বিড়াল।
![]() |
---|
Hello Steemians,
অলসতা কাটিয়ে আবারো অনেক দিন বাদে পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। আপনারা আমার পোস্টে পূর্বে ও দেখেছেন অনেক বার এই বিড়াল সম্পর্কিত লেখা। তবে আজকে সম্পূর্ণ লেখাটাই এই বিড়ালটিকে কেন্দ্র করে। এই বিড়াল ভদ্র মহোদয় শহুরে, সম্প্রতি আমরা তাঁকে গ্রামে নিয়ে এসেছি।
দেশী বা বিদেশী কোনো ব্যাপার না তবে পোষ্যদের মানুষের মতো যত্ন তো করতেই হয়, অনেকটা বেশিই করতে হয়। এ কারণেই দেখবেন গ্রামের বাড়িতে থাকা পোষ্য বিড়াল গুলো স্বাস্থ্য এতোটা ভালো দেখা যায় না। বিড়াল দেখতে অনেক ছোট হলেও খাবারের প্রয়োজন বেশি যেটা বোঝা যায় না।
যাইহোক, এই বিড়ালটা কিন্তু আমার না অথচ ২/৩ দিনের মধ্যেই একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সকাল সকাল বাড়ির পাশের ছোট ভাই ইমন বিড়ালটা আমার কাছে রেখে খুলনাতে গিয়েছিল। আমি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে নিজের কাজ সেরেই বিড়ালের সাথে বসে খেলার প্রচেষ্টা করছিলাম।
![]() |
---|
আমাদের বাড়িটা যেন মূহুর্তের মধ্যেই নিজের করে নিয়েছে পাশাপাশি আমাদের সকলকে। নচেৎ এতোটা নিশ্চিতে ঘুমানো সম্ভব না।
আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখবেন; যদি কখনো কোনো আপনজনের বাড়িতে ঘুরতে যান সেখানে দিন যেভাবেই অতিবাহিত করুন না কেন রাতে কিন্তু ঘুম ঠিকমতো হয় না। আমার ক্ষেত্রে তো এমনই হয়, তাই বললাম।
আমি বিড়ালকে ধরবো এ কারণেই কাছে যাওয়া কিন্তু কোনো উপায় পাচ্ছিলাম না। একবার চোখ খুলে আমাকে দেখে আবারো ঘুমিয়ে পড়লো: কি মুশকিল?
![]() |
---|
এবার নিরুপায় হয়ে টেনে টুনে তোলার প্রচেষ্টা কিন্তু দেখুন তাঁর মধ্যে ওঠার কোনো চিত্র আমি খুঁজেই পাচ্ছিলাম না। এবার তো রীতিমত রাগই হচ্ছিল। কান ধরেই টেনে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
এ বাবা! ব্যাথার সাথে ভীষণ রাগ মনে হচ্ছিল চোখ দেখে। কোনোভাবেই আমার দিকে তাকাবে না।
![]() |
---|
খাবারের কথা বলে ও অনেক প্রচেষ্টার পরে তাঁকে হাতের নাগালে পেয়েছিলাম। কিন্তু লাভ হলো না কোলে এসেই আবারো ঘুম।
বিড়াল পছন্দ করে না এমন মানুষ মনে হয় কমই দেখা যায়। বিশেষ করে বিড়ালের নরম শরীর ও চোখ আমার কাছে ভীষণ পছন্দের। বিড়ালের চোখ আর আমাদের চোখের মধ্যে সম্ভবত বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। এটা আমার নিজের অনুভূতি।
বিড়ালের চোখের একটা ঘটনা মনে পড়লো:-
এই ঘটনার পূর্বে বিড়ালের চোখ সম্পর্কে আমার তেমন কোনো ধারণা বা কৌতুহল কোনোকিছুই ছিল না। সম্ভবত, গরমের ধান চাষের সময়কার ঘটনা, আমি বাবার সাথে রাত নয়টার দিকে আমাদের জলকরের পশ্চিম পাশের ধানক্ষেতে গিয়েছিলাম। কুয়াশার জন্য একটু দূরেই লাইটের আলোতে ও কিছু দেখা যাচ্ছিল না।
হঠাৎ দেখলাম চারটা তারা যেন মাটিতে নেমে এসেছে। জ্বল জ্বল করছে সাথে আরো দুটো তারা যোগ হলো। ক্রমশ আমাদের দিকেই আসছে। আমি হাসতে হাসতে বাবাকে বললাম, বাবা বাঁধের ওপর তারা কেন? আমাদের দিকেই বা আসছে কেন?
বাবা কিছু না বলেই একটু হেঁসে বললো দাঁড়াও দেখাচ্ছি, এটা বলেই টর্চের আলোটা ঐ তারার দিকে মারলো। এই যে আলো দেখেই তারা গুলো উল্টো দিকে ছুটতে শুরু করলো। ঐ গুলো ছিলিবন বিড়াল। মূলতঃ ধানক্ষেতে ওরা ইঁদুর ও সাপ খাওয়ার জন্য আসে।
ঐ দিন থেকেই বিড়ালের চোখ নিয়ে আমার বেশ কৌতুহল।
বিড়াল শান্ত স্বভাবের আরামপ্রিয় প্রাণী। এরা নিজেদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে খুব পছন্দ করে।
বিড়াল যে ঘরে থাকে ঐ ঘরটা সাপ ও অন্যান্য অনেক ক্ষতিকর পোকামাকড় থেকে মুক্ত। বিড়াল শিকারী প্রকৃতির প্রাণী, কিছুই ওদের শিকার থেকে রক্ষা পায় না।
পাশাপাশি, বিড়াল ও পরিবারের সকলের সুস্থ্যতার কথাও চিন্তা করতে হবে। বিড়ালের মাধ্যমে অনেক রোগ জীবাণু ছড়ায় যদি বিড়ালকে সময়মতো ভ্যাকসিন না দেওয়া হয়।
আমার লেখাটা এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
Your post has been supported by the TEAM FORESIGHT. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
Thank you so much sir @edgargonzalez