে যখন সুযোগ আসে তখন সেইটাকে নিজ স্বার্থেই ব্যবহার করি। কি দারুন! এটা বলার কারণ ইতিমধ্যে আমাদের দেশের অনেক বেসরকারি সংস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটাকে এক দিকে সঠিক ও অন্যদিকে নেতিবাচকই বলবো।

কারণ এখানে অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছিল। তবে সুযোগে কর্মরতরা অনেক অবৈধ সুবিধা নিয়েছে। যেমন, পাঁচ কোটি টাকার বাজেট থাকলে যথাযথভাবে খরচ হয়েছে পঞ্চাশ লাখ বাকিসব গায়েব।

আমি কিভাবে জানি?
আমি নিজেও স্নাতক সম্মান অর্জনের পরে সংস্থায় চাকুরী করেছি। তবে অনলাইনে না বরং বাস্তব জীবনেও আমি স্পষ্টভাষী। যে কারণে আমি বেতন নিই তাঁতে কি, সাধারণ জনগণকে বিস্তারিত খুলে বলায় একটা প্রকল্প বাতিল ও হয়েছিল। প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষের ক্লাস করানো, প্রকৃতপক্ষে আপনার পেটে যদি খুদা থাকে এই কথায় কি আর খুদা মিটবে?

এই কথাগুলো ও আমার বিষয়বস্তুর সাথে সম্পৃক্ত, কারণ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থের যদি যথাযথ ব্যবহার করা হতো তাহলে সাধারণ মানুষই প্রকৃতি রক্ষার ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পারতো। অভাবে স্বভাব নষ্ট। প্রবাদ

পেটে খিদে নিয়ে পরিবেশ রক্ষার কাজ করা অসম্ভব। এই তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন এবং বিভিন্ন রোগ সবকিছুর জন্য মানবসৃষ্ট কারণই প্রথম দায়ী।

কাউকে উপদেশ না তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে নিজ দায়িত্বে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের অবদান রাখতে হবে।

আমার আজকের লেখাটি এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Sort:  
Loading...
 2 days ago 

বর্তমান সময়ে আমাদের এখানেও প্রচুর পরিমাণে গরম পড়েছে আসলে বাহিরে বের হওয়াটা একেবারেই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আর যেহেতু রমজান মাস বাহিরে বেশ কিছু কাজ থাকে সেগুলো সম্পন্ন করতে হয় বিশেষ করে বিকেল বেলায় যখন রান্না করতে যায় তখন অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায় গরম এবং ঠাণ্ডার বিষয়ে আপনি বেশ কিছু বিষয় আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন যেগুলো সত্যিই সুন্দর ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।