শুভ জন্মদিন
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
১৪ই মার্চ আমার জন্য একটা বিশেষ দিন যে কারণে অনেক ব্যস্ত ছিলাম ঐ দিন। অন্যদিকে আমার সাথে যুক্ত হয়েছে এক ছোট ভাই। তবে নিজেও বুঝতে পারিনি হঠাৎ এভাবে অনেক আনন্দঘন কিছু মূহূর্ত উপভোগ করার সুযোগ মিলবে।
হঠাৎ দুপুরে ছোটভাই নয়নের নাম্বার থেকে কল পেলাম এবং ম্যাসেঞ্জারে। তবে মোবাইল হাতে না থাকায় সাথে সাথে রিপ্লাই দিতে পারিনি। কিছুক্ষণ পরে কল করে জানালো আমাকে নাকি খুঁজে পাচ্ছে না কয়েকদিন এবং আমি অবশ্যই যেন সন্ধ্যার আগে ওদের বাড়িতে পৌঁছাই।
তবে আমার নিজের ও বিশেষ দিনটার কথা মনে ছিল না। নয়ন যদিও ছোটভাই কিন্তু ভাইয়ের সাথে নয়ন আমার বন্ধু ও বটে। পারিবারিক কলহ হোক না ব্যক্তিগত সকল ভালো মন্দই আমার সাথে শেয়ার করে। সত্যি বলতে হয়তো সম্পর্কের ব্যাখা আমি দিতে পারবো না কিন্তু এটাই বোধহয় নিঃস্বার্থ এবং বিশ্বাসের একটি সম্পর্ক। এই বিশ্বাসটা ধরে রাখতে পারলেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
![]() |
---|
![]() |
---|
আমি সাজানো বা ডেকরেশনের কাজে একদমই দক্ষ না। তবে হ্যাঁ আমি এটা বলাতে অভিজ্ঞ যে কোনটা standard লাগছে দেখতে। যাইহোক, ছোট ছোট ভাই ও বোনেরা বেলুন 🎈 ফুলানো এবং কেক সাজানোর কাজ করছিল।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
এই ভাইয়ের সাথে আমাদের কারোরই কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই কিন্তু এখানেই যেন ভাইটা নিজ পরিবারের ভালোবাসা খুঁজে পায়। তাই ছুটি পেলেই ছুটে আসে এবং আমরা ও তাঁকে নিজেদের পরিবারের মনে করে গ্রহণ করি। পাশাপাশি একটা খুশির সংবাদ হলো এই ভাইয়ের সম্প্রতি একটা চাকরি ও হয়েছে। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ছিলেন এবং সম্প্রতি এ টি ও পদে নিয়োগ পেয়েছে।
![]() |
---|
![]() |
---|
কেক কাঁটা সম্পর্কে কোনো explanation নেই আমার কাছে তবে আমার অনুভূতি এটাই যে কেক মধ্য দিয়ে মনে আমরা জীবনের একটা বছর বাদ দিই। পাশাপাশি বিগত বছরের সকল ভালো এবং মন্দ উভয় ভুলে আবারো নতুন করে শুরু করি।
এই ছোট ভাইয়ের সাথে পরিচয় আমার ছোটভাই নয়নের মাধ্যমে। প্রকৃতপক্ষে, আমরা শুধুমাত্র বাইরের দিকটা দেখেই মানুষকে বিচার করি কিন্তু আভ্যন্তরীণ বিষয়টা বোঝা সম্ভব না। আমার তো এই ছোট ভাইয়ের মুখাবয়ব দেখে মনে হচ্ছিল এটাই জীবনের আর একটা চমৎকার মূহুর্ত।
এই জন্মদিনের সুবাদে আমরা সকল ভাই-বোন একত্রিত হয়েছিলাম। এই একত্রিত হওয়াটাই যেন ঐ মূহুর্তকে আরো বেশি আনন্দ মূখর করে তুলেছিল। পাশাপাশি, সকল কাকিমা, জেঠিমা ও কাকুরা উপস্থিত হয়েছিল।
আমি বিশেষ করে এই সব ফরমালিটির থেকে সকলের অনুভূতিটা বেশি পছন্দ করি।
![]() |
---|
![]() |
---|
পাশাপাশি আমাদের তরফ থেকে খাবারের আয়োজন করেছিলাম। যেখানে কাকিমা ও জেঠিমা রান্নার কাজে সহযোগিতা করেছিলেন। মাংস আমার সবচাইতে বেশি পছন্দের খাবারের মধ্যে একটি। অনুষ্ঠান হবে আর আমার পছন্দের খাবার থাকবেনা তা কি করে হয়।
![]() |
---|
খাওয়ার পর্ব ও শেষ তবে কেমন যেন আত্মতৃপ্তি পাচ্ছিলাম না। ওহ! হঠাৎ মাথায় এলো খেজুরের রসের কথা। এই শীতে খেজুর রসের পায়েস খাওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে রাত এগারোটা, তবে মাথায় যখন এসেছে তখন তো খেতেই হবে।
খেজুরের রস কতোবার চুরি করে খেয়েছি তা সঠিক বলা মুশকিল। যাইহোক, অভিযান শুরু ১০/১২ জন মিলে আমাদের পাড়ার দক্ষিণ দিকে গিয়েছিলাম। সৌভাগ্যবশত দেখলা একটি খেজুর গাছে পাত্র এবং নিচ থেকে লাইট ধরে বোঝা যাচ্ছিল ঐটাতে রস আছে। আগের দিনগুলো আর খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
যাইহোক, এটা আমার একা ঠাকুরদার গাছ, কি আর করা ঐ রাতে গিয়ে ডেকে তুলে বললাম আমাদের খেজুরের রস লাগবে। মূল্য যাচাই করা বিরক্তিকর কারণ বেশি বা কম প্রয়োজন না আমাদের প্রয়োজন ঐ খেজুরের রস।
ঐ দাদু প্রায় রাত বারোটায় আমাদের আবদার রক্ষায় গাছে উঠে রস নামালেন। আমরা বালতি নিয়ে গিয়েছিলাম। পায়েস রান্না পর্যন্ত আর যায় চেক করতে গিয়েই আমরা প্রায় ৫/৬লিটার খেজুরের রস খেয়ে ফেলছি।
এভাবেই জন্মদিনের মূহুর্ত উপভোগ করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
জন্মদিন মানেই হইহুল্লোড় খাওয়া দাওয়া সাথে অনেক রান্নাবান্না। প্রথমেই জানাই আপনার ভাইকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জন্মদিনে আপনারা বেলুন দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছেন। ছোট ছোট অনেক কয়েকজনকে নিয়েই জন্মদিন পালন করেছেন ।জন্মদিন মানেই তো কেক কাটা। সকলের সাথে ভাইয়ের জন্মদিন খুব সুন্দর ভাবে পালন করে পাঠিয়েছেন। সুন্দর মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জন্মদিন মানেই সবাই মিলে আনন্দ করা বেলুন ফোটানো সবকিছু নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় ওই দিনটা আপনি অনেক বেশি আনন্দ করেছেন যার সাথে আপনাদের রক্তের কোন সম্পর্ক নেই তার সাথে ভালো সম্পর্কের মাধ্যমে আপনাদের দিন কেটে যাচ্ছে বেশ ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছেন শেষে আবার খেজুরের রস খেয়েছেন অসংখ্য ধন্যবাদ সবার সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।