ফটোগ্রাফি।
![]() |
---|
Hello Steemians,
কয়েক দিন ধরে দিনলিপি পোস্ট করতে করতে একটু বিরক্ত লাগছিল। কিন্তু সৃজনশীল কোনো পোস্ট প্রস্তুত করার সময় পাচ্ছিলাম না। এক কথায় বর্তমান পোস্ট লেখার পর যেন আত্মতৃপ্তিই পাচ্ছি না। আজও একই অবস্থা লেখার জন্য কোনো টপিকই খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
তবে হ্যাঁ দুপুরেই বাইরে গিয়ে কিছু ছবি তুলে রেখেছি। এখন সেই ফটোগ্রাফি গুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি। গ্রামবাংলার আরো একটা দুপুরের চিত্র তুলে ধরছি। চলুন, তাহলে আর বিলম্ব না করে মূল লেখাতে ফিরে যাই।
![]() |
---|
![]() |
---|
সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছিল কিন্তু সকালের খাবার শেষ করার পর বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল। আমাদের ঘরের কাছাকাছি থাকা একটি জবা ফুল গাছে বেশ বড় বড় ফুল ফুটেছিল। যদিও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিল কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে চারিদিকের পরিবেশ বেশ শান্ত ছিল।
বৃষ্টির জলে ফুলগুলো ভিজে চুপসে গিয়েছিল। তবে বৃষ্টির জল পড়ার কারণে যেন ফুলগুলো দেখতে আরো বেশি পরিষ্কার ও চকচকে মনে হচ্ছিল। পাশাপাশি আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে ঠান্ডা অনুভূত হওয়ার কথা কিন্তু ঠিক উল্টোটাই হচ্ছিল।
![]() |
---|
এই তেঁতুল পাতার মতো দেখতে গাছটির নাম আমার সঠিক মনে পড়ছে না। তবে একটা সময় আমাদের বাড়ির উঠোনেও এই গাছ লাগানো হতো যে কারণে কাজটা দেখেই আমার সেই আগের সময়ের কথা মনে পড়েছিল। কারণ এই গাছগুলো পরিবেশ বান্ধবও বলা যায়।
যদি বীজ বপণের পর চার থেকে পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতা অবস্থায় এই গাছগুলো মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া যায় তাহলে সেখানে কোনো ফসল ফলানোর জন্য আর রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না।
![]() |
---|
![]() |
---|
এ বাবা! ছাগল ভায়ারা দেখছি গোপাল ভায়ার মতো বুদ্ধিমান হয়ে উঠেছে। যে কারণে ক্যামেরা বন্দি করার মুহূর্তটা ওরা ঠিকই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলে। এই যে দেখুন ছবি তুলতে গিয়েছি আর অমনি সে যেন পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার দিকেই ঘুরে তাকিয়েছিল। অবলা প্রাণীরাও আমাদের না বলা কথা বুঝতে পারে কিন্তু মানুষের বুঝতেই সমস্যা।
![]() |
---|
এটা সেই সুস্বাদু বাগদা চিংড়ি যেটা লবণ জলের মাছ কিন্তু স্বাদে অতুলনীয়। আমি তো নিজেই মাঝেমধ্যে অবাক হই কারণ আমার কাছে মনে হয় লবণ জলের মাছ গুলোই বেশি সুস্বাদু হয়। আমাদের এলাকায় বাগদা চিংড়ির চাষ হয় প্রচুর পরিমাণে। যদিও আমাদের এলাকায় ৯৫% পুকুরের মাছ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে কিন্তু কিছু পুকুরে এখনো মাছ রয়েছে।
এই ছবিটা শুধুমাত্র কয়েকটি বাগদা চিংড়ির না বরং এই ছোট বাগদা ধরার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। যে পুকুর থেকে বাগদা চিংড়ি ধরা হচ্ছিল সেই পুকুরটা আকৃতিতে অনেক ছোট কিন্তু মাছের পরিমাণ অনেক বেশি, মূলত স্থানান্তর করা হচ্ছিল।
![]() |
---|
![]() |
---|
এই বাগদা চিংড়ি ধরার জন্য কিন্তু আলাদা কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় না। বরং সেই পুরনো দিনের পদ্ধতি একই ভাবেই সকলে ব্যবহার করেন। পাশাপাশি বাগদা চিংড়ি ধরার জন্য চিকেন সুতোর হালকা ওজনের জাল ব্যবহার করা হয়। বাগদা চিংড়ি উল্টো ভাবে চলাচল করে যে কারণে খুব সতর্কতার সাথে বাগদা চিংড়ি ধরা হয়।
![]() |
---|
![]() |
---|
হঠাৎ আমি দেখলাম আকাশের পূর্ব দিকে কালো মেঘ আবার কিছু অংশ সাদাও ছিল। যে কারণে মুহূর্তের মধ্যেই যেন প্রকৃতি তার রূপ বদলে ফেললো। আমি এই সুন্দর দৃশ্যগুলো বিলম্ব না করেই ক্যামেরা বন্দি করলাম।
তবে হ্যাঁ গাছপালার মধ্যে হঠাৎ মেঘের দেখা এবং প্রকৃতির রূপ সম্পূর্ণ পাল্টে যাওয়া যে দৃশ্যগুলো মনে হয় শুধুমাত্র গ্রামবাংলায় উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।
Thank you so much for your response and support 🙏