চোখের সমস্যা।
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
এখন বাংলাদেশ সময় রাত ০৮:০০ টা বাজে, সবেমাত্র মোবাইলটা হাতে নিয়ে পোস্ট লেখার জন্য বসেছি। ইদানিং পোস্ট করতে বিলম্ব হলেও বেশিরভাগ পোস্ট লেখা সেই সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই শুরু করা। তবে আজ ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সেই সময়ের মধ্যে শুরু করতে পারিনি।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজ সেরে বারান্দায় মোবাইল হাতে নিয়ে বসেছিলাম। তবে হঠাৎ যেন মনে হলো চোখে কিছু পড়েছে। অনেক প্রচেষ্টার পরেও কিছুই খুঁজে পেলাম না। ধীরে ধীরে চোখ লাল হতে শুরু করেছিল।
প্রকৃতপক্ষে, চোখে যে কি সমস্যা সেইটা বুঝতে পারতেছিলাম না। আমার ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে। সম্ভবত, গতকাল মন্দিরে ধূলোয় ছিলাম বুঝতেছি না ঐটার জন্য সমস্যা হলো কি না।
কাকিমা, বড়মা, বাবা-মা কেউ কিছুই খুঁজে পেল না চোখে। তখন মায়ের কথামতো এক ঠাকুরমা এসে চোখে হাত দিয়ে মন্ত্রোচ্চারণ করলেন এবং ঐটার পরেই সেই থেকে থেকে কাঁটা অনুভূতিটা কিছুটা কমেছে। এই বিজ্ঞানের যুগে অনেকেই এটাকে কুসংস্কার বলবে হয়তো কিন্তু কাজ ও হয় এটা মানতে হবে।
আমি বাস্তব জীবনে এমন কিছু কিছু ঘটনা দেখেছি যেটা দেখে এইসব বিশ্বাস করতে বাধ্যই হয়েছি। কারণ নিজের চোখকে তো আর অবিশ্বাস করতে পারি না।
আমাদের শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশের মধ্যে চোখ একটি। যখন চোখ ঠিক থাকে তখন আমরা বুঝতেই পারিনা কিন্তু বিন্দুমাত্র এদিক ওদিক হলেই মুশকিল। আমি যে সেই সকাল থেকে ঐ ঠাকুরমা আসার আগ পর্যন্ত কতোটা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি সেইটা হয়তো বলতেই পারবো না।
আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখবে আমাদের হাতে যে কোনো একটা আঙ্গুল যদি কেটে যায় বা আমরা ব্যাথা পাই তাহলে ওখানেই যেন বেশি আঘাত লাগে। থেকে থেকেই মনে হয় যে হয়তো ক্ষত বা ব্যাথা স্থানে বেশি ব্যাথা। বিষয়টা একদমই ঐরকম না। বরং ঈশ্বর আমাদের শরীর এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে শরীরের প্রতিটা অংশই গুরুত্বপূর্ণ।
চোখের সুরক্ষায় করণীয়ঃ
![]() |
---|
✅ প্রথমেই উচিত আমাদের ডাক্তার দেখানো। কারণ ডাক্তারের পরামর্শ এবং পরীক্ষা ছাড়া বোঝাই সম্ভব না আমাদের চোখ কি অবস্থায় আছে।
✅ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্লাস ব্যবহার করা, বিশেষ করে বাইরে চলাফেরার জন্য।
✅ সস্তা তাই একটা চোখের গ্লাস নিয়ে নিলাম এটা কিন্তু ঠিক না। কারণ ঐ গ্লাস কতোটা মানসম্মত এটা আগে বুঝতে হবে। তাছাড়া চোখের অবস্থা না জেনে কোনো গ্লাস ব্যবহার করাই উচিত বলে আমার মনে হয় না। অন্য দিকে সানগ্লাস আমরা অনেককেই ব্যবহার করতে দেখি তবে সচেতন মানুষেরা নিঃসন্দেহে হয়তো চোখ পরীক্ষার পরে এটা ব্যবহার করেন। ব্যক্তিগত ভাবে আমি তো ডাক্তারের সিদ্ধান্ত ছাড়া করবো না।
✅ পাশাপাশি খাবারের দিকেও নজর রাখতে হবে।
যে যে সমস্যা হয়েছে এই স্বল্প সময়ে:
![]() |
---|
প্রথমত, আমি সেই সকাল থেকেই ঠিক ঠাক কিছুই করতে পারিনি। চোখ বন্ধ করলেও অস্বস্তি আবার খুললেও অস্বস্তি হচ্ছিল।
সকাল থেকেই মেজাজটা খিটমিটে হয়েছিল যতোক্ষণনা সমস্যাটা ঠিক হয়েছে।
আমার সারাদিনের কাজ গুলো এখনো ঐভাবেই রয়েছে। কারণ মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই পারিনি।
আমরা প্রত্যেকেই একটা রুটিন মেইনটেইন করে কাজ করি। কিন্তু যখন শরীর ঠিক থাকে না তখন কোনো রুটিনই ঠিক রাখা সম্ভব না। তাছাড়া বিগত ৮/৯ মাস আমি নিজের মতো করে একটু বেশিই পরিশ্রম করছি। যে কারণে সারাদিন ও রাত সব কিছু মিলিয়ে বেশ লম্বা সময়ের রুটিন। যেটার কারণে আজ তো মনে হচ্ছে হয়তো এক সপ্তাহের কাজে পিছিয়ে গেলাম।
যাইহোক, আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন।
We support quality posts and good comments Published in any community and any tag.
Curated by : chant