অবশেষে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস।
![]() |
---|
Hello Steemians,
এই অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়েছিল। যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে হতদরিদ্র মানুষের অবস্থা খুব খারাপ। এমনও পরিবার রয়েছে যাদের সারাদিন কাজ করে রাতের খাবার জোগাড় করতে হয়। সেক্ষেত্রে অর্থ উপার্জন করার জন্য বাইরে যাওয়া তো দূরের কথা ঘর থেকেই মানুষ বৃষ্টির জন্য বের হতে পারছিল না।
যদিও রোদ্দুরের দেখা মেলেনি কিন্তু বৃষ্টির ফোঁটা বন্ধ হয়েছিল বিকেলের দিকে। তাই বিলম্ব না করেই ছাতা ছাড়া রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলাম। তবে বৃষ্টির রেস এখনো কাটেনি, যে কারণে হয়তো রাস্তাঘাটে লোকজন তখনও তেমন দেখা যাচ্ছিল না। আবহাওয়া শুষ্ক থাকলে বা রোদ্রজ্জ্বল থাকলে রাস্তায় বাইক ও অন্যান্য পরিবহনের জন্য হেঁটে যাওয়াটাই মুশকিল হয়। কিন্তু আবহাওয়ার এই অবস্থার জন্য রাস্তাঘাট একেবারেই শুনশান।
WiFi - ইন্টারনেট সংযোগ বিগত মাঝরাতেই হঠাৎ বন্ধ হয়েছিল। যদিও একটু সমস্যা অনুভব করেছিলাম কিন্তু ইন্টারনেট না থাকায় রাতে ঘুমটা ভালই হয়েছিল। বাইরে বেরোনোর উদ্দেশ্য ঘোরাঘুরির পাশাপাশি ছিল Wifi এর তার কোথাও কাটছে কিনা এটা দেখা। তাই ছোট ভাইকে কল দিয়ে রাস্তায় বেরোতে বলেছিলাম।
![]() |
---|
আমাদের পাড়ার পিচ্চিদের দীর্ঘদিন এই বৃষ্টির জন্য রাস্তাঘাটে দেখা যায় না। বৃষ্টি বন্ধ তাই দুই ভাই বোন ছাতা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে কিন্তু মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, তাছাড়া আবহাওয়ার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ আকাশে প্রচুর পরিমাণে সাদা মেঘ দেখা যাচ্ছিল। মেঘের যে অবস্থা তাতে বৃষ্টি যে কোনো মুহূর্তেই আবার শুরু হতে পারে।
![]() |
---|
![]() |
---|
হালকা বাতাসে গাছের পাতায় লেগে থাকা জল পড়তেই পিচ্চিরা ছাতা মাথায় দিয়ে ফেলেছিল। ছাতা নিয়ে আসাটা যেন সফল হয়েছিল। বৃষ্টি আসছে বলেই দৌড় দিবে অমনি আমি বললাম, বৃষ্টি না গাছের পাতার জল পড়েছে।
ছোটভাই বললো ওদের বাড়িতে যেতে কারণ ৬/৭ মিনিটের একটু কাজ বাকি রয়েছে। যাইহোক, আমি আর বিলম্ব না করে ওদের বাড়িতে গেলাম। এরই মধ্যে আমার পুরোনো বাড়ির ছোট এসে যুক্ত হলো আমাদের সাথে। সবাই ফেসে গেছে WiFi না থাকার কারণে। এ কারণেই সকলের ছুটাছুটি, নচেৎ মোবাইলে আবারো ইন্টারনেট প্যাকেজ ক্রয় করতে হবে।
![]() |
---|
এবার দুইজন না কাকুসহ, আমরা তিনজন বাইরে বেরোচ্ছিলাম। এ বাবা! পথেই দেখলাম ঐ পিচ্চিদের সাথে আরো ২/৩ জন যুক্ত হয়ে বাড়ির গলি পথে ফিসফিস করে কথা বলছিল। ঘটনা হলো তাঁরা একটা পাখির বাসার সন্ধান পেয়েছে যেখানে দুইটা পাখির বাচ্চা ও আছে। আমরা ও সেদিকে একটু দ্রুত হেঁটে গেলাম। কিন্তু দুশ্চিন্তা হচ্ছিল কখন যেন এঁরা দলবেঁধে এসে পাখির বাচ্চাদের আবার ধরে নিয়ে যায়। তাই, ভালো কথা বলে এদেরকেই মৌখিক দায়িত্ব দিলাম যাতে আর না নিতে পারে। দায়িত্ব বলে একটা কথা তো আছেই।
![]() |
---|
গবাদিপশুরাও ঘাস খাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। এই যে দেখুন একটু সুযোগ পেয়েই তাঁরা ঘাস খাওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। সাধারণত ছাগল একদমই জল পছন্দ করে না কিন্তু খিদে কতোটা মারাত্মক হতে পারে যে জলকে এখন আর পরোয়াই করছে না।
![]() |
---|
আবার কেমন যেন চারদিক অন্ধকার তাই বাড়িতে যাওয়ার প্রচেষ্টা কিন্তু পথের বাম পশে কচুপাতার ওপর বৃষ্টির জল যেন মুক্তার মতো জ্বল জ্বল করছিল। এইরকম দৃশ্য দেখতে ভালোই লাগে তাই বিলম্ব না করেই একটা ছবি তুলেছিলাম।
যাইহোক, হঠাৎ এই বৃষ্টির মধ্যে কিছুটা অবিশ্বাস্য আবহাওয়া উপভোগ করলাম। আমার লেখাটা এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
Thank you so much 😊 for your presence and support 🙏