ভদ্রতা কখনোই দুর্বলতা হওয়া উচিত না।
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
ইতিমধ্যে হয়তো আমার শীর্ষক দেখেই লেখার বিষয়বস্তু কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছেন। যদিও এই বিষয়টি আমাদের জানা তবে বিভিন্ন পরিস্থিতি যেন এই বিষয়টা বার বার মনে করিয়ে দেয়। ঠিক অনুরূপ একটা ঘটনাই আজ পর্যবেক্ষণ করেছি।
পাশাপাশি, আমার মধ্যে একটা প্রশ্ন মাঝে মাঝেই জেগে ওঠে ,
ভদ্রতাটাই কি দু্র্বলতা?
যাঁরা এটাকে দুর্বলতা চিন্তা করে, তাঁরা কি সঠিক?
না শব্দটা উচ্চারণ করতে আমার একদমই সংকোচ বোধ নেই। তবে যাঁরা নিজেকে খুব চালাক ভাবে এবং অন্যের ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করেই তাঁরাই নির্বোধ। এমনি আমি এই ভদ্রতার স্বপক্ষে থাকতে মাঝেমধ্যেই নারাজ। কারণ আপনি যতো বেশি ভদ্রতা দেখাবেন ততোটাই লোকে দুর্বল মনে করে প্রতিনিয়ত আপনাকে কোণঠাসা করবে। হয়তো একটা সময় দেয়ালে ঠেকে যাবেন, এমনকি নিজের সম্পদ ও পরিবারকে রক্ষা করার কোনো ক্ষমতাই হয়তো থাকবে না।
আজকের বিষয়ে যাওয়ার পূর্বে আমার বাস্তব জীবনের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। যেখানে আমার দাদার জায়গা, অবশ্যই আমার বাবা সেটার ওয়ারেশ। কিন্তু সকলকে ভদ্রতার ও মানবতার জন্য উপার্জনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অথচ দেখুন মানুষ কতোটা খারাপ হতে পারে একটা সময় আমার বাবার কোনো জায়গায়ই নেই সেখানে।
চাকরি করা লাগবে কি লাগবে না এটা মূলমন্ত্র না বরং নিজেকে এই স্বার্থপর মানুষের মধ্যে টিকিয়ে রাখতে শিক্ষার আলোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নচেৎ চোখ থাকবে অন্ধ।" প্রবাদ
যাইহোক, বছর চারেক আগে এটা নিয়ে আমি ঝামেলা করেছিলাম। এক প্রকার অভদ্রতাই করেছি, নচেৎ আমার বাবা তাঁর পিতৃ সম্পদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। তবে ফলাফল ভালো হয়েছিল। তাহলে কোন পথকে আমি সঠিক চিন্তা করবো?
![]() |
---|
ঠিক অনুরূপ একটা ঘটনা আজ ঘটেছে। কিছুদিন পূর্বে এক লোকের গবাদি পশু অন্য এক কৃষকের ফসল খেয়ে ফেলেছে। যেটার জন্য ভোক্তা জরিমানা দাবি করে। কিন্তু যখনই গবাদিপশুর মালিক আকুতি মিনতি করে ঐ কৃষক সেটা ক্ষমা করে দেন। এই মানবিকতার মূল্যায়ন আসলছ মানুষ করতেই জানেনা।
আজ বিকেলে আবারো গবাদিপশু দিয়ে ক্ষতি করিয়েছে। এমনকি উল্টো ঐ কৃষককে মারধর করা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।
এইরকম ঘটনা হয়তো অহরহ প্রতিটা গ্রামেই খুঁজলে পাওয়া যাবে। বেঁচে থাকার জন্য আমাদের তো খাবারের প্রয়োজন হয় তাহলে বিবেক কোথায়?
আপনারা জানলে অবাক হবেন, যে এভাবে ক্ষোভে পড়ে কতো কৃষক তাঁর পূর্বপুরুষের পেশা কৃষিকাজ যেটা বাদই দিয়ে দিয়েছেন। কোনো কৃষক যখন জমিতে বীজ বপন বা ফসল লাগায় ঐ সময় থেকে পিতৃস্নেহে ঐ কৃষক তাঁর ফসলের গাছের যত্ন নেন।
![]() |
---|
একটা শিশু যেমন লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়লে আর লেখাপড়া হয় না। ঠিক তেমনি কোনোভাবে ফসলের গাছের ক্ষতি হলে সেইটা আর ফল দেয় না। আমরা যাঁরা কৃষি কাজ করি না তাঁরা হয়তো উপলব্ধি করতে পারবো না। তবে যদি কখনো সুযোগ হয় নিজেই কৃষক হবেন তাহলেই উপলব্ধি করতে পারবেন।
মাঠের ফসলের প্রতিটি পাতার সাথে যেন কৃষকের ভালোবাসা জড়িয়ে থাকে। যে কৃষক তাঁর ফসলের দিকভাল ভালো করতে পারে ঐ ফসলই যেন কৃষকের সফলতা। শুধু মাত্র টাকা নিয়ে গেলাম আর থলেতে করে দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে এলাম এমনটা না। এভাবে যদি কৃষক কৃষি কাজ ছেড়ে দিতে শুরু করে তাহলে আমাদের কাছে অর্থ থাকলেও আমরা প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য ক্রয় করতে পারবো না।
প্রকৃতপক্ষে, আমার অভিমত এটাই যে কৃষকদের সম্মান করতে হবে। কৃষি কাজ একটা মহান পেশা। আসুন সবাই অবহেলা নয় বরং সম্মান করি। নচেৎ একটা সময় টাকা হলেও আমরা খাদ্য পাবো না। কৃষক বাঁচলেই দেশ বাঁচবে।
আপনার কথার সাথে আমিও সহমত পোষণ করছি আমরা যত বেশি চুপ করে থাকি ভদ্রতা বজায় রাখার জন্য মানুষ সেটাকে বর্তমান সময়ে দুর্বলতা ভেবে নেয় আপনি আপনার বাবার ঘটনাটা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আসলে বর্তমান সময়ে মানুষকে সুযোগ করে দিলে মানুষ সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে যে সুযোগ করে দিয়েছে তাকে নিচে নামিয়ে নিজেও উপরে ওঠার চেষ্টা করে তাই আমার মনে হয় কিছু কিছু সময় অভদ্র হওয়াটা অনেক বেশি প্রয়োজন অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভালো থাকবেন ।