একটি দূর্ঘটনা।
Hello Friends,
বিপদ যখন আসে তখন দল বেঁধেই আসে। বেশ কয়েকদিন আগের ঘটনা যেটা খুব দুঃখজনক। মূহুর্তের মাঝেই আমার দুঃসম্পর্কের মামাতো ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ যেটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই হয়েছিল। ঐ মামার বাড়ির এক দিদা তখন আমার মামার ঘরে অনুষ্ঠান উপলক্ষে নিরামিষ রান্না করছিল, খবর শুনেই সব রেখে ছুটে গিয়েছিল।
![]() |
---|
এমন একটা দূর্ঘটনা ঘটবে আমরা কেউ জানতাম না আর এটা জানার ও কথা না। মামাতো ভাইয়ের বিয়ের ২য় পর্ব, অর্থাৎ বৌ-ভাত, আমরা সকলেই ঐ দিকে ব্যস্ত ছিলাম। আমরা কেউই নিরামিষ খাই না তবে দিদিরা এসেছিল ওদের আবার ঐদিন নিরামিষ, তাই ওদের জন্যই শুধু আলাদা করে নিরামিষ রান্না করা হচ্ছিল।
কণের বাড়ি থেকে নতুন আত্মীয় স্বজন আসবে তাই ঐরকম ধামাকা প্রস্তুতি চলছিল। তবে সুবিধা এটাই আমরা ভাই-বোন সংখ্যায় অনেক যে কারণে খাবার serve ও management এর ক্ষেত্রে কোনো চাপ নেই। আমি ঘর থেকে খাবার বের করা ও দেওয়ার দায়িত্বে ছিলাম। যে কারণে আমি সদর দরজার সামনেই আরাম করে বসেছিলাম।
![]() |
---|
নতুন বৌয়ের সাথে বাইরে বসেছিলাম আমরা কয়েকজন। কারণ জল খাবারের পরে সকলে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিল। এরই মধ্যে ওপাশ থেকে আমার এক মামা বললো যে উত্তর পাড়ার এক ভাইয়ের বৈদ্যুতিক শকে মৃতপ্রায় অবস্থা। কেউ বলছে মারা গিয়েছে, আবার কেউ বলছে এখনো ঠিক আছে।
আমি ও আমার মাসতুতো ভাই বাইকে করে দ্রুত ঐ বাড়িতে পৌঁছালাম কিন্তু শুরু হাহাকার ছাড়া আর কিছুই নেই। এটা স্বাভাবিক, প্রতিটা সন্তানই তাদের মা-বাবার কাছে সবচাইতে বেশি মূল্যবান। ঐ ভাইয়ের মা কান্না করতে করতে অজ্ঞান হয়ে উঠোনেই পড়েছিল। কাউকে সান্ত্বনা দেওয়ার ও ভাষা নেই।
"যেভাবে দূর্ঘটনা ঘটেছিল:-"
আমাদের এই দিকে ইঁদুরের প্রচণ্ড চাপ, অন্যদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ করে মটরের মাধ্যমে শস্য ক্ষেতে জল সেচ ও দেওয়া হয় যে কাজটা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ।
যেটা শুনলাম ঐ ভাই বাড়ি থেকে শস্য ক্ষেতে যাওয়ার পূর্বে বলে গিয়েছিলে যেন কল করলে confirm করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেন। কিন্তু যখন কল করেছিল বড় ভাই কলটা না রিসিভ করেই লাইন অন করে দিয়েছিল। সাথে সাথেই শক দিয়ে তারসহ জলের মধ্যে ফেলে দিয়েছ, অর্থাৎ ঐ পুরো পুকুরটাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে।
ঐ ভাইয়ের সাথে আরো একজন ছিল, সৌভাগ্যক্রমে ওপরের মাটিতে পড়েছি যে কারণে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পেরেছিল। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা ও (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো পাঠানো হয়েছিল, ডাক্তার চেক আপের সাথে সাথেই মৃত বলে দিয়েছিলেন।
বিদ্যুৎ যেমন আমাদের জীবনযাত্রাকে আরামপ্রিয় ও গতিশীল করেছে অন্যদিকে অনেক ক্ষতি ও করছে । আবার সরাসরি এটা বলা ঠিক না যে বিদ্যুৎ আমাদের ক্ষতি করে। কারণ বিজ্ঞানের প্রতিটা আবিষ্কারই মানবকল্যাণের সার্থেই কিন্তু সেই উল্টো ব্যবহারের জন্যই আমাদের এই ভোগান্তি।
উদাহরণস্বরূপ, ডেনামাইট ব্যবহার করে বোমা ও অনেক কিছুই তৈরি করা হয়। এই ডেনামাইট কাজে লাগিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের সময় বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো বিশালাকৃতির পাথর উড়িয়ে দেওয়া হয়। তাহলে আবিষ্কারক বা আবিষ্কারের দোষটা কোথায়? মূলত সকল গণ্ডগোল হয় আমাদের সঠিক ও উল্টো ব্যবহারের জন্য।
পাশাপাশি, আমি যে দূর্ঘটনাটা উপস্থাপন করেছি এখানে একটু অসতর্কার জন্যই ঐ ভাইটা অকালে প্রাণ হারিয়েছে।
যাইহোক, সময়ের থেকে আমাদের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাই সকলের উচিত সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করা। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।